চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে জমি সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর হয়েছে। সে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের কেনা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কেনা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার সাথে তার ভাতিজা মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আউশ মিয়া, গিয়াস মিয়া ও সুজন মিয়ার সাথে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ মেটাতে আজ ১ জুন বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে জমি মাপামাপি করার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহজাহান মিয়াকে তার ভাতিজারা মারধর করে। এ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া বিষপান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মাঝে ঝামেলা চলছিল। আজকে জমি মাপঝোক চলছিল এসময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শাহজাহান মিয়াকে তার ভাতিজারা লোকজনের সামনে মারধর করলে অভিমানে সে বিষ পান করে। পরে লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের স্ত্রীর দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে বিষ খাইয়ে তাকে মেরে ফেলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানার মধ্যে সামগ্রিক কর্ম মূল্যায়ন এপ্রিল- ২০২৩ মাসে শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ৮ মে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করা হয়। মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৯টি থানার মধ্যে তার সামগ্রীক কর্মতৎপরতায় বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ পুরষ্কার বিজয়নগর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা করার কারনে সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বিজয়নগর থানার সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সামগ্রিক ভাবে আমরা জেলার সবচেয়ে ভালো করতে পারছি। আমাকে আগামিতে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বিজয়নগরে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় দুটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত মহিষের আনুমানিক মূল্য ৭৬ লাখ টাকা। এসব মহিষ আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ভাই এর হাতে আরেক ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের ছেলেও গুরুত্ব আহত হয়েছে।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিহত জাকির হোসেন (৪৫) উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামের মৃত আবদুস সামাদ এর ছেলে। উক্ত ঘটনায় নিহত জাকির হোসেনের ছেলে আলামিন গুরত্বর আহত হয়েছেন।
নিহত জাকির হোসেনের আপন ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন ও মুক্তার হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসার পথে মৃত্যু বরণ করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, নিহতের সততা নিশ্চিত করে তিনি জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর চালায়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. এর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলত বাড়ি দরবার শরিফের পীর সৈয়দ নাঈম হুজুর ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌঁছলে তাবলীগ জামায়াত নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থনে ওই গ্রামের লোকজন তাতে বাঁধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধোর করে। এরই জের ধরে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা চালায়।
এসময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরাগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে অংশ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের সহশ্রাধিক লোকজন রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৫ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাছুম মিয়া জানান, হাসপাতালে ৩০ জনের উপরে চিকিৎসা নিয়েছেন। গেরাগাঁও গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, জশনে জুলুসের র্যালী নিয়ে ঈদে মিলাদুন নবী সা. এর দিনের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহষ্পতিবার ফের সংঘর্ষ হয়। সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় আমার ঘরসহ অনেকের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। বিজয়নগর থানার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর বিকাল বেলা খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পরে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন বাগদিয়া আমতলী গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে মাহি আক্তার (০৬) ও আশ্ররাফ আলীর মেয়ে রুমা আক্তার (০৭)। তারা একেই পরিবারের সম্পর্কে ফুফু ভাতিজী লাগে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচ টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুর পানিতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, বাড়ির পশ্চিম দিকের পুকুরের পানির শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন ফুফু ভাতিজী পুকুরে পরে বাঁচতে চেষ্টা করছে। বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।