অনলাইন ডেস্ক :
যত বেশি জ্বালানি ব্যবহার হয় পরিবেশের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। আবার ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানিতে সংকট রয়েছে। এ রকম অবস্থায় একের বেশি গাড়ি নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একের অধিক প্রতিটি গাড়িতে সিসি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বাড়তি কর দিতে হতে পারে ।
আজ ১ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, একের বেশি ১৫শ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি গাড়ির জন্য দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। ১৫শ সিসির বেশি থেকে ২ হাজার সিসি পর্যন্ত ৫০ হাজার, আড়াই হাজার সিসি পর্যন্ত ৭৫ হাজার, তিন হাজার সিসি পর্যন্ত দেড় লাখ, ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ২ লাখ এবং সাড়ে তিন হাজার সিসির বেশি হলে সাড়ে তিন লাখ টাকা কর দিতে হবে। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন। তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুশিয়ারতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫) ওই গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলে। বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজমান মিয়া ও কাছম আলীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৭ মার্চ সালিশ ডাকা হয়। সেখানে সমস্যার সমাধানও হয়। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে, চিকিৎসা নিতে এসেও উভয় পক্ষের লোকজন আরেক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, আহতরা হাসপাতালে এসেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের শান্ত করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীরা যেন সমান অধিকার পায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীরা এখন গ্রামে বসেই কাজও করতে পারবে, উপার্জনও করতে পারবে।
তিনি বলেন, নারীরা শুধু আমাদের অধিকার দাও বললে চলবে না, নারীদের অধিকার নারীদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। নারীদের অধিকার নিজের গুনে অর্জন করতে হবে।
আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ‘জয়িতা টাওয়ার’ উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এ দেশে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানে কিন্তু নারীর সমঅধিকারের কথা বলা আছে। তিনি নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে, তার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন।
আমাদের মেয়েদের ওপর বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুব মহিলা লীগের মেয়ে, আওয়ামী লীগের মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার তারা করেছিল, তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। গ্রেপ্তার করা, থানা নিয়ে আটকানো, নানাভাবে তাদের নির্যাতন করা হয়। এর প্রতিবাদ আমাদের মেয়েরা করে গেছে। আমাদের পুরুষরা যখন রাস্তায় নামতে পারেনি, তখন আমাদের যুব ও আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীরা সাহসের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে।
এর আগে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নবনির্মিত ভবন ‘জয়িতা টাওয়ার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জয়িতা ব্র্যান্ডের আওতায় নানামুখী ব্যবসা উদ্যোগ প্রসারে অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা সম্বলিত জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। জয়িতা টাওয়ারে ইউনিভার্সেল এক্সেসিবিলিটিসহ দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের পণ্য, সাপ্লাই চেইন ও সেবা বিপণনের সুবিধা থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ও বাঁধ ভেঙে গেছে সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি। উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ অঞ্চলের যত বাঁধের ক্ষতি হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। যত মানুষের ঘর ভেঙে গিয়েছে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সব আমি করে দেব। ক্ষতিগ্রস্ত সবার হিসাব করা হচ্ছে, বিকেলে সবাইকে নিয়ে বসব।’
‘জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক পুকুরের পানি নোনতা হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ধানকাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও তরিতরকারি যা নষ্ট হয়েছে, কৃষক যাতে আবার সেগুলো বপন করতে পারে, সেজন্য বীজ, সার, যা যা লাগে সেগুলোর ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমি করে দেবো। নতুন উদ্যমে আপনারা যাতে চাষ করতে পারেন, আমি চাই আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপ নিই। আর সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ করে দিয়েছি, আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা- বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবনের যে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করে যাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আর বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। মায়ের নামে আমরা বৃত্তির টাকা পাঠাই। যারা একেবারে হতদরিদ্র বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিই। এখন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যারা কিনতে পারে না তাদের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। অল্প টাকায় চাল, ডাল, তেল কিনে নিতে পারবে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার শ্যামনগর ও কয়রা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন। এরপর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে গাড়িতে করে খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, ভোজ্য তেলসহ মোট ১৪ কেজির বেশি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিলেন। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ জন মন্ত্রী ও পরে ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে পাঠ করান শপথবাক্য।
সাংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ শপথ নেন।
প্রথমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরে গোপনীয়তার শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ শপথ নেওয়া ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভাই দেশের নতুন সরকার। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ভূমি মন্ত্রণালয় নারায়ণ চন্দ্র (খুলনা-৫), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), রেলপথ মন্ত্রণালয় মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা ১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়