অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের নায়িকা পুষ্পিতা পপি। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী।
এরপর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। মূলত ধর্মের কারণেই অভিনয় ছেড়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, চলচ্চিত্রে ছেড়ে শুধু নিজেকেই আড়াল করেননি, হয়েছেন দেশান্তরী। স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে। সামাজিকমাধ্যম থেকেও সরিয়ে ফেলেছেন আগের সব ছবি।
একটি গণমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী জানান, ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলার জন্য সিনেমা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বাকি জীবন ইসলামি আদর্শে কাটাবেন।
তিনি বলেন, সিনেমা ছেড়েছি, আর কখনোই আমাকে পর্দায় দেখা যাবে না। এখানে স্বামী সংসার নিয়ে আছি। ভবিষ্যতে আল্লাহপাক যা করবেন, যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলব। সবার কাছে দোয়া চাই।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সুবাদে অভিনয় পা রাখেন পুষ্পিতা পপি। কিন্তু নায়িকা হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ সিনেমার মাধ্যমে। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় এটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে।
পুষ্পিতা পপি আলোচনায় আসেন ‘পাঙ্কু জামাই’ সিনেমায় অভিনয় করে। এতে তিনি শাকিব খানের প্রথম প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ‘কখনও ভুলে যেও না’, ‘ঠোকর’, ‘প্রেম হতেই পারে’ ও ‘ফাগুনের আগুন’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন তিনি। পুষ্পিতা পপি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ধূসর কুয়াশা’। এটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তার স্বামী শাকিব খান মঙ্গলবার তার সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বুবলী তার ফেসবুক পেইজে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর হঠাৎ-হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আপনার এ রকম নিউজ দেখে খুব অবাক হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি!! শেহজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে চাই না। এড়িয়ে যাই; কিন্তু আমার ছেলের সম্মানের জন্য যদি মা হয়ে আমাকে কথা বলতে হয়, সময় হলে আমি অবশ্যই বলব…।
বুবলী আরো লেখেন, আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম। শেহজাদকে সহও একসঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসঙ্গে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি…। শেহজাদ ছাড়াও কয়েক দিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদের পরও একসঙ্গে থেকেছি, টাইম স্পেন্ড করেছি…।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর পর কী উদ্দেশ্যে আপনি আপনার স্ত্রী (এখনো আপনার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়নি) এবং আপনার সন্তানের মাকে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে সংবাদ করে ক্ষীণও চিন্তা প্রকাশ করেন?
তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু আর্কাইভে থেকে যাবে এবং শেহজাদ কিছু দিন পর বড় হয়ে এসব দেখবে এবং ভাববে কী নোংরাভাবে আপনি তাকে ক্যাশ করে তার মাকে প্রতিনিয়ত হেয় করেছেন।
বুবলী বলেন, আপনাকে তো কোথাও কখনো অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি; বরং যে কোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানাভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। আপনার সমসাময়িক এত বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছু দিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেন? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনো এ রকম করতেন না? নাকি আপনার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আর অন্য কোনো বিষয় তখন একান্ত মুখপাত্ররা পাশে থেকে কেউ ডাবিং করে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে— ভালো ভালো সিনেমা করুন, তবে মনে রাখবেন সুপারস্টারডোম জীবনের একটা অংশ; কিন্তু এটাই পুরো জীবন নয়।
শাকিব খানের উদ্দেশে বুবলী আরও লেখেন, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে নিজের জীবনটাকে গোছান, সেটি যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিনশেষে আপনারই ছিল।
সবশেষে তিনি শাকিবের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো আপনার কোনো কিছু মনে হলে সেই সিদ্ধান্তও একান্তই আপনার, সেটা যেই সিদ্ধান্তই হোক আমি অবশ্যই শুভকামনা জানাব; কিন্তু বিনীত অনুরোধ করব— আবারও কোনো লুকোচাপা করে আর কোনো বাজে কনফিউশন তৈরি করবেন না। শেহজাদের বাবা হিসেবে আমি যেমন আপনাকে সম্মান দিই, আপনিও সেটি করবেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মৃত্যুর ২৫ বছর পর নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার একটি টপ। এটি সেই বিখ্যাত টপ যেটি ১৯৮১ সালে ডায়ানা তার বাগদানে পরেছিলেন। নিলামে এর দাম ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
গোলাপি ক্রেপ কাপড়ের একটি টপ (স্কার্টের উপরের ব্লাউজ সদৃশ), যার সামনের দিকে রফের মতো কলার এবং আলগা প্লিট রয়েছে। কলারের নিচে একটি সার্টিন ফিতা রয়েছে। এর ডিজাইন করেছিলেন এলিজাবেথ ও ডেভিড ইমানুয়েল, যারা ডায়ানার বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করেন।
ডায়ানা লর্ড স্নোডনের তোলা একটি প্রতিকৃতির জন্য পোজ দেওয়ার সময় ব্লাউজটি পরেছিলেন যেটি তখনকার প্রিন্স চার্লসের (পরবর্তীতে রাজা চার্লস তৃতীয়) সঙ্গে তার বাগদানের ঘোষণার সময় ভোগসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং সংবাদপত্র ব্যবহার করেছিল।
বেভারলি হিলসে অবস্থিত জুলিয়ানের নিলামঘর অনুসারে, এলিজাবেথ ইমানুয়েল তার বই ‘এ ড্রেস ফর ডায়ানা’তে লিখেছেন- ওই টপসের ফ্যাব্রিকস এমন একটি পোশাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যখন একজন ক্লায়েন্ট এটি পরার সময় স্কার্টে মাস্কারা ফেলে দিয়েছিলেন।
ইমানুয়েল স্মরণ করে বলেন, যখন (ডায়ানা) র্যাকে আমাদের টপটি দেখেছিলেন তখন তিনি এটির প্রেমে পড়েছিলেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এটি কে তৈরি করেছে।
ডায়ানা ব্লাউজটি পরার পর, ডিজাইনার ২০১০ সালে এটি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত আর দোকানে রাখেননি। এটি রাজকুমারীর পোশাকের একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেনসিংটন প্যালেসে প্রদর্শিত হয়েছিল।
একই সঙ্গে ডায়ানার আরেকটি পোশাক, যেটি পরে তিনি দুবার জনসমক্ষে এসেছিলেন, একই নিলামে সেটির দাম ২ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে ডায়ানা এই নীল স্কার্টটি পরে স্টাইল আইকন হয়ে ওঠেন। নিলামের অন্যান্য আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে হলিউডের সবচেয়ে বড় তারকাদের দ্বারা ব্যবহৃত বা পরিধান করা স্মৃতিচিহ্ন। ১৯৬৩ সালের ‘চ্যারাডে’ সিনেমায় অড্রে হেপবার্নের পরিধান করা একটি হলুদ উলের গিভেঞ্চি কোট ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে মেরিলিন মনরোর মালিকানাধীন একটি ঘড়ির দাম উঠতে পারে ৪ হাজার ডলার। বেভারলি হিলস এবং অনলাইনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জিনিসগুলো বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান ক্রিকেট দল কখন কি করে তা যেমন বলা যায় না, তেমনি এবার তাদের নারী ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেও এই প্রতিয়মান হলো। যে নারী ক্রিকেট দল বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলো সেই দল এবার হারিয়ে দিয়েছে নিউজজিল্যাণ্ডের মতো শক্তিশালী দলকে।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। যেটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিউেইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম জয়। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের মেয়েরা। এতে করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা। এখন লক্ষ্য শেষ ম্যাচে পরাজিত করে নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয়া।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান মুনিবা আলীর ৩৫ ও আলিয়া রিয়াজের ৩২ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে গিয়ে থেমে যায়। এতে করে পাকিস্তান ১০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
২০১৮ সালের অক্টোবরের পর দেশের বাইরে এটিই পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়। এশিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়ও এটিই। অথচ ইতিহাস গড়া এই পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এ সময় ৭ রান করে ফেরেন সাওয়াল জুলফিকার। দলীয় ৫৬ রানে ওপেনার মুনিবা আলীর ২৮ বলের ৩৫ রান করে ফেরেন। ৮৪ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক নিদা দার। তবে আলিয়া রিয়াজ ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেললে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
জবাবে পাকিস্তানের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউই মেয়েরা। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। এরপর দলীয় ৬২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গিয়ে থামে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন হান্নাহ রোয়ী।
পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার ফাতিমা সানা ৩টি ও বাঁহাতি স্পিনার সাদিয়া ইকবাল ২টি উইকেট নিয়েছেন। এ ম্যাচে চোট নিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান খরচায় ১ উইকেট নেন পাকিস্তান অধিনায়ক নিদা দার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩০ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার মেগান শাটের সঙ্গে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এখন পাকিস্তান অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, শনিবার সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে কুইন্সটাউনে। এরপর হবে ওয়ানডে সিরিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। সেখানে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই নিউইয়র্কের রাস্তায় জায়েদ খানকে দেখে তাকে ঘিরে ধরেন বেশ কয়েকজন তরুণী।
এ বিষয়ে নায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই অনেক মেয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। সবাই প্রবাসী বাঙালি। আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। তারা ছবি তুলল। একজন তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকে মেসেজ করেছে। সেখানে আমার সঙ্গে ছবি দিয়ে লেখা, মাই রিয়েল হিরো।’
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘এসব একদম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করেছে কিছু উঠতি যুবক। কিন্তু সেটা যে আমাকে দেখে এমনটা নয়, তারা জেমস ভাই, এমনকি কাবিলা পলাশ মঞ্চে উঠতেও একইভাবে চিৎকার করেছে। বরং অনেকের অভিযোগ, আমরা আগে কেন মঞ্চে উঠলাম না।’
‘এখানে আসলে আমাদের পারফর্ম করার কথা ছিল না। তারপরও অনুরোধে আমি গান শুনিয়েছি। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন’, বলেন জায়েদ খান।