চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অন্তরা বেগম ওরফে আকলিমা (২৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার হোটেল সুরমা ইন এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আকলিমা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পঞ্চবটি গ্রামের বড় পুকুরপাড় এলাকার মুন্নার স্ত্রী। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে হোটেল সুরমা ইন এর সামনে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী আকলিমাকে আটক করা হয়। পরে তার শরীর ও তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক- কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র-সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওভারহোলিং কাজের জন্য গত ১ মার্চ থেকে দুই মাস কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। ওভারহোলিং শেষে গত মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তপক্ষ। তাই প্রায় ৬ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারখানার যন্ত্রাংশ। এবং ওভারহোলিংয়ের কমিশনিং করাও সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, কারখানাকে বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারিরা আন্দোলনে নেমেছে। গত ১ মাস ধরে কারখানার শ্রমিক কর্মচারিরা গেইট মিটিং, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বক্তারা দ্রুত কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা চালু থাকলে কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার ২শ মেট্টিকটন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের ৮ জেলায় সরবরাহ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে পৃথক অভিযানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার শাহজালাল (২৩), ভোলা জেলার সদর উপজেলার পূর্ব চর ইলিশা গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলাম (৩৬), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৭), জুয়েল (২৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোঃ ইউসুফ (২৬)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে পৃথক সময়ে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৩ কেজি গাঁজাসহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মূল নায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে আডা মিজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজার থেকে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসাইন জানান, আটক মিজানের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর মূল নেতৃত্ব দেন মিজান। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সময়ের মিজানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৩৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী দুইটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ইছামতি গ্রামের ফয়সল আহমদ ( ৩০), একই এলাকার মোঃ মাসুদ আহমেদ (৩৩), নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোঃ রাকিব (৩২) ও কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের রুমন চন্দ্র দাশ (১৯)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ ও মাসুদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরেকটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকে তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিতৃহীন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৭৩তম ব্যাচের (২০১৯-২০ সেশনে)।
তিনি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ভাগ্যের কুঠারাঘাতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় তার।
মুশফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। জন্মের দেড়মাসের মাথায় হারান বাবাকে। মায়ের আঁচল ধরেই তার বেড়ে ওঠা তার। মা ও দুই ভাই নিয়ে ছোট্ট সংসার তাদের।
গত মে মাসের ৩১ তারিখে তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ধীরে ধীরে শরীরও অকেজো হতে বসেছে। এ অবস্থায় তাকে বাঁচাতে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা খুবই জরুরি। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। এতে ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে তার জীবন প্রদীপ।
বিগত একমাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস নিচ্ছে। ডায়ালাইসিসের জন্য প্রতিমাসে খরচ ৩৫ হাজার টাকা।
চিকিৎসকরা বলেছেন, মুশফিকের দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা বাবদ দরকার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এ ব্যয় বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মুশফিকের পরিবার ও তার বন্ধুরা।
মুশফিকের বড় ভাই নাসাদুল ইসলাম তাফসির বলেন, আমার বাবা মারা গেছে ২০ বছর আগে। তখন ছোট ভাই মুশফিকের বয়স ছিল দেড় মাস। আমাদের মা অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে লালন পালন করে বড় করেছেন। মুশফিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর টিউশনি করে সে নিজের খরচ চালাচ্ছিল। সম্প্রতি তার কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। তার চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই অর্থ খরচ করার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমি নিজেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্স বিভাগে পড়াশোনা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারের আর্থিক উপার্জনেরও তেমন ব্যবস্থা নেই। এতে আমরা অনেকটা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। মা ছোট ভাইয়ের এই করুণ পরিস্থিতি দেখে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন। সবাই যদি আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে আমার ভাইটা নতুন জীবন ফিরে পাবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই তিনি যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মুশফিকে বাঁচিয়ে আমার মায়ের কোলে আবার ফিরিয়ে দেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক হিসাব: মুশফিকুর রহিম। হিসাব নাম্বার: ১২৬১৫৮০০১২২৫৬
রকেট: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬৪ নগদ: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫ বিকাশ: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬ প্রয়োজনে: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫ (মুশফিকের বড় ভাই)