চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, উপ-মহাদেশের খ্যাতিমান সেতারবাদক প্রয়াত ওস্তাদ আফজালুর রহমানের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন সন্তানের স্থায়ী পূণর্বাসনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আজ এই প্রতিবন্ধী পরিবারকে চিকিৎসা খাতে জেলাপরিষদ থেকে এককালীন আর্থিক সাহায্যের চেক বিতরণকালে ওস্তাদ আফজালুর বেকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুইকন্যা ও একপুত্রের পরিবারের আর্থিক দূরাবস্তার বর্ণনা শুনে তিনি মানবিক কারণে তাদের পরিবারের আয় নির্ভর স্থায়ী পূণর্বাসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মিলনায়তনে ফুলের ফিতা কেটে কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় সাত গণমাধ্যমকর্মীকে নতুন সাধারণ সদস্যসহ ৩৬জন স্থায়ী সদস্যকে হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নতুন সাধারণ ও স্থায়ী সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান ও নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাবেদ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন ও সদস্য ফরহাদুল ইসলাম।
প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিশিভশনের সাতজন প্রতিনিধিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এসময় সাতজন সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র দেওয়া হয়। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছার জানিয়ে প্রেসক্লাবের ৩৬ জন সদস্যকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান করা হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুলের তৈরি ফিতা কেটে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য জয়দুল হোসেন ও আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া, বুকের মাঝেবিশ্বলোকের পাবি সাড়া’ এই শ্লোগানকে নিয়ে গতকাল শনিবার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সম্মেলন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে বিকালে সাংগঠনিক অধিবেশনে একুশে পদক প্রাপ্তবাচিক শিল্পী ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্যদুলাল পোদ্দার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ।
বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেনজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামিল ফোরকান।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্বলন ও বোধন সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মানবর্দ্ধন পালের সভাপতিত্বেবিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবুল ফারাহ পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহসভাপতি অরুনাভ পোদ্দার।
অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রশীলন সম্মাননা প্রদান করা হয়দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব একুশে পদক পাপ্ত রবীন্দ্রগুণী মফিদুল হক কে। আবৃত্তিও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামিল ফোরকান ও নুসরাত জাহান জেরিন।
সম্মেলনে মানবর্দ্ধন পালকে সভাপতি ও মাসুদ উর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং জামিনুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। আজ ৭ জুন শুক্রবার বিকাল ৫ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,আওয়ামী লীগ নেতা তানজিন আহমেদ,মো.মনির হোসেন,সুজন দত্ত,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিদ সোহাগ,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম পিন্টু,জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বিক্রয় করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দোকানগুলো থেকে মোট ২৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে প্রায় ৫০ টি দোকানে পলিথিন মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে প্রচারনা চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে গতকাল রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে হয়ে গেল বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান।
জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ’২৩ -এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তাদেরকে প্রথমবারের মত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। কৃতী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ,সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল, সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, ডাঃ অরুনাভ পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব, তিতাস আবৃতি সংসদের পরিচালক মনির হোসেন, এবং তরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ।
বরাবরের মতোই আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ সম্মেলক গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। তার পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ডা. আফরোজা মোমেন পরপর দুটি নজরুলসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের মধ্যে একটি করে বর্ষার গান পরিবেশন করেন তনুজা দেবনাথ, প্রিয়ম আচার্য,সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত, প্রান্তিকা সাহা প্রথা, অর্পিতা রায়,উপমা দেবনাথ,ইতি ঘোষ,অনন্যা কর্মকার অদিতি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সম্মাননা প্রাপ্ত কৃতী আবৃত্তি শিল্পী রেজা এ রাব্বি। জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রথম হওয়া তনুজা দেবনাথ যখন এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে গানটি পরিবেশন করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল পুরো মিলনায়তনে। মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন শতাধিক দর্শক শ্রোতা।
কী-বোর্ডে ছিলেন আব্দুর রাহীম এবং তবলায় সুদীপ্ত সাহা মিঠু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান এবং সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ ইকবাল খান।
অংশগ্রহণকারী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন –
১. তনুজা দেবনাথ (ঘ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীত ও হামদ-নাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম।
২. প্রিয়ম আচার্য (খ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৩.প্রান্তিকা সাহা প্রথা (ক – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৪.উপমা দেবনাথ (গ গ্রুপ)
নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৫.অনন্যা কর্মকার অদিতি (ক গ্রুপ)
দেশাত্মবোধক গানে বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়।
৬.ইতি ঘোষ (ঘ – গ্রুপ)
উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৭.সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত (ঘ গ্রুপ)
নজরুলসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৮. অর্পিতা রায় (গ-বিভাগ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৯.রেজা এ রাব্বী
আবৃত্তি (ঘ – গ্রুপ) বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।