চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে শনিবার। পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই সভা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি (জানুয়ারি) মাসেই দেশের ১৫টি উপজেলার সাড়ে ২৪ লাখ নাগরিকের মাঝে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীতে আরো ১০ উপজেলায় এই কার্ড বিতরণে যাবে সংস্থাটি। এছাড়া বন্ধ থাকা বিতরণ কার্যক্রমও ফের চালু করা হবে।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এতে বরিশালের বাকেরগঞ্জ, কুমিল্লার সেনা নিবাস, দিনাজপুরের বিরামপুর ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি; চট্টগ্রামের লোহাগড়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নাটোরের লালপুর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া ও বাগেরহাটের চিতলমারীতে ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি; ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার ও শরিয়তপুরের ডামুড্যায় ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি এবং খুলনার ফুলতলা ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৪ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি স্মার্টকার্ড বিতরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। এই ১৫ উপজেলায় ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ জনকে দেওয়া হবে উন্নতমানে এই নাগরিক পরিচয়পত্র।
এদিকে সংসদ নির্বাচনের কারণে স্থগিত স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমও চালু করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি। সংস্থাটির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) ফয়সল কাদেরের পাঠানো ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে চলমান স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া যে সব উপজেলা, থানা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড মুদ্রণপূর্বক প্রেরণ করা হয়েছিল কিন্তু বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি তাদেরকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এই অবস্থায় যে সকল উপজেলা, থানায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল সে সকল উপজেলাথানায় আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১১ সালে হাতে নেওয়া স্মার্টকার্ড প্রকল্পটির মেয়াদ শেষে সরকারি তহবিল থেকে নেওয়া এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি প্রথম হাতে নেওয়ার সময়কার নয় কোটি ভোটারকে উন্নত মানে এনআইডি দেওয়াই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। অথচ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ওই নয় কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড বিতরণ সম্পন্ন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রথমে ফরাসি প্রযুক্তি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজির কাছ থেকে এই কার্ড করে নিলেও, চুক্তি ভঙ্গ করায় প্রতিষ্ঠানটিকে আর কাজ দেয়নি ইসি।
বর্তমানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাসব্যাপী “আধুনিক ধান চাষাবাদ কৌশল এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত হয়েছে আজ ১২ জুন সোমবার।
এ উপলক্ষে গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনের কনফারেন্স রুমে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিতত্ত বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ফলিত গবেষণা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবির, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান সিরাজুল ইসলাম। প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাকিব হোসেন, নুরনাহার, মো. মনিরুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করেন নারায়নগঞ্জের বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মুহাইমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মানিকগঞ্জের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক শামসুন্নাহার এবং তৃতীয় হন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র লিয়াজুঁ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন। অনুষ্ঠানে ব্রি’র সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কৃষি বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের হাত ধরেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সুতরাং, এই প্রশিক্ষণটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন অনেক জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ১৪ মে।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল বাংলা ১ম পত্র, ২ মে বাংলা ২য় পত্র, ৩ মে ইংরেজি ১ম পত্র, ৭ মে ইংরেজি ২য় পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ১১ মে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৪ মে পদার্থ বিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় বা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি আর এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এই সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করতে হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গায় অধিক মূল্যে পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রির অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং টিম এ জরিমানা করে। আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট, বড় বাজার পুরাতন গলি ও কাঁচা বাজার মনিটরিং করে জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটে মনিটরিং করার সময় কয়েকটি দোকানে অধিক মূল্যে পোশাক বিক্রির প্রমাণ মেলে। এ অপরাধে নন্দন কালেকশনের মালিক সুমন পারভেজ খানকে ১০ ও হৃদয় গার্মেন্টেসের মালিক আকরাম আলী শেখকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় পাশের আব্দুল্লাহ সিটিতে একই অপরাধে বিপুল গার্মেন্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে বড় বাজার পুুরাতন গলি ও কাঁচা বাজারের অভিযানে শাড়ি হাউজ নামের প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার, আকাশ ফিশ হাউজের মালিক কালু মিয়াকে ৫ হাজার, রবগুল স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সকল ব্যবসায়ীকে অধিক মূল্যে পণ্য বেচাকেনা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাজার মনিটরিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবু তারেক ও আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ, বাজার বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যদের স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য ২০ কোটি করে টাকা বরাদ্দ পাচ্ছেন তারা।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এমপিরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও একটা থোক বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ সরকার দেবে কি না?
এর জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন বলে একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন।
এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।