বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

বাঞ্চারামপুর, 25 May 2023, 873 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।

ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপন না দেয়ায় শিশুকে হত্যা, দুই অপহরণকারী গ্রেফতার

বাঞ্চারামপুর, 3 October 2023, 441 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপন না দেয়ায় ফাতেহা আক্তার (৭) নামের এক শিশুকে হত্যার পর লাশ ডোবার ফেলে রাখে অপহরণকারিরা।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকিকান্দি গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত নাজিম (১৯) ও আলাউদ্দিন (২১) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত নাজিম শিশু ফাতেহা আক্তারের ফুফাতো ভাই এবং দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ও গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দিন শুটকি কান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম জানান, শিশু ফাতেহা আক্তার গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধ্যান পায়নি। এরই মধ্যে শিশুর পরিবারে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারিরা। তবে কোন প্রকার মুক্তিপণ দেয়নি তার পরিবার। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই যুবককে আটক করে। পরে তাদের মোবাইল ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায়, শিশুটিকে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডোবা থেকে শিশু ফাতেহার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় শিশুর পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল বিতরণ

বাঞ্চারামপুর, 1 January 2024, 399 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ইয়াশা সোবহানের নিজস্ব তহবিল থেকে বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ দিনব্যাপী অসহায়, ভিক্ষুক, মাদরাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় দুর্গারামপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কম্বল বিতরণের আগে আল-আমিন হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ মো. মহিউদ্দিনের আয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ পরিবারবর্গ ও দেশবাসীর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।

উপস্থিত আছাদনগরের দুটি মাদরাসা ও দুর্গারামপুরের দুটি মাদরাসার এতিম ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ৬০টি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই হাজার ৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ৫৬টি মাদরাসা, হোমনার তিনটি মাদরাসা এবং নবীনগর উপজেলার একটি মাদরাসা। পাশাপাশি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষুক, অন্ধ ও পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।

কম্বল পেয়ে পথচারী প্রতিবন্ধী ইসমাইল (৬৫) বলেন, ‘হাটতা পারি না, রাস্তার দারে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। এই কম্বলডা এত শীতে অনেক কামে লাগব। আল্লাহর কাছে যারা দিছে তাগু লাগি দোয়া করি।’

আছাদনগর মাদরাসার এতিমখানার ছাত্র জুনাইদ (৭) বলে, ‘ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শুরু করি।

অনেক শীত, এই কম্বলটা অনেক কাজে লাগবে। বসুন্ধরার মালিকদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’
হাফেজ মো. সাজিব (১০) বলে, ‘আমাদের মাদরাসার এতিমখানার সকল ছাত্র কম্বল পাইছে। এখন আর কেহর শীতের কারণে পড়ালেখা সমস্যা হবে না। আমরা সবাই একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করমু, যাতে মালিকপক্ষ সবাই ভালো থাহে।’

হোমনার হরিপুর মার্কাযুল জিকির মাদরাসার ছাত্র ইমরান (৮) বলে, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইকা আইসা আমাদের হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের লোকেরা কম্বল দিয়া গেছে। এই শীতে আমরা কম্বলডা গায় দিয়া বেশি কইরা পরতা পারমু। আল্লায় হগলেরে ভালো রাহুক।’

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’

আগামীকাল আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর ২ উপজেলায় ভোট

আশুগঞ্জ, বাঞ্চারামপুর, 28 May 2024, 194 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।