চলারপথে রিপোর্ট :
মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা নেয়া হবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে । পৌরসভার ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির গৃহস্থালির উচ্ছিষ্ট আর্বজনা সংগ্রহের জন্য ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘গৃহস্থালির ময়লা ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে সুন্দর একটি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রধানন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে পরিচ্ছন্ন জেলা প্রয়োজন। আমি আশা করবো, ধিরে ধিরে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে এটি চালু হবে। জেলার সব পৌরসভা ও প্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যমেই আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিষ্কার ও চমৎকার চুয়াডাঙ্গা উপহার দিবো।’ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ বলেন, এই শুরুটা সরকারি কলেজ থেকে শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। আমরা পরিশুদ্ধ মানুষ হতে চাই। ড্রেননগুলো একটু পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানাবো।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ স¤পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ইসলাম রাকিব।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া জানান, জেলা প্রশাসক স্যার আসার পর বার বার তাগিদ দিয়েছেন। এই জেলার উন্নয়নে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছি। মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে নেয়া হবে। আমরা চমৎকার চুয়াডাঙ্গার প্রত্যাশায় আছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহলদার ইমরান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার সকালে এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’ এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারির প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩.৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ ও সকল কামানের প্রতিরূপ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনগুলোর গৌরবময় ইতিহাস অবলোকন করেন।
প্রধানমন্ত্রী দরবার হলে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি দরবারেও যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জেলা শহরের নাগরা আয়শা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলার প্রশিক্ষণ অফিসার চন্দন কুমার মহাপাত্রসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে জেলার কৃষি অফিসার, উপ-সহকারী, মাঠ অফিসার, কৃষক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ধান ও বিভিন্ন রবিশস্যসহ মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৮ হেক্টর জমি এবার কৃষি ফলানোর আওতায় আনা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা নাক গলাতে এলে মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ডিসেম্বর ৩০ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ, আমরাই স্লোগান দিয়েছি—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরাই স্লোগান দিয়েছি—ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেললাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
এবার যারা প্রথমবারের ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।
নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের কাছে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।
জনসভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগেরা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরা প্রমুখ। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সরকারি খাল দখল করায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাসেদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
সূত্র জানিয়েছে, অষ্টগ্রাম সদর উপজেলার আলম দিঘীর পাড় গ্রামের খালে মাটি ফেলে ভরাট করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত নিজ খরচে মাটি অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছে তাকে।
৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল বাসেদ অভিযোগ স্বীকার করে জানান, নিজের বাড়িতে মাটি ফেলার সময় কিছু মাটি খালে গিয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, এ বিষয়ে জন প্রতিনিধিদেরকে আরও সচেতন হতে হবে। এলাকার বেশিরভাগ খাল রাঘববোয়ালদের দখলে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনকে এগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুর মুর্শেদ, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু উপস্থিত ছিলেন।