চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ও তানজিবুল ইসলাম খাদেম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ মে রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিবুল ইসলাম খাদেম ওই গ্রামের আরিফুর রহমান খাদেমের ছেলে। সে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। পড়ার কথায় বলায় বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর স্কুলের পরীক্ষা। পড়ালেখায় অমনোযোগি হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তানজিবকে তার বাবা পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাবার উপর অভিমান করে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বসতঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা বকা দেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলো কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের জজ মিয়ার পুত্র আরিফ হাসান (৪০)। সে পৌরশহরের দূর্গাপুর পশ্চিম পাড়ার আনোয়ারুল হকের জামাতা। আজ ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে শশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস.আই মো. মশিউর রহমান ও এস.আই মোঃ আবির আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভোর ৪টার দিকে দূর্গাপুরের আনোয়ারুল হকের বসত ঘরের সামনের রুম থেকে আরিফ হাসানের জ্যাকেটের পকেট থেকে উল্লেখিত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ৭টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আখাউড়া থানায় মাদক মামলা দায়ের পূর্বক তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবার উপজেলার ৫৩৩ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৬৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। একজন কৃষক তিন মন থেকে শুরু করে তিনটন পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, চলতি মৌসুমে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। উদ্বোধনী দিনে একজন কৃষক ধান দিয়েছেন।
ধান দিতে আসা কৃষক উপজেলার দ্বিজয়পুর গ্রামের তাহের মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে বিক্রি করলে লোকসান হয়। বেপারিরা ১১০০ টাকা মন দরের বেশি নিতে চাননা। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে তিনি ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুটি অংশ পৃথক স্থানে পরামর্শ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
সভায় সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরটি সভাটি হয় উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. নুরুল হক ভূইয়া। সভায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের আহবানে সভাটি হয়। দুটি সভাতেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথক দুটি সভার ছবি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ এপ্রিল অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ। ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ৩৫ দিন বাকী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক ডজনের অধিক নেতাকর্মী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসব প্রার্থী থেকে প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় সকল প্রার্থীকে ডাকা হয়। তবে কয়েকজন প্রার্থী ছাড়া বেশির ভাগ প্রার্থী সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থী ও দলীয় নেতারা প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্তর হবে। এসময় দলীয় কার্যালয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ার প্রার্থী আবুল কাশেম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে অনুষ্ঠিত আরেকটি অংশের সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম হেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামাল। সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সভায় উপস্থিত থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল বলেন, সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি পদে একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যেহেতু আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাদের অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করবো।
জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই আমরা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ার জন্য পরামর্শ সভা করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। প্রার্থীরা আমাদের আমাদের উপর দায়িত্ব দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী (আইনমন্ত্রী) মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তিনি যে দিক নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করবো।
উল্লেখ্য, প্রায় ২ বছর যাবত উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে কয়েকটি কমিটি।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে সংঘর্ষে সাকিব মিয়া (২৫) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তন্তর-তিনলাখপীরের মাঝামাঝি স্থানে এই ঘটনা ঘটে।নিহত সাকিব মিয়ার জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিব মিয়া শনিবার সকালে মোটর সাইকেল নিয়ে কসবা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসার পথে মোটর সাইকেলটি তন্তর-তিনলাখপীর বাজারের মাঝামাঝি স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরোহী সাকিব মিয়া নিহত হয়।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক এবং এক্সভেটরের ব্যাটারি জব্ধ করা হয়েছে। এসময় ট্রাক চালককেও আটক করা হয়। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে মাটি কাটার মূল মালিককে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত ট্রাকগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের মালিক না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাায়ই কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ আসছিল। বিশেষ করে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বেশি মাটি কাটা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ধরখার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কৃষি জমি থেকে মাটির কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক চালকসহ জব্ধ করা হয়। পরে জব্ধকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকচালকরা বেতনভূক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ধরধার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় ড্রাম ট্রাকে কুমিল্লার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করে। প্রতি রাতে ৪০/৫০টি ড্রাম ট্রাক ৭ থেকে ৮ বার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত্র পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাজা দেওয়ার বিধান আছে। ট্রাক চালকরা বলেছে তারা মাটি কাটার মূল ব্যক্তিকে চেনে না। বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে মাটি নিতে এসেছে। ট্রাকগুলো নিতে এলে মাটি কাটার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে জরিমানা করা হবে। নতুবা জব্ধকৃত ট্রাকগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।