চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মেধা বিকাশে খাঁটি পণ্য সরবরাহে একটি বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “স্মার্ট লাইভস্টক বাজার” স্কুল ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে নাসিরনগর শিশু কানন চত্বরে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নূরে আলম, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু।
এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্মার্ট লাইভস্টক বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী, সাহেরা বেগম, কোহিনুর আক্তার, শিক্ষক, অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম বিতরণ করেন।
বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত “স্মার্ট লাইভস্টক বাজারে” দুধ, দই, ঘি, পনির, মিষ্টি, লাচ্ছি, দুধ চা, এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম, পোল্ট্রি ও রাজ হাসেঁর মাংসসহ সকল প্রাণিজ পণ্য বিক্রয় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বজায় রাখতে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দেখতে চায়। কিন্তু বিএনপি বড় বড় কথা বলে।
মূলত পরাজয়ের গ্লানি তাদের মনে ঢুকে গেছে বলে আওয়ামী লীগ ৩০ আসন পাবে বলে গল্প করে।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার দুপুরে নাসিরনগরের ঐতিহাসিক হরিপুর বড়বাড়ি পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সব নেতারা এখন আমেরিকা, লন্ডন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মুখী। বাংলাদেশ আমেরিকার কলোনি বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অংশ নয়, যে তাদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল ৬৪১ জনকে। একটি আসন ২/৩ জনের কাছে বেচাকেনা করেছিল। এবারও নাকি আরো বেশি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শীঘ্রই হরিপুর বড় বাড়ির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
বড়বাড়ি প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাফি উদ্দিন। পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে বহিষ্কৃত সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম।
গতকাল রবিবার দুপুরে সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের নাসিরনগর সদরের বাসভবনে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে সমর্থন জানান।
শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। সমর্থন জানানোর পর শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদেরকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম বলেন, আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেও এখন পর্যন্ত প্রচারনা চালাইনি। এই নিবার্চনে সৈয়দ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিচ্ছি।
আজ থেকে কলার ছড়ি প্রতীকের বিজয়ের জন্য আমরা কাজ শুরু করবো। জাতীয় পার্টির প্রতিটি কর্মী সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি ভোটও দেবে। এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন,জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়ে আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন ও মূল্যায়নের ধারাবাহিকতা থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী তারেক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করা, একইসাথে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নাসিরনগর উপজেলা ও নাসিরনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন এবং অধ্যক্ষ বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মামুন মিয়া, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান চৌধুরী পনি, যুগ্ম আহবায়ক শরিফ ভূঁইয়া, নাসিরনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইয়াছিন মাহমুদ, সদস্য সচিব খাইরুল বাশার, যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল সিদ্দিক সহ নাসিরনগর উপজেলা, কলেজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।