অনলাইন ডেস্ক :
সার্বিয়ার একটি স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়ে আট সহপাঠী ও এক নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করেছে শিক্ষার্থী। আহত হয়েছে এক শিক্ষক ও ছয় শিক্ষার্থী মিলিয়ে সাতজন।
আজ ৩ মে বুধবার সকালে বেলগ্রেডের একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অতর্কিত গুলি চালায় এক শিক্ষার্থী। তার বয়স ১৪ বছর। সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এক ছাত্রীর বাবা দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল এন ওয়ানকে জানান, গুলির সময় তার মেয়ে ঘটনাস্থলে ছিল। সে পালাতে সক্ষম হয়। ছেলেটি প্রথমে শিক্ষককে গুলি করে, এরপর সে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
শিক্ষকের জীবন রক্ষায় চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সেখানকার মেয়র মিলান নেদেলজকোভিচ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত আট শিশু, এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। এক শিক্ষক ও ছয় শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে৷ পুলিশ সপ্তম শ্রেনির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।
সার্বিয়ায় এ ধরনের হামলার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। দেশটির বন্দুক আইনও তুলনামূলক কঠোর।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার মধ্যে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলের কাছে তেল ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
খামেনি বলেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করা উচিত।’
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে গাজার জনগণ বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়াতে কী ঘটছে দেখুন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিসহ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন। এসব দেশের নেতারা জনতার কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না তারা।’
মুসলিম বিশ্বকে উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শুধু ইহুদিই নয়, গাজার নিপীড়িত সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও দাঁড়িয়েছে।’
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘ইসরাইলের দ্বারা সংঘটিত এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও আন্দোলনকারীরা নীরব থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। কারও পরামর্শের জন্যও অপেক্ষা করবে না তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের অবশিষ্ট রাজনৈতিক সুযোগগুলো ব্যবহার করতে হবে।’
পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
৭ অক্টোবরে হামলার পর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছেন। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নজিরবিহীন বোমা হামলা এবং উপত্যকাটিতে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের অবিরাম হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ফলে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকা পরে কারাভোগ শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরে এসেছে। আজ ১৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশী নাগরিকরা। দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৮/৯ মাস কারাভোগ করেছেন তারা।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকৃতরা হলেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো: ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো: আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মোঃ আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ রুহুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ , আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানাই পাঠাই। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবশনের ব্যবস্থা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মো.মনির হোসেন ভুইয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে দ্রুতগামী একটি গাড়ির চাপায় তিনি নিহত হন।
নিহত মনির হোসেন ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের ইমাম হোসেন ভুইয়ার ছেলে। মনিরের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মনির হোসেনের বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, জীবিকার তাগিদে প্রায় দশ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দেন মনির হোসেন। কয়েক বছর ধরে রিয়াদ শহরের বলদিয়া কোম্পানিতে পরিছন্নকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেলে ) রাস্তার পাশে পরিছন্নতার কাজ করছিলেন মনির। এ সময় পেছন দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার ভাই মনির হোসেন ভুইয়া। মনিরের মৃত্যুর খবর তার সাথে থাকা অপর এক বাংলাদেশি সহকর্মী দেশের বাড়িতে এবং একই শহরে অন্য এলাকায় কর্মরত তার অপর দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ভুূঁয়াকে জানান। তার দুই ভাই লাশটি সেখানকার হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো জানান, দেশের বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ মনিরের স্ত্রী ও মনিরা আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহত মনির হোসেনের পরিবার তার মরদেহ সরকারিভাবে দ্রুত দেশের আনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা প্রতিদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন। এই সংখ্যাটি ইউরোপ আমেরিকাতে উল্লেখ্য করার মতো। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে।
জানা যায়, মুসলিমদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পিসি পল। তিনি ব্রিটিশ পুলিশের কর্মকর্তা। এ সময় মুসলিমদের কর্মকাণ্ড তাকে সন্তুষ্ট করেছে। অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, আল্লাহ এক, মুহাম্মদ (সা.) তার রাসুল ও প্রিয় বান্দা। আমি এখানে শুধু পুলিশ কর্মকর্তা নই। কারও ভাই, কারও চাচা, কারও ছেলে আবার কারও ভাতিজা এবং একজন বন্ধু। ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত। ‘আমি ইসলামকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে মনোনীত করেছেন।’
পল বলেন, সবাই আমাকে বলতেন যে আমি একদিন মুসলিম হবো। কিন্তু কেউ আমাকে জোর করেনি। পরে আমি কোরআন পড়া শুরু করি। এরপর আমি ইসলামের দিকে মনোনিবেশ করি। এটি মনোমুগ্ধকর ও শান্তির ধর্ম।
লন্ডনের এই পুলিশ কর্মকর্তা ১৬ বছর ধরে এজওয়্যার রোডে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছেন।
পল বলেন, আমি এখানে ১৬ বছর ধরে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি। গত জানুয়ারিতে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি।
তিনি বলেন, আমার কাজ হলো সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমি তাদের সবাইকে চিনি। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাইকে। এটা আসলে একটা বড় পরিবারের মতো।
ব্রিটিশ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৫ মাসে আমি দুইবার কোরআন পড়েছি। আমি কোনো নামাজে অনুপস্থিত ছিলাম না।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করে- কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম? আমার উত্তর হলো- আমি ইসলাম ধর্মকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে বেছে নিয়েছেন। সূত্র: টিআরটি