চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমরা পাঁচ সিটিতেই জিততে চাই। আমাদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু ভোটারদের অনেক প্রশ্ন-ভোটাররা বলছে আমরা ভোট দিতে পারব তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এই প্রশ্ন করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলে, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে? রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা ভোট দেই বা না দেই, সরকার সমর্থকরাই জিতে যাবে। মানুষের মনে শঙ্কা, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে কিনা, বাড়িতে হামলা হবে কিনা। শঙ্কা ও হতাশা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। এমন বাস্তবতা থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে চাই।
আজ ৬ মে শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণ যা চায় আমরা তাই করব সংসদ নির্বাচনে। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। মানুষের ভাতের অধিকার দরকার হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ আধাপেট খেয়ে জীবনযাপন করছে, সামনে হয়তো আরও খারাপ দিন আসছে। যেসব দেশকে আমরা খারাপ দেশ বলি, আমাদের অবস্থা এখন তাদের চেয়েও খারাপ। তাই ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চলছে। কেউ বলছে, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি তোলেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ক্ষমতায় গেলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেহারা এক। ১৯৯৬ সালে আমরা মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলাম, আওয়ামী লীগও তখন ভোট বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ছক এঁকেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রয়োজন মতো সংবিধান সংশোধন করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন ভালো হতে পারে না। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসলে, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়। আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও একই কাজ করবে।
সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে। আসলে, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৩টায়।
এ দিন সংসদ ভবনের নীচতলায় শপথকক্ষে তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। প্রথমে সরকারি দল আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন ও পরে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য শপথ নেবেন।
শপথগ্রহণ শেষে তারা শপথ বইয়ে সই করবেন। তারা বিকাল পৌনে ৫টায় সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সংরক্ষিত নারী আসনে কোনো প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায়, নির্বাচন কমিশন সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে। এর পর গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটের কপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ২টি আসনে।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপিরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ২. দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) – আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) – সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, ১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২০. শবনম জাহান (ঢাকা), ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) – আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) – সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)- নির্বাচনে পরাজিত, ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), ৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) – আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত, ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর), ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) – আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আগেরবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৪ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের এ তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তাদের সঙ্গে স্বতন্ত্র এমপিদের সমর্থন থাকতে পারে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন।
আইন অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর ৯ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এ হিসাবে ইসির আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও তফসিল অনুযায়ী তার তিন সপ্তাহ আগেই ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করেছে কমিশন।
গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯টি আসনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে।
নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়। ওই আসনে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির দুজনসহ আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি দুটি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
২৩টি শর্তে সমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ অনুমতি দেওয়া হয়।
ডিএমপির কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী সৈয়দ মামুন মোস্তফা সই করা এক লিখিত স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির শর্তে উল্লেখ করা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১২ জুলাই দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে (পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থানে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স দ্বারা বিচার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেই জামানা আর নাই। এখনের জামানা ভিন্ন। এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে আখাউড়া আজমপুর রেলস্টেশন চত্বরে উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস এর বিচার প্রসঙ্গে তিনি এসবকথা বলেন।
হিলারি ক্লিনটনকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন দুইবার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। যার নির্বাচনে ডঃ ইউনুস টাকা দিয়েছিলেন উনি এখন ডঃ ইউনুসকে বাঁচানোর সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলছেন। এটা কিসের সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের সাথে সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষ বিচার চায় এটা কি অন্যায় প্রশ্ন তাঁর। আমাদেরকে এটা অপমান করার সামিল। তিনি বলেন আমরা সুষ্ঠু বিচার করতে জানি। উনি (ডঃ) ইউনুস যদি অন্যায় না করে থাকেন তাহলে তিনি খালাস পাবেন।
আর যদি অনুচিত হয়, বিচারক বিচার করবেন। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি বলেন, আপনারা কোন উছিলায় বাংলাদেশকে অপমান করবেন, বিচার বিভাগকে অপমান করবেন সেই চেষ্টা বন্ধ করুন।
সভা শেষে সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে টিআইবি’ট মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে তিনি বলেন, টিআইবি যা বলেছে এর কোনটায় সত্য নয়। সাংবাদিকরা এবং জনগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশে সিকিউরিটি আইন রেখে পড়লে তারা বুঝতে পারবে কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং যেখানে উনাদের (টিআইবি) আপত্তি ছিল সেগুলো দূর করা হয়েছে।
নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কীম করেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাথায় গিলু থাকলে কেউ এ কথা বলে।
উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওছার জীবন, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া স্বপন প্রমুখ।
এর আগে তিনি আখাউড়া-সিঙ্গারবিল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজ উদ্বোধন করেন।