অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
ইংল্যান্ডের লন্ডন পল মলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র বাসসকে জানায়। গত বছরের ২৫ অক্টোবর সুনাক দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই নেতার বৈঠক হয়।
জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি নগরীতে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী তার সফরের তৃতীয় ধাপে ৬ মে অনুষ্ঠিতব্য রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় গতকাল বিকেলে কমনওয়েলথ রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সচিবালয়ে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট মার্লবোরো হাউসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কমনওয়েলথ প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লস-এর সঙ্গে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমনওয়েলথ চেয়ার ইন অফিস রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দ মূল সম্মেলন কক্ষে একটি বৈঠক করেন। অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ পরিবারের একটি যৌথ ছবি তোলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী পরে বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের আগে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ও বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লস-এর দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আগামী ৬ মে অনুষ্ঠেয় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান। ৭৪ বছর বয়সী রাজা তৃতীয় চার্লস তার মাতা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজা হন।
রাজা তৃতীয় চার্লসের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজা ও রানী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের আগে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লসের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আগামী ৬ মে অনুষ্ঠেয় রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান।
সংবর্ধনার আগে প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে কমনওয়েলথ দেশগুলোর নেতাদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দেন।
লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট মার্লবোরো হাউসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কমনওয়েলথ প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। কমনওয়েলথ চেয়ার ইন অফিস রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতাদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ পরিবারের একটি যৌথ ছবি তোলা হয়।
৭৪ বছরের রাজা তৃতীয় চার্লস তার মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজা হন।
রাজকীয় ঐতিহ্য অনুসারে জাতীয় শোক এবং বিশাল প্রস্তুতির কয়েক মাস পরে একজন ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, জাপান, হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হবে। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে এবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় পরে আর বাড়ানো হবে না।
পূর্বের কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যেকোন ব্যক্তি তিন লক্ষ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবে। হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ বছরের হজ প্যাকেজ মূল্য সৌদি পর্বের ব্যয় ও বিমান ভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে। তবে ২০২৫ সনের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য গত বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা।২০২৫ সনে বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
সাধারণ প্যাকেজে’র বাড়ি কিংবা হোটেলে একরুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে। তবে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন সুবিধা থাকবে। হজ এজেন্সিগুলো বিশেষ প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে। হজ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাথমিকভাবে যোগ্য এজেন্সির তালিকা www.hajj.gov.bd এ পাওয়া যাবে। তাছাড়া, ১৬১৩৬ নম্বর ফোন করে জানা যাবে হজ সংক্রান্ত যেকোন তথ্য।
ই-হজ সিস্টেম (www.hajj.gov.bd), e-Hajj BD মোবাইল অ্যাপ থেকে সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার আশকোনার হজ অফিস হতে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে অনুমোদিত এজেন্সি কর্তৃক প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদেরকে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল ঢাকার Sale Proceeds of Hajj Deposit শীর্ষক হিসাবে ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ হিসাব নম্বরের অনুকূলে টাকা জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় ভাউচারের মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দেওয়া যাবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে হবে।
ক্যান্সার, অ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগ, সংক্রামক যক্ষা, ডিমেনশিয়া প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী মহিলা ও চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদেরকে হজের নিবন্ধন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৫ আগস্ট রোববার এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।
আগামীকাল ১ জুলাই সোমবার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না – এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫২’র ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬’র ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তার (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এর প্রবর্তন করি।’
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে ‘আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’, ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০’ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ প্রবর্তন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৬ পাস করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক। শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করবে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করে। জয়বাংলা স্লোগান বাদ দিয়ে জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে আসে। ইতিহাস বিকৃতি করে। বাংলাদেশের মানুষের উন্নতির সব স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়।
‘খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলো, জিয়াকে সেনাপ্রধান বানালো। জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মীর জাফর যেমন তিন মাসের বেশি থাকতে পারেনি। তেমনি মোশতাকও থাকতে পারেনি। জিয়া ক্ষমতা দখল করে। উর্দি পরে ক্ষমতারোহণ এবং পরে নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও চেষ্টা করে। আর্মি রুলস ভঙ্গ করে একটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করে। ভোট কারচুপি ও ভোট চুরি তো সেখান থেকে শুরু। এরপর বিএনপি নামক সেই দল করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করা সম্পর্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আছাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ইকবাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করলে মরে একটা কিংবা আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, বিক্ষোভকারীদের গুলি করেও রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা যাচ্ছে না। একজন মারা গেলেও কিংবা অন্যজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলেও সাহস নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাকিরা ।
কামাল যার কাছ থেকে আপডেট নিচ্ছিলেন তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য ইকবাল। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য সাবেক মন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখাচ্ছিলেন, যেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি করার চিত্র দেখা যাচ্ছিল।
৪৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে পুলিশ সদস্য ইকবালকে বলতে শোনা যায়, গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করে, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।
উৎখাত হওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে সেই ভিডিও দেখছিলেন। কিছু একটা ভাবছিলেন। গুলি ও নিহতের দৃশ্য দেখে তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ সময় তার পাশে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি কবে, কোথায়, কে ধারণ করেছেন তা জানা যায়নি। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
দুবাইয়ে আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভেড়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। ২২ এপিল সোমবার রাত ১২ টা থেকে শুরু করা কয়লা খালাস করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এসব কয়লা খালাসের পর ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিকের সবাই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে করে একসঙ্গে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করা জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিনিধি দলে থাকা চট্টগ্রামের কবির গ্রপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। নাবিকদের সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। এখন সবাই একসঙ্গে ২৩ জনই জাহাজে করে দেশে আসার জন্য মনস্থির করেছেন।’
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমালি সশস্ত্র দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত রবিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে।
জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরের বহিনোঙর থেকে বন্দরের জেটিতে ভিড়ে সোমবার রাতে। এরপর মুক্তি পাওয়া নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। এরআগে নাবিকদের বরণ করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজগুলো করতে জাহাজ মালিকপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল দুবাই গিয়ে এখন জাহাজে নাবিকদের সঙ্গে রয়েছে।
এ দিকে গত কয়েকদিন ধরে মালিকপক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন বিমানে করে এবং বাকি ২১ জন জাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নাবিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সবাই আবদুল্লাহ করে দেশে আসার জন্য একমত হয়েছেন বলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে নাবিক ও জাহাজ মুক্ত হয়ে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যে দুবাইয়ের পথে রওনা হয়ে গত রবিবার সেখানে পৌঁছে।