সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব গাজীপুরে প্রমাণিত : সেতুমন্ত্রী

রাজনীতি, 26 May 2023, 583 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হলেও এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

আজ ২৬ মে শুক্রবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতোটা খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়ায়। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই, জনগনকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে আমাদের মাঝে আছেন, তিনি আছেন বলে আমরা আশ্বস্ত হই, মানুষ আস্থা পায়। মানুষ বলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দুর্নীতি করতে পারেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মিথ্যা কথা বলেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা নিজের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করে না, জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করেন। তিনি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন চান, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চান না। এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যখন মির্জা ফখরুলরা গালিগালাজের ভাষায় কথা বলে, হত্যার হুমকি দেন, বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে তোমাদের ভোট চলে যাবে। আরও কমে যাবে। কম কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।

তিনি বলেন, আমি বলব আপনার কাজ করে যান। আমাদের মধ্যে কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে সংশোধন করুন। তাকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করুন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো আচরণ, এ দুটা বিষয়ই নির্বাচনে জয় লাভের হাতিয়ার।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী চারটি সিটি নির্বাচন ও এগুলোর মতো জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে।’

২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮০টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিলঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আজমত উল্লাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

শতাধিক বিদ্রোহীকে ক্ষমা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ

রাজনীতি, 18 December 2022, 625 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। মূলত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে দলের জাতীয় কমিটির বৈঠকে শতাধিক বিদ্রোহী নেতাকর্মীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কয়েক জন জেষ্ঠ্য আওয়ামী লীগ নেতা। তারা আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য বিদ্রোহীরা যদি দলের সভাপতির বরারব কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে তারাও ক্ষমা পেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে যারা শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড করেছেৃ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকে বিদ্রোহ করেছে, আমাদের পার্টির শৃঙ্খলার বিচ্যুতি ঘটিয়েছে। অনেকেই দলের মধ্যে কোলহল সৃষ্টির জন্য দায়ী। এসব ব্যাপারে শতাধিক আবেদন জাতীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
‘জাতীয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে যারা আবেদন করেছিল তাদেরকে আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমা করে দিয়েছেন। অন্য যারা আছে তারা যদি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মাধ্যমে সভাপতির কাছে আবেদন করে, তাহলে জাতীয় কমিটি আমাদের সভাপতিকে এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, তিনি (শেখ হাসিনা) আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন, ক্ষমা করে দিতে পারবেন। এটা জাতীয় কমিটি তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে,’ বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
গঠনতন্ত্র সূত্রে গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা দেওয়া আছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিকে। সেই কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহীদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত আসে।
যারা বিগত সময়ে দলের সভাপতির বরাবর আবেদন করে ছিলেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জাতীয় কমিটির বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সভানেত্রীকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপা অনেকে তো এটা জানে না। যারা আবেদন করেনি, তাদের কী হবে?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবার জন্যই এই সুযোগ থাকবে। যারা আবেদন করেনি, তারা আবেদন করতে পারবে। আবেদন করলে তাদেরও ক্ষমা করা হবে।’
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দলীয় প্রার্থী থাকার পর নিজ দলের নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়।
এ নিয়ে দলের তৃণমূলে বেশ বিশৃঙ্খলা চলছিল। দলের সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং ইউপি নির্বাচনে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
তবে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যেসব নেতাকর্মীদের ক্ষমা করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে দলের হাইকমান্ড এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছে যে- ভবিষ্যতে আর কখনও তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।

১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতালের ডাক বিএনপির

রাজনীতি, 16 November 2023, 240 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যানের পর এবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ঘোষিত তফসিলকে ‘একতরফা’ দাবি করে এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) সারাদেশে হরতাল পালন করবে দলটি।

আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গতকাল ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন দাবি জানায় বিএনপি।

এদিকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিএনপির টানা পঞ্চম দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এ দফার দুদিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টায়।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পর দিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়, যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা গ্রেফতারও হন। তাদের কেউ কেউ বর্তমানে কারাগারে।

এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫-৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮-৯ নভেম্বর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। ১০ ও ১১ নভেম্বর দুদিন বিরতি দিয়ে ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় আরও দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় দলটি। মাঝে দুদিন বিরতি দিয়ে পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আরও দুদিনের অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটগুলোও টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

আশুগঞ্জ, রাজনীতি, সরাইল, 18 January 2023, 1875 Views,
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার নির্বাচনী কাজে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও সাবেক সদস্য এম কামাল হককেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই তিন নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বহিষ্কারের চিঠিটি মঙ্গলবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এম কামাল হককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি এই আসনে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি ২৯ ডিসেম্বর দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে উপনির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ওই দিন রাতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাত্তারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সরাইল উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তারা সাত্তারকে প্রতিহত করার ঘোষণাও দেয়।
৪ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তখন মাঈনুল হাসানের সঙ্গে ছিলেন সাদেকুর রহমান ও এম কামাল হক। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাবেক কমিটির অনেক নেতা-কর্মী (বর্তমানে পদবঞ্চিত) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আশপাশে উপস্থিত ছিলেন। তখন তাঁরা বেশ উৎফুল্ল ছিলেন। তবে তাঁদের অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে আবদুস সাত্তারের পক্ষে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদেকুর রহমান ও এম কামাল হক এখনো আবদুস সাত্তারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর আবু আসিফ আহমেদ নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন।
দল থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে আবু আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আগে আমি বিএনপিতে ছিলাম, এখন বিএনপিতে আমার কোনো পদ নেই। তাই তাঁরা আমাকে বহিষ্কার করে কেমন করে? আমি জনগণের প্রার্থী হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ী হব।’

‘টেনশনহীন’ ৩২ আসনে নৌকার প্রার্থী

রাজনীতি, 8 December 2023, 223 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি ও তার সঙ্গীরা ছাড়া প্রায় ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, জমা দেওয়া ও বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সারা দেশের ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়া তেমন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। নামমাত্র কয়েকটি দল অংশ নেওয়ায় নৌকার প্রার্থীরা ‘টেনশনহীন’ ভাবেই সময় পার করছেন।

৩২ আসনের প্রতিযোগিতামূলক স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। সেখানে নামমাত্র ভোটে বিজয় নিশ্চিত হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে দলীয় কোনো বিষয় নেই, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। কমিশন আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে। প্রার্থীরা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে আলটিমেটলি যে সিদ্ধান্তে আসবে সেটার ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। এ ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত করার কোনো প্রক্রিয়াতে আমরা নেই।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও দলের প্রভাবশালী নেতার আসনে দলীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেননি। তার মধ্যে ৩২টি আসন রয়েছে। এসব আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।

সেগুলো হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪. কুমিল্লা-৯ ও কুমিল্লা-১০, নোয়াখালী-৫, চট্টগ্রাম-৭, ৯ ও ১৩, কক্সবাজার-২, পঞ্চগড়-২, মাগুরা-১, বাগেরহাট-১, পটুয়াখালী-১, শরীয়তপুর-৩, সিলেট-৪ ও ৬, কিশোরগঞ্জ-৪, মানিকগঞ্জ-৩, ঢাকা-১, ঢাকা-৯, ঢাকা ১৫, নারায়ণগঞ্জ-৫, মাদারীপুর-১ ও ২, টাঙ্গাইল-১, টাঙ্গাইল ৮, ময়মনসিংহ-৯, ভোলা-২, বরিশাল-১, ঝালকাঠি-২, বগুড়া-৫ সিরাজগঞ্জ-২ এবং পাবনা-৫ আসন।

এসব আসনের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ক ম রুহুল হক, সাবের হোসেন চৌধুরী, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আসন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থীরা আদালতে গেছেন। আদালতের রায় কী হয় সেটা তো আমরা বলতে পারি না। আগামী ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিবিহীন ভোটে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগ, তাদের জোট ও সমমনা দলের প্রার্থীরা। এবার বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে ‘ডামি’ প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ না করতে দলীয় প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলীয় প্রধানের এমন নির্দেশনার পরও প্রভাবশালী নেতারা নামমাত্র ‘ডামি’ প্রার্থী দিয়েছেন। যাকে কেউ চিনেও না। যার নাম কেউ কখনো শুনেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির সভাপতি। সেখানে নির্বাচনকে উৎসব ও প্রতিযোগিতামূলক করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেউ প্রার্থী হলে সহযোগিতা ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসারও নির্দেশ দেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা-১৫ আসনের এক নেতা বলেন, এই আসনে বর্তমান এমপি কী যোগ্য? আর কেউ নেই। অবশ্যই আছে। অনেকেই নৌকার সঙ্গে লড়তে চান। কিন্তু কাউকেই করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে বিজয় রাখতেই এই কৌশল নিয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। আর নেত্রী তো ‘ডামি’ প্রার্থীর কথা বলেছেন, ঢাকার অধিকাংশ আসনে অচেনা মুখকেই ‘ডামি’ প্রার্থী করা হয়েছে। নেত্রী যে উদ্দেশ্যে বলেছেন, নেতারা তার উল্টো করেছেন।

নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামল।। সম্পাদক সাইদুল

নবীনগর, রাজনীতি, 12 January 2023, 1482 Views,

নবীনগর প্রপতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকদের সংগঠন নবীনগর প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে -দুপুর ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।নবীনগর প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, সভাপতি পদে মাই টিভি ও মানব জমিনের প্রতিনিধি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাইদুল আলম সোরাফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দৈনিত রুপসি বাংলা মোঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ,সহ-সভাপতি পদে এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জহিরুল হক (জ.ই বুলবুল), সহ-সম্পাদক পদে দৈনিক ভোরের দর্পণের দেলোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু মোঃ মনিরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর ও আপ্যায় সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মিঠু সূত্রধর পলাশ, সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও পাঠাগার সম্পাদক পদে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের সাধন সাহা জয়, এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে টিভি ওয়ানের সম্পাদক এস এ রুবেল।কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাটিভির প্রতিনিধি পিয়াল হাসান রিয়াজ, ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি মোঃ মনির হোসেন। উল্লেখ, নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। ফলে নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর অংশগ্রহণে ৬টি পদে নির্বাচন হয়ে ৬ জন জয়ী হয়েছে।