অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।
জানা গেছে, রাজধানীর কাওরান বাজারে এক টাকার খবরের অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে হেফাজতে নেয় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
ওসি মোবারক হোসেন বলেন, কারওয়ান বাজার জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কেনাকাটা করছিলেন মুন্নী সাহা। এসময় তাকে চিনতে পেরে একদল জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর চড়াও হন। তোপের মুখে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, টেলিভিশন সাংবাদিক ও টক শো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু আজকের কাগজ দিয়ে। সেখান থেকে ভোরের কাগজে দীর্ঘসময় কাজ করার পর তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।
এটিএন নিউজের শুরু থেকে মুন্নী সাহা এ টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে সাত সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, তাদের একজন মুন্নী সাহা।
এদিকে, সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত ৬ অক্টোবর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেনের তথ্য ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ও অন্যান্য দলিলাদির তথ্য বিএফআইইউকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে—উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে—কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দুর্নীতি দমনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘এনআইডি নিয়ে কেউ যদি সচেতনভাবে অপরাধে যুক্ত হয়, আমাদের টলারোন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতেও দ্বিধান্বিত হব না।’
আজ ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, এটার গুরুত্বও বেড়েছে। এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত অপরাধপ্রবণতাও বেড়েছে। যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলে। সম্পত্তি বেহাতের জন্য এটা করে থাকে।’
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, ‘ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ? ভোটকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আমরা স্বাধীনতা পেলাম। এরপর সংবিধান পেলাম, যেখানে নির্বাচনের বিষয়টা আছে। নির্বাচন করতে গেলে ভোটারের প্রয়োজন হয়। এতে ভোটারের রায়েই যেন প্রতিনিধিত্ব আসে সেটাই লক্ষ্য।’
সিইসি আরো বলেন, ‘একটা বড় দল আসেনি। তাই অনেক ভোটার না এসে থাকতে পারে। আমরা কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে।আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। তবে যারা শক্তিশালী তারা অন্যের স্বাধীনতা পছন্দ করে না।’
এর আগে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন শেষে সিইসি জানান, সর্বশেষ হালনাগাদ শেষে দেশে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জনে। চূড়ান্ত তালিকায় ছয় কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন পুরুষ, নারী পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ চার হাজার ৬৪১ জন এবং ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে, যাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতয়াত করছে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য মেট্রোরেল একটা নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেট্রোরেল চালু হবার পরে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমে গেছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর যানজট সহনশীল করার জন্য আমরা ঢাকা মাস ট্রানজিট তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে ৬টা রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে, একটা তো হয়েই গেছে। ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমি মেট্রোরেল করে দিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ, যাতে দেশের মানুষ দ্রুততম সময় যানজট মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে।
আজ ২৯ জুন শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলে মন্তব্য করেছেন। আমি মোটেই তা মনে করি না। বাজেট শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্যে আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই না সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কি? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
তিনি বলেন, এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের কিন্ত নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন সময়েও আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিক-নির্দেশনা সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থ-বছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ। বাজেটের উপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখে বাজেটের উপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যে যাই করুক সকলকেই আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলেছেন, কেউ বলেছে ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন- এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে ইত্যাদি। এবং এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে কিনা। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন হাত পাতার জায়গায় নেই। আমরা ঋণ নেই, ঋণ শোধ করি। এরশাদ সাহেবের সময় রংপুরে মঙ্গা লেগেই থাকতো। এখন মঙ্গা নেই। আজকের সাফল্যে কৃতজ্ঞতা দেশের জনগণের প্রতি। তারা বার বার আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তাই আমরা কাজ করতে পেরেছি। কোভিড অতিমারীর সময় অনেক উন্নত দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ধণাত্মক। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অজনকারী দেশগুলোর তালিকায় সামনের সারিতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করি এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করি। যারা পরিবর্তনগুলো দেখেন না, তাদের বলবো গ্রামে যান। গ্রামের মানুষের যে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা গেলেই দেখবেন। এরশাদ সাহেবের উত্তরবঙ্গে যে মঙ্গা নেই, সেটাও দেখবেন। কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন এলকায় দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকতো। সেখানে ছুটে গেছি, মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। গ্রামের পর গ্রামে গিয়েছি, মানুষের শরীরে মাংস ছিল না চামড়া আর হাড় ছাড়া। এখন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের চলার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। বার বার বাধা এসেছে। দেশের ভেতর থেকে যেমন বাধা এসেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েও চলতে হয়েছে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন- নানা বাধা এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগলে সব কিছুর দাম বেড়ে গেল। ওই অবস্থার মধ্যেও বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছে। কোভিডের সময় উন্নত দেশ বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেয়নি। আমরা দিয়েছি। বিনা পয়সায় টেস্ট করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মিছিল ও শ্লােগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন।
আজ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আরো মিছিল এখনো আসছে।
‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ প্রভৃতি শ্লােগান দিচ্ছে ছাত্র-জনতা।
এছাড়া শহীদ মিনারে ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের তথ্যচিত্র, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দমন-পীড়নের চিত্র। বিকাল তিনটার আগে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর মঞ্চ থেকে শ্লােগান শুরু হয়। বিকাল চারটার দিকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে একজন শহীদের বাবার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান বলেন, আমার ছেলে শাহরিয়ার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় মিরপুর ১০ এ শহিদ হয়েছে। আমাদের কান্না কখনো থামবে না, এই বেদনা শেষ হওয়ার নয়। খুনি হাসিনা ও তার হেমলেট বাহিনী আমাদের ওপর পাখির মতো গুলি চালিয়েছে। আমরা খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।
মিরপুর থেকে আসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন বলেন, জুলাইয়ে আমরা যে শহীদ ভাইদের হারিয়েছে, তাদের আমরা স্মরণ করব। নতুন যে বাংলাদেশ আমরা চাই, সে বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই আজ এখানে আসা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলে। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায় আজ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে ভোর থেকেই সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন।
এই কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল আর ব্যানার, পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলে পুলিশ, পুলিশের ডগ স্কোয়াড, র্যাব, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।