অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি (শুল্ক কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন সাজতে গেলে বেশি টাকা গুনতে হবে।
আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানান, কসমেটিকস আমদানিতে শুল্ক কর আরও ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে আগে শুল্ক কর ছিল ৩ শতাংশ। এখন থেকে তা হবে ২০ শতাংশ।
এতে অর্গানিক সার্ফেস অ্যাকটিভ উপকরণ, বার কেক ও বিভিন্ন সাবান তৈরির উপকরণ, ওয়াশিং ক্রিম, লিকুইড ক্রিম ও বিয়ের উপকরণের দাম বাড়বে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি সাবান, লিকুইড সাবান ও ডিটারজেন্টের শুল্ক কর ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশীয় বাজারে বিদেশি কসমেটিকস জাতীয় পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। অধিকাংশ সময়ই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে কিংবা অবৈধ উপায়ে বিদেশি কসমেটিকস আমদানির অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য বিদেশি উপকরণসহ কসমেটিকস শুল্ক কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের সব আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঘোষিত তপশিল অনুসরণে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, এ আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮’এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২২ নভেম্বর বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধান অনুসরণ’ এবং ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান’ সংক্রান্ত চিঠি দুটি পাঠানো হয়।
প্রথম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি (২০২৪) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে এবং ওই দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধানাবলির প্রতি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ওই আইনের ৪ ধারায় নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি এবং ৫ ধারায় শৃঙ্খলামূলক বিধানাবলি বিধৃত রয়েছে।
‘নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক বা যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ২(ঘ) ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য হবেন এবং তিনি ওই দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়ী থাকবেন। এরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিযুক্তির জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র নাও থাকতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য, ভুল তথ্য প্রদান ইত্যাদির জন্য অসদাচরণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা যাবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
চিঠিতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সজাগ থেকে অর্পিত নির্বাচনী দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
দ্বিতীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা সবার জাতীয় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে।
‘নির্বাচন কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। অতীতেও তারা নির্বাচনের কাজে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সহযোগিতা প্রদান করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন) রয়েছে। এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার ওই নিয়োগের তারিখ থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষেত্রমতে রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তিনি তার যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাধান্য পাবে।
এমতাবস্থায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসারের যে কোনো নির্দেশ জরুরি ভিত্তিতে পালন করার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ও অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার একটি আবশ্যিক পালনীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪ক অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া ওই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
১. আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা হতে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ প্রদান।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশ জারি করা।
৩. নির্বাচন পরিচালনার কাজ অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসমূহকে তাদের যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনের কাজে জড়িত আছেন, নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছুটি প্রদান বা অন্যত্র বদলি করা অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান হতে বিরত থাকা।
চিঠিতে উল্লিখিত নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহর এলাকার একটি বাড়িতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আব্দুল খালেক (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এতে দগ্ধ হয়েছেন তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০)।
আজ ২৮ আগস্ট সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম আশেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় রাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘরের ভেতরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দম্পতিকে তাদের ছেলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল খালেককে মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ারা বেগম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর সাম্প্রতিক জেনেভা সফর। সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। সূত্র : বাসস
রাষ্ট্রপতি আশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান ও কুশলাদি বিনিময় করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও এসময় রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সহধর্মিনীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।