অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ ২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় দুই জন নারীসহ ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে। তবে বিমান থেকে পাইলট বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট একটি প্যারাসুট ব্যবহার করে সময়মতো বিমান থেকে লাফ দিয়েছিলেন। আর এ কারণে তিনি নিরাপদ আছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বলেছে, দুর্ঘটনায় পাইলট সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির বিমান বাহিনী বলেছে, আইএএফের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান আজ সকালে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় সুরতগড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যেতে পেরেছেন, তবে সামান্য আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পাইলট নিরাপদে আছেন এবং উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুরতগড় থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। একপর্যায়ে হনুমানগড়ের ডাবলি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসারাম বোস বলেছেন, অন্তত দুইজন বেসামরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিধ্বস্ত হলো বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান।
এর আগে গতবছর জুলাই মাসে রাজস্থানের বারমেড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিগ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যুক্তরাজ্যের এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা এক ব্যক্তি দিল্লির স্থানীয় একটি হোটেলে ওই ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। তবে এখানেই দুর্দশার শেষ নয়! এমনকি ওই নারী যখন সহায়তার জন্য এক ব্যক্তির কাছে যান, তখন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হোটেলের লিফটে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মহিপালপুর এলাকায়। পুলিশের অভিমত, নির্যাতিতা অভিযোগকারীনি নারী জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অভিযুক্তের সাথে তাদের পরিচয় হয়। এরপর তারা নিয়মিতভাবে কথা বলতে শুরু করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তার সাথে সশরীরে দেখা করতে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্রিটিশ নারী।
ভারতে নামার পর, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত মহিপালপুরে একটি হোটেল রুম বুক করেন। গত মঙ্গলবার, অভিযুক্ত ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে ওই নারীর সাথে দেখা করতে যান। যদিও ওই ব্রিটিশ মহিলা যখন বুঝতে পারেন যে ওই ভারতীয় ব্যক্তি তার সাথে অনুপযুক্ত আচরণ করার চেষ্টা করছেন, তখন তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
ব্রিটিশ নারী অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছেন। তার আরো দাবি, একসময় তিনি তখন আতঙ্কিত হয়ে সাহায্যের জন্য হোটেলের রিসেপশনে পৌঁছান। কিন্তু তাকে সাহায্য করার অজুহাতে অন্য একজন ব্যক্তি হোটেলের লিফটে তাকে শ্লীলতাহানি করেন।
ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই পৃথক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ব্রিটিশ হাইকমিশনকেও ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লির মহিপালপুরের একটি হোটেলে একজন ব্রিটিশ মহিলার সাথে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে তারই এক সঙ্গীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রথম ব্যক্তির সাথে ওই ব্রিটিশ মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছিল এবং মূলত তার সাথে দেখা করতেই যুক্তরাজ্য থেকে দিল্লিতে আসেন বিদেশিনী।
প্রসঙ্গত : চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকেই কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় এক ইসরাইলি নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তাদের সাথে থাকা স্থানীয় একটি স্টে-হোম’এর নারী মালিককেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এর পাশাপাশি ওই ইসরায়েলি পর্যটকের এক ভারতীয় পুরুষ সঙ্গীকে স্থানীয় একটি খালে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, পরে তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় ভারত জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পরে তদন্তে নেবে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২৫) অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মো. মামুন-অর-রশিদ (২৪) নামে একজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর ধর্মঘর বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২৫-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্তোষপুর হতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার সাউ গান ঘুটনটি গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম এর ছেলে।
আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতের অভ্যন্তরে চেন্নাই রাজমিস্ত্রী কাজের জন্য আনুমানিক ২ বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে।
পরবর্তীতে ৩০ নভেম্বর শনিবার ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ধর্মঘর বিওপির টহলদলের নিকট আটক হন। এসময় এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নিকট হতে বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী-৪৪ পিছ পাওয়া যায়। এরপর মালামালসহ তার নামে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামি হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিজিওএম পিএসসি সিগন্যালস বিজিবি-২৫ বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোনো প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর অভিযান চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। আজ ২৭ মে শনিবার ঢাকায় আসেন তিনি।
ওআইসি মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ ও আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সফরকালে ওআইসি মহাসচিব কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। আগামীকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ওআইসি মহাসচিব ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠেয় ৩৫তম সমাবর্তনে বক্তব্য দেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।
স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।