চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আখাউড়া থানার এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম মোঃ খাইরুল। তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ সদস্য মোঃ খায়রুল মাদক ব্যবসায়ী সোহেলকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তাকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে অপর মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটের বাম পাশে আঘাত করে।
গুরুতর আহত খায়রুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার খলাপাড়ায় ভাঙন দেখা দেওয়া হাওড়া নদীর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের পাশে মাটি ভর্তি ব্যাগ দিয়ে মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন কবলিত স্থানটি মেরামত হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অন্যদিকে ওই এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেও রক্ষা পাবে। সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার অন্তত ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির খলাপাড়া কবরস্থানের সামনে পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করে। এরই প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি মেরামত কাজ শুরু করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে আমাদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে চিন্তায় ছিলাম পানিতে জমি তলিয়ে গেলে জমিতে আবাদ করতে পারব না। এখন বাঁধটি মেরামত করার কারণে চলাচলের সুবিধাও হবে। আর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার চিন্তাও থাকবে না। অটোচালক কাইয়ুম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় এতদিন গাড়ি চালাতে ভয় করত। এখন আর সে ভয় থাকবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাঁধটি ভঙেনের খবর পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত বস্তায় মাটি ভরে বাঁধ মেরামত করছি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই। ব্লক নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে বস্তায় মাটি ভরে বাঁধটি মেরামত করছে। বিষয়টি আমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে। রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে এ বীজ বিতরণ করা হয়।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার উপজেলা কৃষি অফিস এ আয়োজন করে। প্রত্যেক কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের বীজ দেওয়া হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুমের পরিচালনায় বিনামূল্যে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাহিদুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ উপজেলায় ১৭৭০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ইতোমধ্যে জমি থেকে পানি সরে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বন্যা-পরবর্তী সহায়তা হিসেবে রোপা আমন বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভোট কেন্দ্রের নাম ও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খসড়া তালিকাটি উপজেলা নির্বাচন অফিস, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর ও হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী আখাউড়ায় ১ টি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৪ টি এবং ভোট কক্ষ ২৬৫ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ হাজার ৮৭১ এবং মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ১৪৫ জন। পূর্বের ৫টি কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খসড়া ভোট কেন্দ্রের উপর যদি কারো কোন দাবি, আপত্তি বা সুপারিশ থাকে তাহলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। এরপর আর কোন আপত্তি গ্রহন করা হবে না। ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হবে। স্থান পরিবর্তিত ৫ টি কেন্দ্র হলো জাহানারা বেগম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আখাউড়া টেকনিক্যাল আলীম মাদরাসা, রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঘোলখার রানিখার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে টানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, পীর শাহ সুলতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রাম, নুরপুর ক্যাপ্টেন মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘোলখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, গত নির্বাচনে ৪৪ টি কেন্দ্র ছিল। এবছরও তাই আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫টি কেন্দ্র স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয়ে কারো কোন আপত্তি থাকলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লিখিত আবেদন করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস ভবনে সোনালি ব্যাংক বুথে কর্মরত উত্তম চক্রবর্তী, কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও বিমল চন্দ্র দাসের যোগসাজশে ভারতগামী যাত্রীদের দেওয়া ভ্রমণ করের টাকা দীর্ঘদিন থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এতে করে সরকার বিপুল পরিমান হারাচ্ছে রাজস্ব।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী পারাপার হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার জন। এসময় ভারতগামী যাত্রী প্রতি ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের সেই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে এই অসাধু চক্র। এই চক্রটি ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া ভ্রমণ করের রশিদ সংগ্রহ করে পুনরায় অন্য যাত্রীকে দিয়ে দিচ্ছে ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি এপথে ৫ জন ভারতীয় নাগরিক ভারত ফেরার পথে ভ্রমণ ট্যাক্সের রশিদে পাসপোর্ট নম্বর দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রশিদসহ ওই ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। কারণ তাদের ভ্রমণ করের রশিদে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া ছিলো। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগেও এমন জালিয়াতি রশিদ ধরা পরলেও ওই চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই।
কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনকে ফোন করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আর বিমল চন্দ্র দাসের ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। বিষয়টি আমার জানা নেই। ৫জন যাত্রী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সামান্য সমস্যা ছিলো। সমস্যা সমাধানের পর তারা চলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাগ্য বদলের আশায় ১৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফায়েজ মিয়া। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। এবার দেশে এসে কোরবানির ঈদ করার কথা ছিল। এরই মধ্যে গত ১৪ মে কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মামে হঠাৎ স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ফায়েজ বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় কফিনবন্দি হয়ে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২১ দিনের মাথায় আজ ৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তারাগনে আসলে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দেন আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী।
বাদ আছর আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে বাদ আসর জানাযা শেষে সাতপুকুরপাড়ে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, ভোরে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সড়ক পথে নিহতের মরদেহ লাশবাহী একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নিহতের মরদেহ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার-পরিজন আর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহতের মরদেহ এক নজর দেখেতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন। ফায়েজ আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ গত প্রায় ৫ বছর আগে দেশে আসেন। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল। গত ১৪ মে স্ট্রোক করে মায়াভরা এ পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে যান।
চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন বলেন, ফায়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল। দেশে থাকতে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতো না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অনেক কষ্ট করে বিদেশে যায়। এরপর এই পরিবারটা ভালই চলছিল। হঠাৎ করে এভাবে সে মারা যাবে তা কখনো ভাবতে পারছি না। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বাদ আসর জানাযা নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ফায়েজ খুব ভালো একজন মানুষ ছিল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হওয়ার। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারিনি।