চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন করার অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে দুই ঘন্টার এ অভিযান চালানো হয়।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচবিবি বিভিন্ন এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি,পাউরুটি ও বিস্কুট উৎপাদন এবং বিপনন হচ্ছে এমন খবর আসে র্যাবের কাছে। এমন খবরে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময়
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্মৃতি বেকারীর মালিক মোজাফরকে ৫ হাজার টাকা, আনছারী বেকারীর মালিক খলিল আনছারীকে ৮ হাজার টাকা,রাখি বেকারীর মালিক জীবন কৃঞ্চ সরকারকে ৫ হাজার, হিমালয় আইসক্রিমের মালিক মনিরুজ্জামান শান্তকে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভেজাল মিষ্টি,পাউরুটি ও বিস্কুট তৈরীর উপাদান ধ্বংস করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ ৩ মে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের চার মামলা ও হাটহাজারীর এক মামলায় হাইকোর্ট মামুনুল হকের জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। এই পাঁচ মামলায় রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর তাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন।
খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়। একই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করা হয়। একপর্যায়ে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না। এটা অন্যায়। কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির প্রয়োজন। সে জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের পথ পরিহার করে জনগণের কল্যাণে কাজ করার এবং তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তাদের চেতনা জাগ্রত হোক যে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। জনগণের অকল্যাণ করে, তাদের পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না- অন্তত এই বিষয়টা যেন যারা এগুলো করছে তারা বুঝতে পারেন। খবর- বাসস
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টি পারপাস কমপ্লেক্সে ‘মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিত করেন।
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একজন মানুষ কীভাবে আরেকটা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে। তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। আর মানুষ বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারত। দুঃখের বিষয় এরপর ২০১৩-১৪ সালে এবং ইদানীং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। পোড়া মানুষগুলোর ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং তাদের আত্মচিৎকার ও পরিবারগুলো কী অবস্থায় আছে।
৭৫ এর পর হারাতে বসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তাঁর সরকার আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-বেসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানানো দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। এখন আমাদের স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশে নয়, বিদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধান তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ সূচনা করে। সেই আক্রমণের ফলে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করি।
তিনি এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ২০০০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বর্তমানে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উত্তরাধিকারীকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের বছরে দু’টি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা এবং নববর্ষ ভাতা তাঁদের নিজ নিজ একাউন্টে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদান করা হচ্ছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থবছর হতে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার পাশাপাশি সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদেরকে মেধাভিত্তিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের উপর প্রতি বছর পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরসঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ জেলা ছাড়া সার্কিট হাউস অথবা ডাক বাংলোয় অবস্থান, সরকারি পরিবহনে সর্বোচ্চ শ্রেণিতে বিনামূল্যে চলাচল, বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে বছরে একবার ফ্রি যাতায়াত এবং আন্তর্জাতিক যেকোনো রুটে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারসহ বিনা ভাড়ায় বছরে দুইবার যাতায়াত করতে পারছেন। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহনকারী গাড়ি টোল ফ্রি, পর্যটন কর্পোরেশের হোটেল ও মোটেলে বিনা ভাড়ায় বছরে একবার দুই রাত যাপন এবং জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে সপরিবারে অবস্থান করার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীরা রেশন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সশস্ত্র বাহিনী হতে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্হিবিশ্বের যে সকল বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন তাঁদের সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতি অব্যাহত রেখেই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের দিকে আমরা এগিয়ে যাব জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে আমরা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাব। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের স্থান করে নেব।
‘বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, আমাদের উন্নয়ন শহরকেন্দ্রিক নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যায় পর্যন্ত আমরা উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, তাঁর সরকার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৩ মে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ভাঙ্গা পৌর শহরের ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের হলরুমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার প্রহ্লাদ বিশ্বাস, ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে কালী মাতার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ১৩ অক্টোবর রোববার তাদেরকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে শনিবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিন গ্রেফতারকৃতদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন, ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছেদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫), একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপুর্ব কুমার সাহা (৪৬), মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস ও শ্রীফলাকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়োন্দা পুলিশের এসআই আহমেদ কবির জানান, শনিবার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবায়ত রেখা সরকারসহ ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৫ এ তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত প্রত্যেকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার তাদেরকে কারাগার থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন। ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে মুকুটটি চুরি হয়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতিপ্রকাশ চট্রপাধ্যায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১২। পরে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশে ন্যস্ত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বিদেশি সাংবাদিকদের প্রতি বিষোদগার করেছেন।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে তাদের কাছ থেকে বিদেশি সাংবাদিকরা টাকা নিয়ে চিঠি লিখছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘খাইয়া দাইয়া কোনো কাজ নাই। এখন খবর পাইলাম একজন সাংবাদিক সে চিঠি লিখতাছে কার আত্মীয়কে নির্যাতন করা হইছিলো। যখন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে হত্যা করতে ছিলো এই সাহেবরা তখন কোথায় ছিলো। তখনতো তারা চিঠি লেখে নাই। আজকে পয়সার বিনিময়ে বিদেশি সাংবাদিক সাহেবরা এখন চিঠি লিখতেছে। যাতে নিজেরা দুই পয়সা আয় করতে পারে যারা লুট করে নিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় টানা নয়দিনের প্রচারণায় নেমেছেন আইনমন্ত্রী। তবে তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। যে দু’জন প্রার্থী তার বিরুদ্ধে লড়ছেন তাদেরকে কিংবা তাদের দলকে সেভাবে চিনেওনা এলাকার মানুষ।
জনসভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আগে ছিলো মিসকিনের দেশ। আগে ছিলো তলাবিহীন ঝুড়ি। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে করেছেন সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। আপনাদের জন্য সম্মান এনে দিয়েছেন, মর্যাদা এনে দিয়েছেন। আজকের এই ধারাবাহিতকা বজায় রাখতে হবে বলেই ভোটের প্রয়োজন।’
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন,‘যখনই ভোট করতে যাই বিএনপি-জামাত বলে আমরা করবো না। তার কারণ হচ্ছে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন উন্নতি চায় না। বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক চায় না। তারা এসছে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য। সারাবিশ্বে তারা এখন টাকা ছড়াইতেছে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আপনাদের সামনে পরিস্কার বলে দিতে চাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভুখন্ডে কেউ অপরাধ করলে বাংলাদেশের আইনেই তার বিচার করা হবে।
এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানি সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী দিনভর গণসংযোগের পাশাপাশি একাধিক নির্বাচনী সভায় যোগ দেন।