চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকা যেন নেশার মতো হয়ে উঠেছে যুবক নাসিরের। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি টাওয়ারে উঠার পরে অভিনব কায়দায় নামিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৫ দিনের মাথায় ৩০ মে পাশের কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টাওয়ারে উঠে জিকির করছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও কসবা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরীক্ষিত সেই কৌশল অবলম্বন করেই ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাড়িখোলা গ্রামের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। দেখতে দেখতে এলাকার লোকজনও জড়ো হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি ও অনুরোধের পর হ্যান্ড মাইকে আজান দিলে ওই যুবক ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। ৫ দিন আগেও সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে বসে থাকে এই যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামায়। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়িখোলা গ্রামের শরীফ উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চারদিকে সাড়া পড়ে কেউ একজন টাওয়ারে উঠে বসে আছে। কিছু তরুণ বিষয়টি ফেসবুকেও লাইভ প্রচার করেন। আমরা তাকে ডাকাডাকি করলেও সে না নেমে আপন মনে জিকির করছিল।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। টাওয়ারের চূড়ায় উঠে জিকির করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর টাওয়ারে নিজের মাথাকেও বাড়ি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকে আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনি। এর আগেও পাশের সদর উপজেলার একটি টাওয়ারে উঠেছিল বলে খবর পেয়েছি। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উদ্যোগে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার রাস্তা মেরামত কাজের শতাধিক দুঃস্থ নারী শ্রমিকের আয়বর্ধক মূলক তিন দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পৌকশলী মো: সাইফুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপি আয়বর্ধক মূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: মেহেদি হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুহুল আমিন সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে মো. তানজিম মিয়া (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তানজিম মিয়া ওই গ্রামের প্রবাসী মো. আবু তাহেরের ছেলে। তার মাতা ছলিমা আক্তার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেঝো এবং স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে তানজিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির আশপাশ ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। পরে নিখোঁজের ঘটনায় তানজিমের চাচাতো ভাই রমজান মিয়া ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
দুপুরে গ্রামের কয়েকজন লোক বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। গতকাল পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার কয়েক ঘণ্টাব্যাপী হওয়া দু’দল মুসল্লির সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর এলাকার কদমতলী মোড়সহ আশেপাশের এলকায় এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে একটি জশনে জুলুস পৌর এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় মুসল্লিদের আরেকটি পক্ষ এতে এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক ঘন্টা যাবত তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় সৈয়দাবাদের দিক থেকে আসা মাটিবাহী ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মস্তিস্ক বের হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই শিশু ইমরুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশু ইমরুলদেও পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদেও বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিক্সা চালক। ইমরুল পৌরশহরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।