চলারপথে রিপোর্ট :
বেঙ্গাউতা গ্রামে বাস করেন এক হাজার পরিবারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামে শিশু রয়েছে অন্তত ৫০০। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের জন্য কোনো বিদ্যালয় নির্মিত হয়নি গ্রামটিতে। সবচেয়ে কাছের যে বিদ্যালয়, সেই কালিউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থানও প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। রাস্তাঘাট বেহাল হওয়ায় বছরের প্রায় ছয় মাস নৌকা ছাড়া যাতায়াত করতে পারেন না বাসিন্দারা। এ সময় চলাচলে ঝুঁকি থাকায় শিশুরাও দূরের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এ গ্রামের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন খান পড়েন রাজধানী ঢাকার তিতুমীর কলেজে। সেখানকার অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র বোরহান আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, ‘আমাদের গ্রামে স্কুল নেই, রাস্তাঘাট নেই। মানুষের চেহারা নিয়ে কেবল বেঁচে আছি। শিক্ষার অভাবে প্রকৃত মনুষ্যত্ব জাগছে না।’ বোরহান আরও বলেন, এখানে শিক্ষিত কোনো মানুষ থাকেন না। যাঁদের অবস্থান একটু ভালো, তাঁরা চলে যান শহরে। ফলে বাসিন্দাদের সবাই নিরক্ষর।
মো. আমির বলেন, রাস্তাঘাট না থাকায় পাশের গ্রামেও যেতে হয় ফসলি জমি মাড়িয়ে। বর্ষায় তা-ও ডুবে যায়। যে কারণে ছয় মাস কোথাও যেতে পারেন না। নৌকার পথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিশুরা পাশের গ্রামের বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।
কালিউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুবনা আক্তার বলেন, বেঙ্গাউতায় আনুমানিক পাঁচ শতাধিক শিশু রয়েছে। নদী পার হয়ে বছরের তিন-চার মাস কিছু শিশু বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। সম্প্রতি তাদের আসা কমে গেছে। তিনি শুনেছেন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে অনেকে।
এর ইঙ্গিত মেলে বিদ্যালয়টির দুই ছাত্রীর কথায়। চতুর্থ শ্রেণির আফরোজা আক্তার বলল, ‘আমরার গ্রামে একটা ইস্কুল হইলে ভালা হইতো। এতো দূরের ইস্কুলে যাইতে মন চায় না। আব্বায় কইছে মাদ্রাসায় ভর্তি কইরা দিবো।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বিলকিস আক্তারের আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। তাঁদের মতো সে ভবিষ্যতে শিক্ষাদান করতে চায় অন্যদের। তবে এ পথে যে বাধা অনেক। বিলকিস বলে, ‘এতো দূর থেকে ইস্কুলে আইতে পারি না। বৃষ্টি আইলে বইখাতা ভিইজ্জা যায়। বন্যার সময় নৌকা দিয়া আইতে ডর (ভয়) লাগে।’ তাই স্থানীয় খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবিও জানায় সে।
সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে এ গ্রামের মানুষ বঞ্চিত বলে স্বীকার করেন চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মনসুর। তিনি বলেন, এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও রাস্তাঘাট তৈরি জরুরি।
জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার ১৩২টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১২৪টি। তবে ১৭টি গ্রাম বিদ্যালয়হীন। এর একটি এই বেঙ্গাউতা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, বিদ্যালয় স্থাপনে ৩৩ শতক জায়গার প্রয়োজন। জায়গার খোঁজ পেলে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।
ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছেন। ওই গ্রামে বিদ্যালয় নির্মাণে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের নতুন সংযোজন অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিশেষায়িত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকালে আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামালের সভাপতিত্বে “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড”এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নাক,কান গলা বিশেষঞ্জ সার্জন সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন ভুইয়া, ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া,পরিচালক ডা: মুকবুল হোসেন,পরিচালক ডাঃ পান্না বনিক,হাজ্বী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মো: শাহেদুল ইসলাম,মো: ফরহাজদুক ভুইয়া, স্বপন দেবনাথ, মো: মনিরুজ্জামান,আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বীরেন্দ্র বিশ্বাসসহ পরিচালকবৃন্দ, সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে“আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
অন্যদিকে আধুনিক হাসপাতাল কনফারেন্স কক্ষে উন্নত চিকিৎসা’ প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয় শীর্ষক সাংবাদিক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ ও আধুনিক হাসপাতালের পরিচালকগণের অংশগ্রহণ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়কালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। যা রোগী একই স্থানে সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কলেজ মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পীরজাদা মাওলানা রিয়াজুল করিম আল-কাদরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আতাউর রহমান গিলমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজি, মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, মাওলানা সাহাবুদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুরুল আলম শেখ, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা শেখ নুরুল আলম, যুবসেনার মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাজহারুল হক রাব্বি পাঠান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিসহ সেখানকার মুসলমাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
১১ জুন মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার মাওলানা আবু আহমেদ কল্যাণ ট্রাষ্ট নামে একটি শিক্ষা ও সেবামূলক সংস্থার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবু আহমেদের সভাপতিত্বে সাংবাদিক মনিরুল হোসাইন ও তম্ময় আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য এম.বি কানিজ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, তুরস্কের মানবিক সেচ্ছাসেবী সংস্থা রিভাত এর প্রতিনিধি মোস্তুফা ইরোগলু, বিল্লাল ইরোগলু, হাফেজ মোহাম্মদ যুগনিউল হাসান ও প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবু আহমেদ কল্যাণ ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজটি তদারক করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
নাসিরনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছু দূর যেতেই রাস্তার মাঝ অংশে আরো কয়েকটি খুঁটি দেখা যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
চিতনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে ৭-৮টা খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। গত দুই-তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটির কাজ চলায় কাদা হয়ে গেছে। এই কর্দমাক্ত রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার বলার পরও খুঁটিগুলো সরানো হচ্ছে না।
অপর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার মইধ্যে বিদ্যুতের খুডি (খুঁটি) রাইখা কীভাবে রাস্তার কাজ করে আমার বুঝে আসে না।’
গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণকাজ চলছে। এটা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা তাঁর জানা নেই। তবে রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে হবে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যে সব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে তা সরিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।