চলারপথে রিপোর্ট :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ ১২ মে শুক্রবার আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যত” এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ বেগম ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাকটর ইনচার্জ মোঃ সালাহ উদ্দিন মাধবর।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, নার্সিং একটি মহৎ পেশা। মানুষের সেবা করার মাধ্যমে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল সারা বিশ্বে নার্সদের আদর্শে পরিনত হয়েছেন। তিনি করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা মানুষের সেবা করার জন্য নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করলে তোমরাও একদিন বিখ্যাত হতে পারবে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ আধুনিক নার্সিংয়ের জনক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, মাঈনুদ্দিন রুবেলসহ প্রায় দুই শতাধিক নার্সিং শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়ায় মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার ইফতারির সময় আতকাপীর মাজার মসজিদে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো: ফরহাদ সিদ্দিকী সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন, এড. মফিজুর রহমান বাবুল, সংগঠনের উপদেষ্টা মো: মানিক মিয়া, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মো হানিফ মিয়া,মো জামাল মিয়া(কবিরাজ) মো: এনামুল হক এনাম, মো: নাদিম মিয়া, মো: আজমল সিদ্দিকী, সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মোঃ মাসুদ পারভেজ, সংগঠনের স্থায়ী সদস্য মো: দিদার মিয়া, মো: আরাফাত খন্দকার মিল্লাত, অ্যাড. শাহ মো: কাউসার, দলিল লেখক মো: রুবেল মিয়া, মো: খোকা মাহমুদ, মো: হানিফসহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া।
ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন আতকাপীর জামে মসজিদ খতিব হযরত মাওলানা আল আমিন সাদী। এই সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে ও কাজীপাড়াসহ সকল কবর বাসীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পূণ্যভুমি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় যাচ্ছেন, দ্য ডেইলি এএমটিভি বাংলা ও দৈনিক ফ্রনটিয়ার সম্পাদক, জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা এবং এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক ও সমাজসেবক জনাব আব্দুল মালেক।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের ট্রেনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করেন। সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলান্স এর একটি বিমান যোগে পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
তিনি আগামী ০৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
সময় স্বল্পতাহেতু তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন ও সুধী মহলের অনেকের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির মানববন্ধনের নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ তাদের শান্তি সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অপর দিকে, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সামান্য দূরে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশের আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে শান্তি সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, বিএনপি মানববন্ধনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে। এই মানববন্ধনে যারা এসেছেন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অপর দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিলো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশের যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।