অজ্ঞাত মরদেহের শেষ ভরসাস্থল ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 16 May 2023, 950 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নদীতে ভেসে উঠেছে পচাগলা মরদেহ৷ পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহটি দাফনের জন্য খবর দেওয়া হয় ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ সংগঠনকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিচয়বিহীন মরদেহ উদ্ধার হলেই দাফন কাফনের জন্য ডাক পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের। সংগঠনটি গত দুই বছরে ১০১টি পরিচয়বিহীন মরদেহ দাফন করেছে। ১১ মে শহরের মেড্ডায় তিতাস নদীর পাড়ে কবরস্থানে ১০১তম পরিচয়বিহীন মরদেহটি সংগঠনের সদস্যরা দাফন করেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনটি মূলত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ব্লাড ডোনেশনের জন্য৷ এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০০ ব্যাগ রক্ত দান করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু মহামারি করোনার সময় প্রথম দিকে কেউ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মরদেহের কাছে আসতে অনেকেই ভয় পেতেন। সে সময় নিজ সন্তানও মা-বাবার মরদেহের কাছে আসেননি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দাফনে অপারগতা জানালে আমরা করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফনের কাজ শুরু করি। ওই সময় ৮টি করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফন করেছি।

আজহার উদ্দিন জানান, একদিন কবরস্থানে দেখলাম অজ্ঞাত পরিচয়বিহীন মরদেহ কোনো প্রকার কাফন এবং জানাজা ছাড়া মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হচ্ছে। একটা মরদেহ সম্মানের সঙ্গে দাফন না করায় খারাপ লেগেছিল। এরপর বন্ধু-বান্ধব সহকর্মীদের নিয়ে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলো অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ গোসল, কাফন ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের। কাফন ও দাফনের আনুষঙ্গিক ব্যয় আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত চাঁদায় হয়ে থাকে।

এছাড়া মাঝে মাঝে বাইরে থেকেও স্বেচ্ছায় কেউ দিয়ে থাকেন। এখন জেলার কোনো জায়গায় অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হলেই হাসপাতাল মর্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের ডাক পড়ে। ধীরে ধীরে সেই অজ্ঞাত মরদেহের দাফনের সংখ্যা শতাধিকে দাঁড়িয়েছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ যে কাজটি করছি তা খুবই মানবিক। তাদের কাজের অবশ্যই প্রশংসা করতে হয়। অজ্ঞাত মরদেহগুলো দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অভিনন্দন জানাই। সমাজের সবার উচিত তাদের এসব কাজে পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেওয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত মরদেহ দাফনের একমাত্র সামাজিক সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’। পুলিশ যখনই অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে, তাদের খবর দেওয়া হয় দাফন কাফন করতে। তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি যেকোনো সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া, ১৫ বাড়িতে হামলা-লুটপাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 29 July 2023, 622 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ ২৯ জুলাই শনিবার সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার সিন্দুউড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা। ঘটনার পর থেকে আক্রান্ত গোষ্ঠীর পুরুষেরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে কালিসীমা খেলার মাঠে ফুটবল খেলা হয়। এসময় সিন্দুউড়া গ্রামের উম্মত আলী গোষ্ঠীর সোহেল মিয়ার ছেলে মুস্তাকিমের সঙ্গে একই গ্রামের কিমুদ্দি গোষ্ঠীর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লার বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এর জের ধরে রাতে যুবলীগ নেতা আলী আজমের নির্দেশে ৪০/৫০ জনের একটি দাঙ্গাবাজ বাহিনী দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উম্মত আলী গোষ্ঠীর সাবেক মেম্বার কুদ্দুস মিয়া, সোহেল মিয়াসহ ওই গোষ্ঠীর অন্তত ১৫টি ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তারা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, গবাদি পশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই গোষ্ঠীর পুরুষরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম জানান, হামলার বিষয়টি মিথ্যা। বরং ওই গোষ্ঠীর লোকজন আমার ভাইসহ ৫ জনের ওপর হামলা করে তাদের গুরুতর আহত করেছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস.আই আব্দুস সবুর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নোয়াপাড়ায় পুকুরে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 August 2023, 581 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে আব্দুর রহমান (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী।

আজ ৫ আগস্ট শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা নোয়া পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহমান ওই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ও নূরিয়া তাহফিযুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, সকালে আব্দুর রহমান মাদ্রাসার পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে দমকল বাহিনী তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, শিশুটি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার ভারত যাচ্ছে ডিডিএফ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল

বিনোদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 May 2023, 1508 Views,

দ্বিপাক্ষিক টি-২০ হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজ খেলতে

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক টি-২০ হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজ খেলতে আগামীকাল শনিবার ভারতের কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে ডিডিএফ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল (ড্রীম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল) ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতের কলকাতার এন কে ডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজ।

এই উপলক্ষে আজ ৫ মে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এর প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ড্রীম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্না জানান, আগামী ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতের কলকাতার এন কে ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক টি-২০ হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভারতীয় হুইল চেয়ার ক্রিকেট দলের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশের ডিডিএফ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল (ড্রীম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল)। তিনি জানান, গত ২০১৯ সালে ও ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ট্রাই নেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজে ভারত ও নেপালকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ডিডিএফ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি বিগত বছরের মতো এবারো ভারতের মাটিতে লাল-সবুজের বিজয় নিশান উড়াবো। তিনি জানান, সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আমরা পরিবর্তন করতে চাই। আমরা প্রতিবন্ধীরাও পারি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা, কোচ, অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। মুন্না বলেন, ২৫ সদস্যের হুইল চেয়ার ক্রিকেট দলটি শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ভারতে যাবে। সিরিজকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে গত কয়েক দিন তারা অনুশীলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকগণ ও ডিডিএফ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দলের উপদেষ্টাগন উপস্থিত ছিলেন।

১ কোটি ২০ লক্ষাধিক টাকার মাদক ধ্বংস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 24 January 2024, 309 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ এর উপস্থিতিতে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিভিন্ন আলামতের নিস্পত্তিকৃত মামলার ১ কোটি ২০ লক্ষাধিক টাকার মাদক ও আলামত এবং প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নিস্পত্তিকৃত মামলার নথি ও ২০২২ ইং সনের সাড়ে ৮ হাজার পিটিশন ধ্বংস করা হয়েছে।

আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কুরুলিয়ার পাড়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মুখে আধুনিক চুল্লি এবং ভারী যান (ভোল্ডোজার) ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক ও আলামত ধংবস করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আলামত ধ্বংস কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন এবং মালাখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক যোবাইদুল হাসান ভূঁইয়া।

ধ্বংসকৃত মাদক ও আলামতের মধ্যে রয়েছে গাঁজা ৫১০ কেজি ৪৬০ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ১১ হাজার ৫শত ৮০টি, ফেন্সিডিল ২শত ১৫ বোতল, স্কফ সিরাজ ৩শত ৯৯ বোতল, বিদেশী মদ ১০১ বোতল, বিয়ার ৬ক্যান।

এ সময় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, নিস্পত্তিকৃত মামলার মাদক বা আলামত ধ্বংসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেই ইপিআই টিকার কার্ড, কাজ চলছে ফটোকপিতে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 November 2023, 402 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার মাস ধরে নেই শিশু-কিশোর ও নারীদের ইপিআই টিকা প্রদানের কার্ড। ফটোকপি করে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। এ নিয়ে ভবিষ্যতে নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় অভিভাবকরা।

জানা যায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএমএ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইপিআই টিকা দান কেন্দ্র। এই ইপিআই কেন্দ্র থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত শিশুদের বিসিজি, ওপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিবি, এমআর ভ্যাকসিন, আইপিভি, হামের দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়েদের টিটি টিকা এবং এমআর টিকা দেওয়া হয়। এ কেন্দ্রে জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক শিশু, কিশোর ও নারীরা টিকা দিতে আসেন। এই কেন্দ্রে শিশুদের সপ্তাহে ৬দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু চার মাস ধরে এ কেন্দ্রে টিকা দিতে আসা সেবা প্রার্থীরা ইপিআই কার্ড হাতে পাচ্ছে না৷ টিকা দিতে হচ্ছে কার্ডের হচ্ছে ফটোকপি দিয়ে।

আবু হানিফ নামের অভিভাবক বলেন, আমার শিশুকে এই প্রথম টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কার্ড দিয়েছে ফটোকপি করা। বয়স ১৫ মাস হওয়া পর্যন্ত এই কার্ড দিয়েই টিকা দিতে হবে। ফটোকপি করা কার্ড কি ১৫ মাস টিকবে? এমনকি ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্র, বিদেশ গমন, জন্মনিবন্ধনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।

শরিফা বেগম নামের একজন বলেন, এই টিকা কার্ড তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফটোকপি যে দিচ্ছে তা কি থাকবে? নষ্ট হয়ে গেলে তো অনেক দুর্ভোগে পড়তে হবে।

এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বলেন, টিকা কার্ড দিতে না পারায় প্রায় সময়ই অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অনেক সময় বাগ-বিতণ্ডা থেকে চরম আকার ধারণ করে।

এই কেন্দ্রের সুপারভাইজার মমিনুল ইসলাম বলেন, কার্ড না থাকার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জানুয়ারির আগে কার্ড পাওয়া যাবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ বলেন, বেশ কয়েক জায়গা থেকে টিকা কার্ড সংকটের তথ্য পেয়েছি৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অচিরেই এই কার্ড মিলবে বলে প্রত্যাশা করছি। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।