চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচরে যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর ও তার পরিবারকে বহনকারি একটি প্রাইভেটকার। তবে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।
আজ ২৬মে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর, তার স্ত্রী রেহেনা সারোয়ার খোখর, মেয়ে হুদা আব্বাস খোখর ও ছেলে মোহাম্মদ খোখর অক্ষত রয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩০) কে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রামপুর এলাকায় পৌছলে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার এবং তার পরিবারের সদস্যরা অক্ষত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডেপুটি হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা হাইওয়ে থানায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে একটি ভাড়া মাাইক্রোবাসে করে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চলে যান। তিনি বলেন, আমরা বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আটক করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দখলদার ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ভিডিও প্রকাশ করেছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে। আর হামলায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিতে একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
হিজবুল্লাহ আরো জানিয়েছে, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে ইসরাইলিদের গোয়েন্দা নজরদারির সরঞ্জামাদি ছিল। এছাড়া ওই স্থান থেকে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত।
ইসরাইলের সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালাতে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে লাগানো ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, এটি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ছোড়া হচ্ছে। যে ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহ এর আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
নতুন করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের ওই ঘাঁটির ভেতর সরাসরি আঘাত হানতে দেখা যায়। এবারই প্রথম হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো হামলার এমন ভিডিও প্রকাশ করল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এর পরের দিন থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে বিক্ষিপ্ত হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। যা এখন পর্যন্ত চলছে।
লড়াইয়ের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে পূর্ণ যুদ্ধে জড়াবে। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের ব্যস্ত রাখতে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ ২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় দুই জন নারীসহ ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে। তবে বিমান থেকে পাইলট বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট একটি প্যারাসুট ব্যবহার করে সময়মতো বিমান থেকে লাফ দিয়েছিলেন। আর এ কারণে তিনি নিরাপদ আছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বলেছে, দুর্ঘটনায় পাইলট সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির বিমান বাহিনী বলেছে, আইএএফের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান আজ সকালে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় সুরতগড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যেতে পেরেছেন, তবে সামান্য আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পাইলট নিরাপদে আছেন এবং উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুরতগড় থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। একপর্যায়ে হনুমানগড়ের ডাবলি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসারাম বোস বলেছেন, অন্তত দুইজন বেসামরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিধ্বস্ত হলো বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান।
এর আগে গতবছর জুলাই মাসে রাজস্থানের বারমেড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিগ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাব ফেলেছে পুরো বিশ্বে। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এই বিজয়ে ফলে তিনি টানা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলেন। ভোট গণনা শেষে তার সমর্থকরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেছেন। প্রথম দফা ভোটেও তিনি এগিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন বিদেশি পরিসংখ্যান ও সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিনি আবারও তুরস্কের মসনদে আসীন হয়েছেন।
দেশটির বিরোধী দল গুলোর গণমাধ্যম আনকা নিউজ এজন্সিও জানিয়েছে যে এরদোয়ান বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এরদোয়ানের দল এক পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি জনগণের দৃঢ় সমর্থন আছে।’
বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ৯৮.২ শতাংশ ব্যালট বাক্সের মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.১২ শতাংশ এবং বিরোধী নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট।
রোববার (২৮ মে) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়।
প্রথম দফায় কেউ নিয়ম অনুসারে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করতে হয়।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম দফার ভোটে এরদোগান পান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগ্লু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট।
ওই ধাপে তৃতীয় হয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পান ৫.১৭ শতাংশ ভোট। এ ধাপে অবশ্য তিনি এরদোগানকে সমর্থন জানিয়েছে।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির তথ্যমতে, দেশটির ৬ কোটি ৪০ লাখ বৈধ ভোটারের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪৪.৮৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার তুরস্কে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দেশটির ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ। ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি। সূত্র : ডেইলি সাবাহ, আলজাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মেক্সিকোয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বন্দিশিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো অনেকে। স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ সোমবার দেশটির যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তবর্তী সিউদাদ জুয়ারেজ শহরের একটি অভিবাসনকেন্দ্রে আগুন ছড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মেক্সিকোর ইতিহাসে বন্দিশিবিরে আগুনের ক্ষেত্রে এটি অন্যতম প্রাণঘাতী ঘটনা। ঘটনাস্থলের ছবিতে ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত এলাকাজুড়ে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলবাহিনী, মর্গের গাড়ি ও রূপালি চাদরে ঢাকা মরদেহের সারি দেখা গেছে।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থাপনাটিতে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যাওয়া ৬৮ জন পুরুষ বন্দি ছিলেন। তাদের মধ্যে আগুনে অন্তত ৩৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত ২৯ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তদন্তকারীরা।
হতাহতদের পরিচয় বা জাতীয়তা এখনো প্রকাশ করেনি মেক্সিকোর ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউট (আইএনএম)। আগুন কীভাবে লাগলো সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
সিউদাদ জুয়ারেজের ফেডারেল ডেপুটি আন্দ্রেয়া শ্যাভেজ আগুনের ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, আমরা অফিসিয়াল তথ্যের জন্য অপেক্ষা করবো। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিউদাদ জুয়ারেজ শহরটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্যতম প্রধান রুট। সেখানকার বন্দিশিবিরগুলোতেও এ ধরনের লোকজনই বেশি।
তবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে মেক্সিকোর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছিল।
অধিকাংশ ভেনিজুয়েলানসহ একদল অভিবাসনপ্রত্যাশী গত অক্টোবরে টিজুয়ানার একটি অভিবাসনকেন্দ্রের ভেতর দাঙ্গা শুরু করেছিল। গত নভেম্বরে গুয়াতেমালার সীমান্তের কাছে তাপাচুলায় মেক্সিকোর বৃহত্তম বন্দিশিবিরে দাঙ্গা হয়েছিল। যদিও এ দুটি ঘটনায় কেউ মারা যাননি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৮৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৫৫৩ জন।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে তারা সিরিয়ার উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে টানা ১০৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, এরপর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়া জীবিত আর কেউ নেই বলে বিশ্বাস তাদের।
সিএনএন জানিয়েছে, তুরস্কের জরুরি বিভাগের কর্মীরা এখনও জীবিতদের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর বেশি কিছু সাফল্য পেয়েছেন তারা, যদিও সেসব অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, ‘বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।’
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সূত্র : বিবিসি