অনলাইন ডেস্ক :
আজ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার প্রতি বছরের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণসহ সারা দেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিনদিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জানা গেছে, বিশ্ব জুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক অর্থাৎ সুস্থ থাকতে মেডিটেশন বা ধ্যানের কার্যকারিতা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সুস্থতা ও সাফল্যের পথ দেখায় মেডিটেশন।
ছয় বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর তিনি এ সম্পর্কে আরো উত্সাহী হয়ে ওঠেন। তবে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চাকারীরা বিশ্বাস করেন, মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
অনলাইন ডেস্ক :
সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে একমত বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদ। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি। আনিসুল হক বলেন, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক, দুই লাখের অধিক বাংলাদেশি বাহরাইনে চাকরি করে। কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন সেখানকার রাজা কোনো পার্থক্য করেননি বাহরাইনি ও বাঙালির মধ্যে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায়, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক আছে। তিনি আরো বলেন, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবো বলেই আজকের আলাপ-আলোচনায় একমত হয়েছি আমরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য এ আদেশ দেন। এর আগে রিমান্ড শেষে উম্মে ফাতেমাকে আদালতে হাজিরের পর কারাগারে রাখার আবেদন করে সরাইল থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান খান পাঠান আদালতকে লিখিতভাবে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সরাইল থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় উম্মে ফাতেমাকে ৬ অক্টোবর রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ওই রাতেই তাঁকে সরাইল থানা-পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ৬৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় আসামিদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার কাটানিশার গ্রামের বাসিন্দা লিটন মিয়া (২৭)।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মামলাটির বিষয়ে শিউলি আজাদের দেওয়া তথ্যের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হাসান। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তাঁকে আবারও রিমান্ডে আনার আবেদন করা হবে।
এদিকে শিউলি আজাদের আইনজীবী জয়নাল উদ্দিন জানান, আগামী ৩ নভেম্বর শিউলি আজাদের জামিন আবেদনের ওপর আদালতে শুনানি হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয়ের অপরাধে বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স মাসুদ আল নুরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন মদনাডাঙ্গা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সজল আহমেদ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজির টিএসপি সার ৩৯ টাকা, ২১ টাকা কেজির ডিএপি সার ৩০ টাকা, ২০ টাকা কেজির এমওপি সার ৩০ টাকা কেজি এবং ২৭ টাকা কেজির ইউরিয়া সার অধিক দামে বিক্রয়, সার ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার প্রদান ও সংরক্ষণ না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার অপরাধে বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স মাসুদ আল নুরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ এবং মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যে পরিকল্পনায় বাস্তব অগ্রগতি নেই সে পরিকল্পনা মূল্যহীন।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে রাজউক ভবনের অডিটোরিয়ামে সিটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গ্যাপ ফান্ড এর সহায়তায় রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এবং GIZ (Deutche Gesellschaft Fur Internationale zusammenarbeit) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “হাজারীবাগ ও লালবাগের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু পরিকল্পনার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। যেখানে সরিয়ে নিয়েছি সেখানেও কাজটি ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে শুধু পরিকল্পনা করে লাভ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। আমি চাই আগামীকাল থেকেই আপনারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন। এবছরের শেষেই যেন কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয় আপনারা সেভাবে কাজ করবেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা আইন কানুন ও বিধিনিষেধ মেনে চলি। ক্লাইমেটের রেজিলিয়েন্সের জন্য ওয়ার্কশপ ও প্লানিং এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু একটা কথা সবসময় চিন্তা করতে হবে আমাদের দ্বারা যেন ক্লাইমেট নষ্ট না হয়। আমরা যখন বাড়ি বানাবো তখন যতটুকু ছেড়ে দেয়া দরকার ততটুকু যেন ছেড়ে দেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আমাদের পাশের যে বাড়ি আছে পারলে আমরা সেটিও দখল করার চেষ্টা করি। এই সব থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রাজউককে বলব আমরা সবাই মিলে এই কাজটি শুরু করে দিতে চাই। ২০২৪ সালের ইতোমধ্যে ৬ মাস চলে গিয়েছে। সময় চলে যাবার আগেই এই কর্মপরিকল্পনাটি শেষ করতে না পারলেও অন্তত যেন শুরু করতে পারি।
কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জন্য। ৪০০ বছরের এই শহরে নগরায়নের ফলে পুরান ঢাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে আবাসন ব্যবস্থায় নানা ধরনের ঘাটতি আছে। যার কারণে এখানে প্রতিনিয়ন নানা দুর্ঘটনা ঘটে।
মন্ত্রী আরও জানান, পুরান ঢাকাকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা লালবাগ ও হাজারিবাগ এলাকাকে উন্নত করার পরিকল্পনা করেছি। ওভার পপুলেটেড একটি নগরীকে কিভাবে পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু একটি গ্রিন নগরীতে গড়ে তোলা যায় সে জন্য এই পরিকল্পনা করেছি। আমরা একটি ব্রাউন ফিল্ডকে কিভাবে গ্রিন আইল্যান্ড করা যায় সে ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশ সরকার মিলে পুরান ঢাকার জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এবং নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই পরিকল্পনাটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দুই এলাকার নগরবাসীর জীবন মান আরো উন্নত হবে।
কর্মশালায় হাজারিবাগ ও লালবাগের জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো নবীরুল ইসলাম, জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোর চর্চা বেশি বেশি করে করা উচিত। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়। খেলাধুলা হলে বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে ঐক্যের মনোভাব গড়ে ওঠে। তাই আমরা এ বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও খেলাধুলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
দেশের সব বিভাগীয় শহরেই একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
এ জন্য দেশের সব বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি করা হবে। ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে।’
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সে জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটা করে বিকেএসপি গড়ে তুলতে হবে। এটা আটটা বিভাগে আটটা হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটবেলা থেকে ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খুবই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
ফুটবলে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। আরো কয়েকটা বাকি আছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই যে খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতায় উদার হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।’
খেলাধুলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজে খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই এই শীতকালে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। আমার বাবাও নিজে ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল এবং জামাল নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’
স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ড. মুহম্মদ মনিরুল হকসহ দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তরা উপস্থিত হয়েছেন।
‘খেলাধুলায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি ৫২তম এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণে সারা দেশের ৮২৪ জন রাজশাহী এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়ি লাফ ইভেন্টসহ হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই আটটি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে।
এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।