চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১৪ মে তারিখের রবিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আজ ১২ মে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তবে ওই দিন অন্য শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষাবোর্ড জানায়, যে ৫ বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে তা পরবর্তী নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষাবোর্ড জানায়, আগামী রবিবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা আছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র আঘাত এবার কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক শত্রুতার জেরে নেত্রকোনার পূর্বধলার হিরনপুরে বড় ভাবিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দেবর। সেই সাথে গুরুতর যখম করেছে শিশু ভাতিজা আলিফকেও। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বধলার কুমারকান্দা গ্রামের নিজ বসত ঘরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পরিবারের বড় ছেলে খোকন একসময় বাদাম বিক্রি করলেও পরবর্তীতে বিদেশে গিয়ে অর্থ সম্পদ উপার্জন করা নিয়েই সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। প্রতিবেশী স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অর্থ সম্পদ নিয়ে পাঁচ ভাই ও পিতা মাতার সাথে বিরোধ চলে আসছিল বড় ছেলে খোকন মিয়া ও তার স্ত্রী রানু আক্তারের।
এ বিরোধের জেরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘরের ভেতর ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় রানু আক্তারকে।
নিহত রানু আক্তার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের মেয়ে।
মৃতপ্রায় অবস্থায় আহত শিশু সন্তান আলিফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমন হত্যাকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। কান্নায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিহতের স্বামী ও স্বজনরা। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
মূলত পিতা-মাতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ঘাতক সুজন মিয়া (৩০), রুবেল মিয়া (২৮) ও সুমন মিয়া (২৬)। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেওয়ায় পালাতে পারেনি সুজন ও তার মা।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন ঘাতক সুজন মিয়া। কিন্তু তার দাবি দীর্ঘদিনের পারিবারিক ক্ষোভ থেকে একাই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক সুজন ও মা রাবেয়া বেগম (৫৮)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধ থেকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক জনসচেতনতার পাশাপাশি সোচ্চার হতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। তবেই কমতে পারে এমন হত্যাকাণ্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ও বাঁধ ভেঙে গেছে সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি। উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ অঞ্চলের যত বাঁধের ক্ষতি হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। যত মানুষের ঘর ভেঙে গিয়েছে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সব আমি করে দেব। ক্ষতিগ্রস্ত সবার হিসাব করা হচ্ছে, বিকেলে সবাইকে নিয়ে বসব।’
‘জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক পুকুরের পানি নোনতা হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ধানকাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও তরিতরকারি যা নষ্ট হয়েছে, কৃষক যাতে আবার সেগুলো বপন করতে পারে, সেজন্য বীজ, সার, যা যা লাগে সেগুলোর ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমি করে দেবো। নতুন উদ্যমে আপনারা যাতে চাষ করতে পারেন, আমি চাই আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপ নিই। আর সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ করে দিয়েছি, আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা- বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবনের যে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করে যাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আর বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। মায়ের নামে আমরা বৃত্তির টাকা পাঠাই। যারা একেবারে হতদরিদ্র বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিই। এখন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যারা কিনতে পারে না তাদের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। অল্প টাকায় চাল, ডাল, তেল কিনে নিতে পারবে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার শ্যামনগর ও কয়রা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন। এরপর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে গাড়িতে করে খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, ভোজ্য তেলসহ মোট ১৪ কেজির বেশি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা। জীর্ণ, মুড়ির টিন চলছে। গায়ে লেখা- আল্লাহর নামে চলিলাম। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া এত বিলম্বিত করেছি, দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই, এমন আইনের দরকার কী?’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এসময় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ের সময় হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী নামে এক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কাওছার, আবুল হোসেন, ছোট কামাল, হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী, বেলাল, আনোয়ার হোসেন, রিপন, কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর ও আবুল কালাম বাহার। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় লিপি ও নূর নাহারকে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মুকবুল হোসেনের ঘরে ডাকাতদল হানা দেয়। পরে ডাকাতির সময় মকবুল বাধা দিলে ডাকাতদল তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন নিহতের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’
আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি, যা কভিড-১৯ মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।
ড. মোমেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে) কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।’
আইএমএফ প্রধান বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এছাড়া, ক্রিস্টালিনা কভিড-১৯ মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি, বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল।’
শেখ হাসিনা বলেন, পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তাঁর পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।
ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশটি কখনই এর থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সাথে কাজ করছে, যা বাংলাদেশ মাত্র দু’সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে, যদিও অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না।
আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, ‘আইএমএফ ভবিষ্যতে এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস