চলারপথে রিপোর্ট :
জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে বীমা শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছেন। জীবন বীমা কর্পোরেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডেপুটি ম্যানেজার-ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনডিসি মোঃ শরীফ নেওয়াজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বীমা ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ আরজু মিয়া, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম সরকার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জীবন বীমা কর্পোরেশনের শাখা ইনচার্জ ফারহানা হক, উন্নয়ন ম্যানেজার, উন্নয়ন কর্মকতা ও এজেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেক কেটে সূবর্ণজয়ন্তির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের উন্নয়ন ম্যানেজার ফেরদৌস রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি চর্চার প্রধান অঙ্গন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে দেয়াল ভেঙ্গে, জানালার লোহার রড কেটে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সঙ্গীতপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র তিতাস ললিতকলা একাডেমিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। সকালে দরজা খুলে দেখা যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পশ্চিম দিকের জানালার লোহার রড কাটা এবং পেছনের একটি দেয়াল ভাঙ্গা, চোর জানালা কেটে প্রবেশ করে ম্যান্ডোলিন,তবলা, টেবিল ফ্যান, ঝুলানো ফ্যান সহ বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্র নিয়ে যায়। এর পূর্বেও এই অঙ্গনের জেলা স্কাউটস ভবন সহ পাশের ভবনে জানালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে একাধিক সঙ্গীত নাটক চিত্রকলা সংস্কৃতিচর্চা, পাঠাগার, স্কাউট ভবন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল এর অফিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সাধারণত সন্ধ্যার পর এই মাঠে একশ্রেণীর নেশাসক্ত বখাটে মাস্তানদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। রাতের বেলায় এই নীরব এলাকায় মাঠে, ছাদে, বারান্দায় নেশাসক্তরা আড্ডা দেয় বলে আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাকে অবগত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে বলে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা) কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাংলাদেশের জাতীয় খেলার (হা-ডু-ডু খেলার) চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই খেলায় সংরক্ষণ শাখার কর্মীরা চারটি দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করে। খেলার চূড়ান্ত পর্বে সাদা ও হলুদ দল প্রতিযোগিতায় নেমে সাদা দল বিজয়ী হয়।
পৗরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদ্দূস উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।
এ সময় চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি খাসি ও রানার্সআপ দলকে একটি হাঁস পুরস্কার দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দলের সদস্যকে মেডেল পড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভার সংরক্ষণ সুপারভাইজার মো. গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ও প্রকাশক ইব্রাহিম খান সাদত।
খেলার ধারা বিবরণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. জহিরুল ইসলাম।
খেলা পরিচালনা করেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু, মো. কিরণ মোল্লা, স্বপন বাবু, লিল মিয়া, নায়েব আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো খেলাধুলার ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি খেলোয়ারদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বৃদ্ধি করায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আমাদের শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। তার পাশাপাশি এই খেলাধুলার আয়োজনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তিনি ভবিষ্যতে তাদের এই খেলাধুলাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় অসংখ্য দর্শক দেশের ঐতিহ্যবাহী এই জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হা-ডু-ডু খেলা উপভোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মোঃ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘মুসলিমদের চরম শত্রু হচ্ছে ইহুদিরা। তারা সারা বিশ্বের অশান্তির কারণ। ইসরাইল ৭০-৮০ বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা আল-আকসাকে রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে যেভাবে রুশ বাহিনী পলায়ন করেছে ফিলিস্তিন থেকেও ইসরাইল পলায়ন করবে।
তিনি ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনতার পক্ষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি আয়োজিত সংহিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়শত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে “প্রধানমন্ত্রী উপহার” চাল বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় জেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চাল বিতরণ উপলক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। তারা দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে কার্যত পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছিলো। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে মুক্ত করেছিলো। পরে আবারো ওই অপশক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারে নি।
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা এসে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বর্তমানে আবারো একটি অপশক্তি সংবিধান বহির্ভূতভাবে দেশে নির্বাচন করতে চায়। তবে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে জনগনকে নিজে বিচার বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে ৬০০ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে ৩৯তম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গৃহীত কর্মসূচি অনুসারে “১৫ ফেব্রুয়ারি” বুধবার বিকেলে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ চত্ত্বর হতে একটি আনন্দ র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে মুক্তমঞ্চে সংগঠণ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক রক্ত ঝরা জেলা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, অ্যাডঃ শেখ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শরীফ আহমেদ খান, আলী মাউন পিয়াস, বাবুল চৌধুরী, কামরুল হাসান নান্টু, তোফাজ্জল হোসেন জীবন, অ্যাডঃ মোঃ কামরুজ্জামান অপু, মোঃ শফিকুল ইসলাম তৌছির, শাহাবুর হোসেন খান অপু, আলী হায়দার তুষার, বশির আহমেদ, কামরুজ্জামান সবুজ, মোজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন, সুবল সূত্রধর, রোমানা আক্তার শ্যামলী, হাজী সিরাজুল ইসলাম, হানিফুর রহমান প্রমুখ।
পরে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সর্বদলীয় উদ্যোগে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলায় রূপান্তরের দাবিতে কয়েক মাস ব্যাপী একটানা আন্দোলন কর্মসূচীর চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতাল চলাকালে তৎকালীন সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু শাহাদাৎ বরণ করে। এর প্রেক্ষিতে ঐ সরকারের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় নিয়াজ মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় মহকুমা হতে উন্নীত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলায় মর্যাদা দিয়ে জেলা ঘোষণা করেন। যা সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে লিখিত নথীতে বাস্তবায়িত রয়েছে।