চলারপথে রিপোর্ট :
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
১৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে মোট ৪৫ ঘন্টায় বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আখাউড়া উপজেলার স্থায়ী নাগরিকরা এ প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। এ জন্য অবশ্যই আগ্রহী ও মনযোগী হতে হবে। ১৮ থেকে থেকে ৩৫ বছর বয়সের যে কোন নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণ গ্রহণের আবেদন করতে পারবে। তবে কম্পিউটারে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ প্রার্থীদের বয়স বেশি হলেও বিবেচনা করা হবে। ‘উপজেলা প্রশাসন আখাউড়া’ নামের আইডি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ব্যপারে প্রচার করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। আগ্রহী প্রার্থীকে অলাইনে ‘গুগুল ফরম’ পুরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনে ফরমে নাম, মোবাইল নম্বর, বয়স, আখাউার স্থায়ী বাসিন্দা কিনা, বেসিক কম্পিউটার দক্ষতা রয়েছে কিনা, ল্যাপটপ আছে কিনা ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে। মাত্র ২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাই দ্রুত সমেয়র মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংগ্যজাই মারমা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশের মানব সম্পদকে বিশ^মানের হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতায় আখাউড়ায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বেকার যুবকরা তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ ররেয়ছে। প্রশিক্ষণ শেষে সরকারি সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
আবেদন করার লিঙ্ক-https://forms.gle/aJACGTvrwBfJXj9AA
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের কলেজ পাড়া থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমিতির কার্যালয়ে ফিরে যায়।
এর আগে আগে আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভুঁইয়া, আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবু জামাল ভুঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, শওকত চৌধুরী ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের এবারের স্লোগান হলো ‘ইনসুলিন আমাদের অধিকার, বিনা মূল্যে ইনসুলিন চাই। সাশ্রয়ী মুল্যে ঔষধ চাই। শতকরা ৬৫ জন লোক ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। তারা নিজেরাও জানে না তারা ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। খাওয়া-দাওয়া, প্রেসার, টেনশন থেকে ডায়াবেটিক হয়। ডায়াবেটিক যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অ্যাড. আকছির এম চৌধুরী বলেন, একবার যার ডায়াবেটিক হয়, সারা জীবন তাকে তা বয়ে বেড়াতে হয়। ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলেও সচেতনতা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে কোন ক্ষতি করতে পারে না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করা। দুই বছর আগে আখাউড়ায় ডায়াবেটিক সমিতি গঠন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় হোটেলে রান্না করা খাবারে মরা ইঁদুর ও বাসি-পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের ‘অতিথি হোটেলের’ মালিক নজরুল ইসলামকে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অতিথি হোটেলে বাসি-পচা মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাই। অভিযোগকারী হোটেল থেকে মাংস এনে দেয়। সেই মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে অভিযান চালানো হয়। এসময় খাবারে মরা ইঁদুরও পাওয়া যায়। ভোক্তা অধিকার আইন- ২০০৯ অনুযায়ী হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রেলসেতু পারাপারের সময় ৪ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই রেলসেতুটির উভয় পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি রেললাইন এলাকায় মানুষের চলাচল নিরাপদ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা-সিলেট রেলপথের খরমপুর রেলসেতুটির উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে যাতে রেলসেতুর ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে না পারে। ট্রেন আসার সময় বাঁশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, চলে গেলে আবার বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তিতাস নদী হয়ে নৌকায় করে এসে অনেকেই রেললাইনের পাশ দিয়ে খরমপুর মাজারে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ রেললাইন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা সরেজমিনে ঘটনার খোঁজ-খবর নেন।
এর আগে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহ্বায়ক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) মো. শফিকুর রহমান বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায় ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই রাতেই ২ জন এবং পরদিন শুক্রবার দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির আইনজীবীদের আদালত বর্জনকে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর কোন মর্মার্থ নাই। কারণ হচ্ছে, আদালত আদালতের কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বিচার কার্যে মনোনিবেশ করছেন। আদালতকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে টেনে আনা আমার মনে হয় বিএনপির ভুল বা অন্যায়। আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন তামাশার নির্বাচন, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ নির্বাচনকে তামাশা বলছেন, তাদের বক্তব্যটাই তামাশা। কারণ হচ্ছে, জনগণ এ নির্বাচনকে মেনে নিয়েছেন এবং নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জনগণের এখনের কার্যকলাপে বুঝা যাচ্ছে। উনারা (বিএনপি) কথা বলে যেতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সঠিকভাবে তাদের অধিকার ব্যক্ত করবে।
এর আগে তিনি আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছে। এসময় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাঁকে স্বাগত জানায়। পরে তিনি সড়ক পথে কসবা উপজেলায় নিজ বাড়িতে যান।