অনলাইন ডেস্ক :
পরাজয়ে শুরু, পরাজয়েই আইপিএল ১৬তম আসর শেষ দিল্লি ক্যাপিটালসের। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আইপিএল এবারের আসর শুরু করে দিল্লি।
আজ ২০ মে শনিবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেইডয়ামে গ্রুপর্বে নিজেদের শেষ এবং নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও জয় পায়নি দিল্লি। ২২৪ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দলটি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজ গায়কোয়াদ ও ডেভন কনওয়ের জোড়া ফিফটি ভর করে ৩ উইকেটে ২২৩ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস।
দলের হয়ে ৫০ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার আর ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৭৯ রানে ফেরেন ঋতুরাজ। ৫২ বলে ১১টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে খেলেন ৮৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। ইনিংসের শুরু থেকে ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
৫৮ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রান করেন ওয়ার্নার। তার একার লড়াইয়ের পরও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে ইনিংস গুটায় দিল্লি। ৭৭ রানের বড় জয় পায় চেন্নাই।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বামী জহির ইকবালকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তার এই অভিযোগের কথা শুনে শুরুতে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। তাহলে কী অভিযোগ দ্বারা এই ছয় মাসের দম্পতি বিচ্ছেদের খবর শোনাবেন? এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল অনেকের মনে। তবে সেটা অভিযোগ নয় বরং সেটা আসলে স্বামীর প্রতি এক ধরনের অনুযোগ।
অভিনেত্রীর কথায়, জহির সবসময় এর সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটিতে মেতে থাকেন। সেজন্যই একটুও শন্তিতে নেই সোনাক্ষী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সোনাক্ষী। আর বেড়াতে গিয়েই দু’জনে মেতে উঠেছেন ছেলেমানুষিতে। কীভাবে সারাক্ষণ জ্বালাতন করেন জহির, তার নমুনা হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এই বলিউড তারকা।
ভিডিওতে দেখা গিছে, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ দম্পতি। সেখানে পানিতে পা ভেজাচ্ছেন অভিনেত্রী। এমন সময় জহির পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দিলেন। ঢেউয়ের তোড়ে সোনাক্ষী এ দিকে পড়ছেন একবার, কখনও আছাড় খাচ্ছেন সমুদ্র পাড়ে। দূরে দাঁড়িয়ে হেসে কুটিকুটি জহির। ক্যামরাবন্দির সেই মুহূর্তটা শেয়ার করে অভিনেত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাকে এক ফোঁটা শান্তি দেবে না। একটু ভিডিও করতে দেবে না।’
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, সোনাক্ষী বিমানে ঘুমাচ্ছেন তখনও স্ত্রীকে বিব্রত করছেন, কখনও আবারও ভয় দেখাচ্ছেন জহির। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
চলারপথে ডেস্ক :
তানজিম সাকিব, শরিফুল ও সৌম্যের বোলিং তাণ্ডবে স্বাগতিকরা শতরানের আগেই অলআউট হয়ে যায়। ৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হয় এই ম্যাচ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
টাইগারদের বোলিং তোপে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে ১৫ দশমিক ১ ওভারেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যথা পান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য। প্রথম ওভারেই অ্যাডাম মিলনের বলে আঘাত পান তিনি। তবে তা সামলে নিয়ে খেলা চালিয়ে নিলেও হঠাত বিপত্তি বাধে চোখে। ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত করেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে। ফিজিও এসে চোখে ড্রপ দিলেও শেষ পর্যন্ত এড়ানো যায়নি সমস্যা। মাঠ ছেড়ে উঠে যান সৌম্য সরকার। ৫ দশমিক ৪ ওভারে বিনা উইকেটে তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ রান।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক শান্ত করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরমধ্যে ইনিংসের এগারতম ওভার করতে আসা ও’রর্ককে টানা মেরেছেন চারটি ৪! তবে সেই ও’রর্কের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল বিজয়। জয়ের জন্য যখন আর মাত্র ১৫ রান দরকার তখনই আউট হন তিনি। ৭টি চারের মারে ৩৩ বলে ৩৭ রান করেন এই ওপেনার।
এরপরে ক্রিজে আসেন লিটন। তবে তিনি শুধু সঙ্গ দেন শান্তকে। নিজেরের হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ফলে স্বাগতিকদের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নেমে সমান ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব, সৌম্য ও শরিফুল। বাকি একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন এই তিন পেসার।
এরমধ্যে ৭ ওভার বল করে গড়ে ২ রান করে দিয়েছেন তানজিম সাকিব। মেডেন ও নিয়েছেন ২ ওভার আর উইকেট নিয়েছেন তিনটি। হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।
সমান ওভার বল করে শরিফুলও নিয়েছেন তিন উইকেট। তিনি ওভারপ্রতি দিয়েছেন গড়ে ৩ দশমিক ১০ রান। অলরাউন্ডার সৌম্য হাত ঘুড়িয়েছেন ৬ ওভার। উইকেট নিয়েছেন ৩টি যার মধ্যে দুটোতেই উড়িয়ে ফেলেছেন কিউই ব্যাটারের স্ট্যাম্প।
শুরুতেই আঘাত হানে তানজিম সাকিব। পাওয়ারপ্লে’র মধ্যেই তুলে নেয় দুই উইকেট। অফ স্ট্যাম্প লাইনে বল করে রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৮ রান।
রাচিনকে ফেরানোর পরের ওভার মেডেন, এরপরের ওভারেই ফেরান হেনরি নিকোলসকে। ২২ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের।
এরপরে টপাটপ তিন উইকেট তুলে নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। ২ উইকেট হারানোর পর টম ল্যাথামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে ৩ রানের ব্যবধানে জোড়া আঘাতে দুজনকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল। এরপরের ওভারে আবারও উইকেট পান তিনি। এবার তুলে নেন মার্ক চাপম্যানকে। ততক্ষণে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ফেরান টম ব্লান্ডেলকে।
এরপরেই দৃশ্যপটে ঢোকেন সৌম্য। ক্রিজে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে উড়ে যায় ক্লার্কসনের স্টাম্প। যেন কিছুই বুঝতে উঠতে পারেননি তিনি। ১৬ রানে ফেরেন তিনি আর ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১ রানের ব্যবধানে আবারও অ্যাডাম মিলনের উইকেট উপড়ে ফেলেন সৌম্য। এবারও বোল্ড করেন মিলনেকে ফেরত পাঠান সাজঘরে।
৯৭ রানে আবারও উইকেট পান গত ম্যাচে দেড়শ পার করা এই অলরাউন্ডার। এবার ফেরান অদিত্য অশোককে। ১২ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। ফলে ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে শতরান পার করার চেষ্টায় ছিল বিপর্যস্ত কিউইরা।
তবে কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ফলে দলীয় ৯৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। তবে শেষ ম্যাচ জিতলেও সিরিজ ঠিকই জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ফ্যাশন আইকন ছিলেন সালমান শাহ। আজ এই স্বপ্নের নায়ককে হারানোর ২৮ বছর। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য আজো উদঘাটিত হয়নি।
বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহ’র ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অমর এই নায়কের। এতে তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন সালমান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।
সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।
সালমান শাহ চলে গেছেন দুই যুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনো চলমান। এ নায়ককে নিয়ে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-তে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ একটি গান উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। গানের শিরোনাম ছিল ‘নাম্বার ওয়ান হিরো’। এ ছাড়া সালমান শাহর সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা তাকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না।
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর তাদের ‘স্বপ্নের নায়ক’। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।
বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গান শ্রোতারা বরাবরই পছন্দ করে। তাঁর ‘নিশিথে আইসো ফুলবনে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’ গানগুলো শ্রোতারা এখনো শোনে। একসময় নিয়মিত গান প্রকাশ করলেও গত কয়েক বছর ধরে কম গান করছেন আঁখি আলমগীর।
সর্বশেষ এ বছর ৩১ মার্চ শওকত আলী ইমনের সঙ্গে ‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছিলেন আঁখি।
দুই জনই ভিডিও চিত্রে হাজির হয়েছিলেন। সমালোচকরা গানটির প্রশংসা করেছিলেন। অথচ এরপর আর কোনো গান প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। অনেক অডিও প্রতিষ্ঠান নতুন গানের প্রস্তাব দিলেও সময় নিচ্ছেন তিনি।
কারণ হিসেবে বললেন, ‘গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে।
তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান।’
আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার।
তাদের নিরাশ করতে চাই না।’
আঁখি আলমগীর এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কয়েকটি স্টেজ শোতে তিনি অংশ নেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন জেন বার্কিন প্যারিসে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম তার কাছের লোকজনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তাকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দেশটি তার একজন আইকনকে হারাল।
২০২১ সালে বার্কিনের স্ট্রোক হয়েছিল। তার আগে কয়েক বছর ধরে তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।
লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা বার্কিন ফরাসি ভাষায় গান গেয়ে খ্যাতি পান। ১৯৭০ এর দশকে তিনি ফ্রান্সে স্থানান্তরিত হন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বার্কিনকে একজন ‘ফরাসি আইকন’ ও ‘পূর্ণাঙ্গ শিল্পী’ আখ্যা দেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, তিনি আমাদের এমন সুর ও ছবি দিয়েছেন যা কখনো ভোলা যাবে না।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেছেন, তিনি ‘প্রজন্ম জয়ী’ শিল্পী। ক্লাসিক ব্লো আপ (১৯৬৬), ডেথ অন দ্য নাইল (১৯৭৮) ও ইভিল আন্ডার দ্য সান (১৯৮২) বার্কিন অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। খবর- বিবিসি ও রয়টার্স