চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবলীগ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হামলাকারীরা ঘরের দরজা-জানালাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে।
এসময় বাড়ির নারীদেরকে অকথ্য গালাগাল ও মারধরের চেষ্টা করেছে হামলাকারীরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী পূর্বপাড়ার মোঃ আলাল মিয়ার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত আকরাম আলীর পুত্র এবং সদ্য ঘোষিত আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
হামলার ঘটনায় আলাল মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে রোববার দুুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মৃত করম আলীর পুত্র জুম্মান মিয়া (৩২), নায়েব আলীর পুত্র রনি মিয়া (২৮) ও এমরান মিয়ার স্ত্রী নাছরিন বেগম (২৭)।
বাদীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, জায়গা সম্পত্তি নিয়া আলাল মিয়া ও জুম্মান মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাল মিয়া স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হয়।
এতে জুম্মান মিয়া আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকাসক্ত রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদেরকে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলাল মিয়ার বাড়ি-ঘরে হামলা করে। মূল্যবান জিনিষপত্র ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ভয় ভীতি দেখিয়ে চলে। এঘটনার পর থেকে আলাল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাল মিয়া আমার কাছে আবেদন করে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২২ মে মাপঝোঁকের তারিখ ধার্য্য ছিল। এর আগে আলাল মিয়ার বাড়িতে হামলা হয়েছে। এটা বিচার কার্যকে বাধাগ্রস্থ করার পায়তারা তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত রনি মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। এর আগে সে একটি বিচারের রায় অমান্য করে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো) আসাদুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ব্যপারে একটি পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পাহাড়ি পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ও তানজিবুল ইসলাম খাদেম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ মে রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিবুল ইসলাম খাদেম ওই গ্রামের আরিফুর রহমান খাদেমের ছেলে। সে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। পড়ার কথায় বলায় বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর স্কুলের পরীক্ষা। পড়ালেখায় অমনোযোগি হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তানজিবকে তার বাবা পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাবার উপর অভিমান করে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বসতঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা বকা দেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখামাত্র অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন ছেলে। ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া সোহেল মিয়া নামে ওই যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের কৌড়াতলীর বকুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহেলের মা মাজেদা বেগম। এ সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আরেকটি মোটর সাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে মাজেদা বেগমকে ধাক্কা দেন। এতে আহত মাজেদা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন লোকজন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সোহেল। হাসপাতালে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা যান সোহেল।
আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. কুদ্দুস খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহেল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে শাহিদ (১৫) নামে এক কিশোর কেড়ির বড়ি (ইঁদুর মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরের দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম। এর আগে আখাউড়া পৌরসভার মসজিদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়ার মো. নিজাম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের অজান্তে কেড়ির বড়ি খেয়ে ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করে। সেখানে ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে নির্মাণ করা প্রতিরক্ষা দেয়ালের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল, রেলওয়ে থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথ।
শত বছরের এ পথ রক্ষায় আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীরা আন্দোলনের নামেন। এ সময় তারা দেয়াল নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থলে এসে তোপের মুখে পড়েন এক রেলওয়ে কর্মকর্তা।
সকাল ৯টার দিকে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও এলাকাবাসী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রথমের তারা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আগের সড়কের ওপর অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পূর্বের সড়কে একটু দূরে দিয়ে ‘ইউলোপ’ রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলে জানান। আর যে রাস্তাটি বন্ধ করা হয়েছে সেটি দিয়ে শুধুমাত্র লোকজন চলাচলের উপযোগি করা হবে বলে উল্লেখ করেন। ওই কর্মকর্তার আশ্বাসে আশ্বস্থ হতে না পেরে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এ সময় তোপের মুখে পড়েন রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এনামুল হক খাদেম, শ্রমিক নেতা বিল্লাল চৌধুরী, সাবেক ইউপি মেম্বার মো. রুস্তম মিয়া, মো. হানিফ, সাজল খলিফা, মনির খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে পশ্চিম কলোনি এলাকার কবরস্থানের পাশ দিয়ে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। দেয়াল নির্মাণ কাজ উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে রেলওয়ে স্টেশনের দিকে আসছে। যেখানে দেয়াল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে সেখানে মাটি, বালু ফেলে রেল বসানোর উপযোগি করে তোলা হচ্ছে। পূর্ব দিক থেকে এসে রেলওয়ে হাসপাতালে যাওয়ার যে পথ সেটি বন্ধ হয়ে গেছে দেয়ালের কারণে। থানায় যাওয়ার পথের সামনেও দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। দেয়ালের অপরপ্রান্তে হাসপাতাল রেলওয়ে থানা, হাসপাতালের পাশাপাশি রেলওয়ের সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, লোকোশেড, রেলওয়ে ক্লাব, রেলওয়ে কোয়ার্টার রয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর ও রূপনগর এলাকার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করে।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা তো আর জোর করে কাজ করতে পারবো না। এলাকাবাসীকে বলেছি আগের সড়ক নিয়ে লোকজন যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। যানবাহন চলাচলের জন্য আরেকটি নতুন রাস্তা করে দেওয়া হবে।