চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য বীর আবু আব্বাস ভূঁইয়া তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দ্বিতীয় দফা গণসংযোগ করেছেন।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বেলা ১১টার দিকে বড়াইল ইউনিয়নের বড়াইল বাজারে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর দুপুরে তিনি গোসাইপুর বাজার পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। সভা শেষ করে তিনি পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বাজারে গণসংযোগ করেন এবং কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছুটি ঘোষণার পরপর ওই প্রতিষ্ঠান চত্বরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি ১৯৪৯ সালে এই বিদ্যালয় উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচারণার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে নির্মিত স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় শেষে তিনি বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারে গণসংযোগ করেন। সরকারের উন্নয়ন বার্তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মিছিল ও স্লোগানসহ গণসংযোগে অংশ নেন।
স্থানীয় বড়াইল ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মোল্লা, কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক জহির রায়হান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম টনিক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হিরণ, নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম নাঈমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র সাজন সাহা। তিন মাস পর পর শরীরে দিতে হয় রক্ত।
তারপর জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে অসুস্থতা নিয়েও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সাজন সাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং পালপাড়া গ্রামের সঞ্জিত সাহা ও স্মৃতি রাণী সাহার ছেলে।
জানা গেছে, সঞ্জিত সাহা কাজ কারেন খাবার হোটেলে। একদিকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সাজন সাহার শরীরে ধরা পড়ে জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া। গত ২ বছর আগে একমাত্র ছোট বোনটিও মারা যায় শারীরিক অসুস্থতায়। সব মিলিয়ে তার জীবনযুদ্ধ যেন হার মানায় সবকিছুকেই।
কথা হয় জীবন যুদ্ধে লড়াকু সৈনিক সাজন সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, শরীরে যখন রক্ত কমে আসে তখন শরীরজুড়ে জ্বর আসে, মাথা ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে ভেঙে আসে। তবু হার মানিনি। রক্ত দিয়ে আবারও নেমে পড়ি ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে। আমার মা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেন ভাল কিছু করার জন্য। তবে শারীরিক দুর্বলতা আমাকে হার মানাতে না পারলেও দরিদ্রতা আমার এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাবার সামান্য আয় দিয়ে আমার চিকিৎসা আর সংসার চালাতে হিমশিম খায়। আমার ইচ্ছে ছিল আইনজীবী হওয়ার। যেন দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচারে কাজ করে যেতে পারি। তারপরও আমি হতাশ হচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তা যখন এইটুকু এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, হয়ত তার ইচ্ছাতেই সবাই আমার পাশে থাকবেন। আমার এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
তিনি আরো বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ফাউন্ডেশন আমার জন্য তিন মাস পর পর রক্তের ব্যবস্থা করে থাকেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সাজনের সহপাঠীরা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্র। নিয়মিত কলেজ করত। সে অসুস্থ হলেও দৃঢ়তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সাজনে সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।
সাজনের মা স্মৃতি রাণী জানান, আমার ছেলে প্রায় ১০ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি তবে সাদ আর সাধ্যের ফারাক যে নির্মম বাস্তবতা। অর্থহীন সংসারে এগিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট। আমার ছোট মেয়েটিও দুই বছর আগে মারা গেছে। এখন সাজনই আমার একমাত্র সম্বল। যেহেতু আমার ছেলে অসুস্থ তাই আমি চাই সে একটা ভাল সরকারি চাকরি করুক।
নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম রেজাউল করিম জানান, সাজনের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। সে কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমরা আশা করি তার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। আর আমরা নিজস্ব উদ্যোগে তার সহযোগিতায় পাশে থাকব।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে তার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘোড়ায় চেপে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে-গল্পকথায় এ উপমার দেখা হর-হামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ কালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পেরও আধুনিকায়ন হয়েছে। এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চেপে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চেপে।
এ কালের এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বলদীবাড়ি গ্রামে।
গতকাল ৩১ জুলাই সোমবার দুপুর ২টায় বলদীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর আকাশযান থেকে নেমে আসলেন বরবেশী এক যুবক। পাশেই অপেক্ষা করছিল ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের গাড়ি। তাতে চড়েই রাজকন্যাকে আনতে চললেন স্বপ্নের রাজপুত্র।
জানা গেছে, হেলিকপ্টারে উড়ে আসা বর নবীনগর উপজেলার ভিটিবিষাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়া ও সূচিত্রা বেগম দম্পতির মেঝ ছেলে মো. সুজন মিয়া। আর কনে হলো পার্শ্ববর্তী বলদীবাড়ি গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির ও শিক্ষিকা মোসাম্মাৎ স্বপ্না কবিরের একমাত্র মেয়ে হাসনাত কবির সূচি। বিয়ের এই মুহূর্তটি স্বরণীয় করে রাখতে এক লাখ সত্তর হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন বর পক্ষ।
বলদীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠে হেলিকপ্টারটি যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই চারপাশে ছিল উৎসুকদের ভিড়। হেলিকপ্টারে করে আসা বর দেখার জন্য আশপাশের অনেকেই ভিড় জমান মাঠে। উৎসুকদের ইচ্ছাপূরণ করে বিয়ে শেষে সন্ধ্যার আগেই কনেকে নিয়ে বর ফের চড়লেন হেলিকপ্টারে। বিকট শব্দে আকাশে ওঠে হেলিকপ্টার; আর মেঘের দেশ হয়ে ইট-কাঠ-পাথরের শহরে পাড়ি জমান এ কালের রাজপুত্র আর রাজকন্যা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব ফুটবল একাদশ।
আজ ১৭ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন কালঘরা খেলার মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমানের আয়োজনে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে টান টান উত্তেজনায় এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা উপভোগ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে এক নজর দেখতে নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে ম্যাচটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান জাবেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নদী থেকে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন বরগুনা কাউতলী উপজেলার লাউখাড়া এলাকার মো. নিয়ামুল ইসলাম, বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার সিফুর রহমান, একই উপজেলার বীরাঙ্গল এলাকার রেজাউল করিম, একই জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরনন্দপুর এলাকার আজিজুল হক, একই এলাকার মো. মাইদুল, একই জেলার সদর উপজেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকার মো. মনির, নরসিংদী সদর উপজেলার নেকজানপুর এলাকার এবাদুল্লাহ, ভোলা সদর উপজেলার নন্দনুর এলাকার ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার চরমরিচাকান্দি এলাকার রাজিব মিয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও নতুনচর এলাকায় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিনের চেয়ে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনার সময় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিন থেকে অধিক সংখ্যক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় দায়ে ৯জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর তীরকে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে ৯ জনকে ২০দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় বালু মহালের ইজারাদারকে ইজারার শর্ত মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলো।