চলারপথে ডেস্ক :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে মুখে মদ ঢেলে টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছে মাস্তানেরা। অটোরিক্সার অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বিবাদকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশের টহলরত টিম আহতকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। মারধরের শিকার আমিনুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। তিনি উপজেলার আঠারবাড়ি মরিচপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী আমিনুল জানান, ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ঈশ্বরগঞ্জে ৫ যাত্রীসহ তারা দুই পুলিশ সদস্য অটোরিক্সায় ওঠেন। এ সময় অপর পুলিশ সদস্য সোহাগী যেতে চাইলে ২০ টাকার ভাড়া ৭০ টাকা দাবি করলে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চালক ও মাস্তানবাহিনী আমাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়।
পরে আবার মাস্তানেরা এসে আমার ওপর চড়াও হয়ে কিলঘুসি মারে আর পানি খাবি বলে মুখে ও শরীরে মদ ঢেলে দেয় এবং মানিব্যাগে থাকা টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বন্যার পানির স্রোতে কাগমারী-তোরাপগঞ্জ সড়কের এসডিএস সেতু সংলগ্ন সড়ক ভেঙে পড়েছে। শনিবার ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত সেতুর পাশে পানির তীব্র স্রোতে সড়কের প্রায় ২০০ ফিট ভেঙে গেছে। এতে শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের ৪ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুকনো মৌসুমে এই সেতু সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে প্রভাবশালীরা। ইতোপূর্বে একাধিকবার এই সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে। দ্রুত সড়কটি নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
সদর উপজেলা হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলীসহ পাশ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তারা ১০-১৫ কিলোমিটার ঘুরে শহরের সাথে যোগাযোগ করছে।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে ব্রিজের পাশে সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। দুর্ঘটনারোধে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই সড়কের সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সড়ক থেকে প্রতিনিয়ত মাটি ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এমপিকে অবগত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভাঙন কবলিত সড়কটি পরিদর্শন করেছি। রাস্তা ও ব্রিজটি এলজিইডির দপ্তরের।
আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে আলোচনা করে সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পানির স্রোতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে রাস্তায় ধাক্কা লেগে সড়ক ভেঙে পড়ছে। আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সড়কের প্রায় ২০০ ফিট নদীতে ভেঙে গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশা করি আগামীকাল থেকে কাজ শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপার ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে চাতলপার ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২শ ৫৫ জন। ভোট শুরু হওয়ার পর নির্বাচনের প্রার্থী আশরাফ ভুঁইয়ার সমর্থক আমিনুল ও রাজু ভুইয়ার সমর্থক অসীম কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে বিতন্ডায় জড়ায়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়াও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ্ বাশার বলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ফের সংঘর্ষ যাতে না হয় পুলিশ তৎপর রয়েছ। এ ব্যাপারে ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি বলেও জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনালী কাবিনের কবি খ্যাত আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মৌড়াইল কবরস্থানে কবি আল মাহমুদের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। এ দোয়া অনুষ্ঠানে কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত কবি-সাহিত্যিক ও কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। তিন দিনব্যাপী চলবে স্মৃতি পরিষদের স্মরণোৎসব।
শনিবার বিকেলে স্মরণ উৎসবের প্রথমদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ. জেড. এম. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খাদেম, কবি মনসুর আজিজ, কবি তাজ ইসলাম, কবি রহমান মজিদ, কবি সাদমান শাহিদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান সাদত। কবির এ স্মরণ উৎসবে অংশ নেন কবির ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির, মীর মোহাম্মদ আনিস ও বড় মেয়ে আতিয়া আমির, ছোট মেয়ে ফাতেমা মীরজিমি এবং তাদের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিয়েছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সোনালি কাবিন আল মাহমুদের অমর সৃষ্টি। আর এটি বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন। তারা বলেন, আল মাহমুদ শেকড় সন্ধানী কবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাধারে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অথচ বিগত সময়ে তার উপর অনেক অবহেলা করা হয়েছে। তার মৃত লাশের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। তারা বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল মাহমুদকে পাঠ করতে হবে। তাকে ধারণ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উচিৎ আল মাহমুদকে বেশি বেশি করে চর্চা করা।
অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর বিচার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সংগঠনের বিচার এখনো হয়নি। আমার মনে হয় সেটাও সম্ভব যদি আমরা চিন্তা করি। কিন্তু মুশকিলটা হলো, এখনো বিভ্রান্ত করার সুযোগ রয়ে গেছে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রথমত তাঁকে চিনেছি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য। দ্বিতীয়ত, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে অসামান্য অবদানের কারণে।’
ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধপদ্ধতির বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক ও দুইয়ে আজ পর্যন্ত ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বিচারকাজে বাকি চ্যালেঞ্জগুলোও জয় করা (ওভারকাম) সম্ভব। সে জন্য ক্রমাগত চাপ ও দাবি অব্যাহত রাখতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারে ট্রাইব্যুনালের জনবলসংকটকে ‘প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কেউ কেউ মারা গেছেন, অনেকের বয়স হয়েছে। এখন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় নতুন করে সদস্য নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিচারকাজ চালু রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’
মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানা রকম বিষোদগার করছে। বিটিসিএলের উচিত এসব ভিডিও সরিয়ে দেওয়া।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা সবাই ন্যায়বিচার পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার স্বামীকে (শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলবদররা। কিন্তু আলবদরের মতো সংগঠনগুলোর বিচার তো হয়নি। তাহলে আমি কি ন্যায়বিচার পেয়েছি? এই দুঃখ আমাদের আছে।’
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ট্রাইব্যুনালে ৩০টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এই মামলাগুলোতে আনুমানিক ২০০ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। এই মামলাগুলোতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ২০০ থেকে ২৫০ সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ মামলা তদন্তের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আসামি এবং সাক্ষী সবারই বয়স ৭০-এর বেশি। প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়তো আর তিন-চার বছর পর এদের কাউকেই আমরা বিচারের জন্য পাব না। তাই দুটি বা প্রয়োজনে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলমান মামলাগুলো নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩২ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিজড়াদের গল্প একটি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে মন্দির ভাঙচুরের মাধ্যমে আমাদের এই দেশে মৌলবাদের যে একটি ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমরা এই দেশ গড়েছিলাম মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতির ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা এখনো এই নীতিগুলোকে ধারণ করেন তারা কবীর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন অনুপ্রেরণার আশায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে করে এবার টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ এবার ঈদে ২৮ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি থাকছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সর্বসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ দেশে উদযাপিত হতে পারে ঈদুল ফিতর। সেই হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন ছুটির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। সেই হিসেবে ঈদের আগের দু’দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দু’দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গল ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি।
এ হিসাবে সব মিলিয়ে টানা ছয়দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। পরে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে আরও একদিন ছুটি বাড়ানো হয়। এতে ওই ছয়দিন ছুটির সঙ্গে আরও ৩ দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন তারা। কারণ বৃহস্পতিবারের পরের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।