চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর জায়গা দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্বীর মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে শেষ হয়েছে। এই নদী দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। তিতাস নদীর অংশটি দুই বছর আগে নৌচলাচলের সুবিধার জন্য খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি লঞ্চ ও শতাধিক ট্রলার চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তিতাস নদীতে একটি পাকা ঘাটলা রয়েছে। এই ঘাটলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করে। ঘাটলাটি থেকে আরো ৩০-৪০ ফুট উত্তরে নদীর মধ্যে মাটি দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য নদীর মধ্যে মুলির (বাঁশ) বেড়া ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নৌকার মাঝি সোলেমান জানান, প্রতিদিন এই নদী দিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। এই বাঁধের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধ নির্মাণকারীদের একজন মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাদের বাড়ির অনেকের জমি। আমারও ৩০ শতক জমি আছে বাঁধের মধ্যে। মাছ চাষ করতে এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।’
চান্দেরচর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, তিতাস নদীতে বাঁধ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, নদীতে কোনো রকম বাঁধ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌচলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জমির মালিকরা বলছে এটা তাদের জায়গা, কিন্তু নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হ্যালোথেন গ্রুপের ওষুধ হ্যালোসিন যেখানে পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ১৫ জুন শনিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওষুধটি সরকার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যা ব্যবহার করার অধিকার কারো নেই। এটি বিক্রির দায়ে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক এ ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে।
এটি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার সঙ্গে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ নিষিদ্ধ চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পরিপত্র জারি করে এ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেখানেই পাবো সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আসল নকল পরের কথা ব্যানড মানে ব্যানড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
অনলাইন ডেস্ক :
রামেক হাসপাতালে নওগাঁর এক নারী একসাথে পাঁচ ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাঁচটি নবজাতক প্রসব করেন তিনি। পাঁচ নবজাতক ও মা সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রামেকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
ঐ প্রসূতি মেরিনা খাতুন (৩৫) নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল মজিদের (৪০) স্ত্রী। এই দম্পতির আরো দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পর অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাগুলোর জন্ম হয়। বাচ্চাগুলোর মধ্যে দু’টির ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম, দু’টির ১ কেজি ৩০০ গ্রাম এবং ১টি’র ওজন ১ কেজি।
প্রসূতি মেরিনা খাতুনের মামা শ্বশুর নয়ন বাবু জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা আগে থেকে জানতাম তিনটি সন্তান হবে। এ জন্য ভাগ্নে বউ মেরিনাকে দেখাশোনার জন্য পাঁচ নারীকে নিয়োজিত করেছিলাম। তবে মেরিনা সুস্থই ছিলেন। খাওয়া দাওয়াসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করেছেন। গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা উঠার পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা প্রসূতিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর মেরিনাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে সিজারিয়ান অস্ত্রপচারের মাধ্যমে একে একে পাঁচটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়।
রামেক হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান রোকেয়া খাতুন বলেন, তার অধীনেই ঐ প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসূতির উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের সমস্যা ছিল। এ জন্য প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়েছে। মা ও সন্তানরা সুস্থ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অল্প একটু যা সমস্যা হয়েছে তা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে নেটসেবা নির্বিঘ্ন আছে।
আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেই সাথে দেশকে অশান্ত করার বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে।
ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম সন্তোষজনক ভাবে হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চলমান আছে। আশা করছি সবাই ঘর পাবে, কেউ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, ভারতের উজানের পানিতে এ বন্যা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি ভারত যা করেছে তা ঠিক হয়নি।
জেলার ফুলগাজীর জগতপুরেও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি হয়ে গেছে। নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এবার অসাধারণ একটা নির্বাচন হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ভলকার তুর্ক। তিনি বিচার বিভাগ স্বাধীন করার কথা বলেছেন। আমি বলেছি আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলেছেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা যায় কিনা সেটি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি ফ্যাসিস্টদের বিচারের আগে এটি পরিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী অন্য দেশে বসে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে। গণহত্যা চালানোর পর অনুশোচনাও নেই। বিচারের আগে এ দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত কিনা এটা মানুষ বিবেচনা করবে। এ সময় ভলকার তুর্ক বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। এই দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে, সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয় সেটি বলেছি। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বেরসঙ্গে বিবেচনা করছি। আমাদের হেড অফিস পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন ইজতেমায় অংশ নেবেন। তিন দিনের এ পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে ওয়াসেক পক্ষের লোকজন অংশ নেবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি ইজতেমা দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়েই দুই গ্রুপকে দুই সময়ে করতে দেওয়া হয়। প্রতিবারই কে আগে করবেন কে পরে করবেন সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন না, আমাদের কাছে দৌড়ে আসেন। আমরা বলেছিলাম আপনারা এক হয়ে আমাদের বলেন। তারা একমত না হতে পারার আমরা তাদের গতবারের মতো করে করতে বলেছি।
প্রতি বছরই কেন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে দিতে হয়- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একত্র হতে পারছেন না। দুইজন এক প্লেটে ভাত খাওয় মানুষ, একের পেছনে আরেকজন নামাজ পড়েন তারা। কিন্তু যখন এ প্রসঙ্গগুলো আসে তখন মারমুখী হয়ে যায়। তিনটি মার্ডার হয়েছিল, ভুলে যাননি, দেড়শ আহত হয়েছিল, ভাঙচুর হয়েছিল, সেইজন্য আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাই না।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আরেকটি দাবি তারা করেছিলেন, মসজিদে মসজিদে যেন কোনো গ্রুপ প্রাধান্য না পায়, সবাই মিলে মিশে কাজ করতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এটি চিঠি দিয়ে সব মসজিদে জানিয়ে দেবেন। দ্বীনের দাওয়াতে এক গ্রুপ যাওয়ার পর আরেক গ্রুপ যেতে পারবেন, মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ থাকবেন।
ইজতেমায় বিদেশিরা কীভাবে আসবেন পরে সে বিষয়ে বিস্তারিত সভা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যা যা প্রয়োজন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, সচিবসহ অন্যরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইজতেমা আয়োজেন এখনও যেসব সিদ্ধান্ত অমীমাংসিত আছে সেগুলো নির্বাচনের পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, মাওলানা সাদ আসার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, গাজীপুর সিটি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের মাওলানা যোবায়ের অনুসারী গ্রুপ।