চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগ্যজাই মারমা। প্রথম দিন চার জন কৃষকের কাছ থেকে ১০ মেঃ টন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করবে সরকার। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে।
এবছর ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৬ মেঃ টন। যে কোন কৃষক ধান সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন্নাহার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ জুন মঙ্গলবার থেকে ২ জুলাই রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৬ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
১০ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়ায় বিএনপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, লবন, আটাসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্বি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি। এসব দাবির প্রতিবাদে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পৃথক স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে একই সময়ে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে গাজীর বাজার-হীরাপুর সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জহিরুল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসিন ভূঁইয়া, জাহের ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, মনির মুন্না প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আল আমিন ভূঁইয়া।
এদিকে দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাজীর বাজারে উপস্থিত হয়ে শান্তি সমাবেশ করে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অহিদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ছাদেকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফুর রহমান সজিব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার তারা খড়মপুর মাজার এলাকায় ঘটনাস্থলে আসেন। এসম তারা সরজমিনে ঘটনার খোজ খবর নেন।
এর আগে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যদের এ কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন রেলওয়ের নিরাপত্তার বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) মোঃ শফিকুর রহমান বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করার সময় ধার্য্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক।
জানা যায়, ১০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরশ শুরু হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকাগামী আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পরে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে ২ জন এবং পরদিন শুক্রবার সকালে এবং দুপুরে নদী থেকে আরো দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কমীর্রা।
নিহতরা হলো নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার পুত্রে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল, (২০), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেরে মতি ভূইয়া (৫৫)। অপর ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামে আহত হয়।
ট্রেনের গতি বেশি থাকায় সেতু পার হতে না পারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। সেতুর দুই পাশে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা কমীর্ থাকলে হয়তো এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাড়াহুড়া করে সেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে ছিটকে পড়ে ৪ জন নিহত হয়েছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে আবারও আসবো। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবো।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ আগস্ট দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত ওরশ চলবে।