চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ রাজিব মিয়া (২৫), রাজন মিয়া (৩০), আমিন মিয়া (২৫), সমুজ আলী (৩৫), লিটন মিয়া (৫০), নাছিমা বেগম (২৫) মোঃ আল আমিন (১৯)।
পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে ২জন নিয়মিত মামলার, ৪জন সিআর মামলার ও একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলার সরাইলে আজ ৮ ডিসেম্বর সরাইল মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী থেকে সরাইলকে মুক্ত করা হয়েছিল। পাকহানাদার বাহীনির বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সরাইলের কয়েকটি স্থানে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মুখযুদ্ধে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাশহীদ হয়েছেন। সরাইল মুক্ত দিবসে উপলক্ষে আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় সরাইল উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসারফ হোসাইন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মনিরা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার, উপজেলা জামায়েত ইসলামের সাবেক আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেরাম হোসেন।
সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক তাসলিম উদ্দিন, ছাত্র সমন্বয়ক ইরফান আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাংবাদিক বদর উদ্দিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফয়জুল কবির, সহ সম্পাদক নারায়ন চক্রবর্ত্তী, মাহবুব খন্দকার এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদের জায়গায় থাকা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি না নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে ভাটায় থাকা মাটিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ওই ভাটার কোনো ধরনের অনুমতি ছিল না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেসার্স জিসান ব্রিকস্’ নামক ইটভাটাটি অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত করে আসছিলো। এ জন্য গত ২৬ নভেম্বর ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ইট প্রস্তুতের দায়ে ইট ভাটার চিমনি ভেঙে দেয়া হয় ও দুই ব্যক্তিকে ১০ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশ না মেনে রাতের আধাঁরে লুকিয়ে ইট ভাটার আগুন সচল রাখার চেষ্টা করছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে দেয়া হয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্লুয়ার মেশিন (হাওয়া মেশিন) নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়। যাতে করে ইট ভাটাতে আর আগুন জ্বালাতে না পারে। তিনি আরো জানান, ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্বের রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত এই ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করে, দ্রুত ভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাগিদ দেওয়া হয়।
ইউএনও মোশারফ হোসাইন জানান, অনুমতিহীন ওই ভাটায় রাতের আঁধারে ইট প্রস্তুত করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগের একটি রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ওই ইটভাটার নিলাম কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসান ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে খাদিজা বেগমের (৪৫) পরিবারের দুই ছেলে প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আশেক মিয়া (২২) শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। মেজ ছেলে লাদেন মিয়া (১৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। মিথ্যা মামলায় স্বামী দুলাল মিয়া (৫০) জেলখানায়। মেয়ে একটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। বইখাতা ও বেতনের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে।
বড় ছেলে আশেক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিছুটা চলাফেরা করতে পারলেও লাদেন ঘরের বাইরে যেতে পারে না। লাদেনের যখন আট বছর বয়স তখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে সময় লাদেনের বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেশের নামিদামি বহু হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সেই থেকে লাদেনের হৃদয় যেন বেদনার বালুচর।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলা করা ছোট্ট লাদেন এখন হয়ে গেছেন প্রতিবন্ধী। তখন থেকে বাইরে বের হয়ে দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ কিছুই দেখা হয় না তার। ছোটবেলার ছোটাছুটি আর বন্ধুদের সঙ্গে মাতামাতি এখন কেবলই স্মৃতি। সবই বিধাতার খেলা। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুস্থ হওয়ারও। এখন আর চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। কোথায় পাবেন অত টাকা? কোথায় করাবেন চিকিৎসা? প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে কোনোরকমে অর্ধাহার-অনাহারে চলে তাদের সংসার।
সকালে খেলে বিকালের খাবার থাকে না। ক্ষুধায় ছটফট করে কাটে সারারাত। তাদের শেষ সম্বল যেটি ছিল, সেই ভিটেবাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। অসুস্থ ছেলেমেয়েদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় খাদিজা আশ্রয় নিয়েছেন লাদেনের চাচার বাসায়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী খাদিজার স্বামী ফেঁসে গেছেন মিথ্যা মামলায়। জেলখানায় রয়েছেন ছয় মাস ধরে। একদিকে দুই সন্তান অসুস্থ, মেয়ের পড়ার খরচ, স্বামী জেলখানায়। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। চারবার করিয়েছেন বেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন। তাতেও সফল হয়নি। ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে গেছে পুরো শরীরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেলা থাকতেও যেন আঁধার এসে গ্রাস করেছে তাকে। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তার।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যান এ প্রতিবেদক। তার কাছে নিজের এ ভাগ্যবিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন মৃত্যুশয্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীর। জানান বাঁচার আকুতি। বাঁচাতে চান ছেলেমেয়েদেরও। দুই ছেলের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে চান। পড়াতে চান মেয়েকে। আর এ জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। চাইছেন তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াক। আর এ জন্য দিয়েছেন বিকাশ নম্বর। খাদিজার বিকাশ নম্বর ০১৭৭২২৯৪৬৮৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া, বাবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাবিববুর রহমান এ কে খান, আব্দুল জব্বার, আওয়ামীলীগ নেতা মাহফুজ আলী, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, সাংবাদিক রিমন খান, জহিরুল ইসলাম রিপনসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।