অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দেশটির রেল সূত্র জানিয়েছে। খবর এনডিটিভি ও দ্য হিন্দুর।
আজ ২ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দেশটির দক্ষিণে ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক বাংলাদেশি এই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
জানা যায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ট্রেনটির সঙ্গে একটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেনটির প্রায় ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনের গতি বেশি থাকায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির ওপর উঠে যায়।
এই দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বাংলার অনেকে জখম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে উদ্ধার কাজ চালাতে সেখানে একটি দল পাঠানো হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আদিত্য চৌধুরি বলেন, বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কিছু একটা হয়েছে। আমরা কোনও ভাবে এখনও কিছু জানতে পারিনি। জানার চেষ্টা করছি। জানামাত্রই জানানো হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে। এর ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সবকটি কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে হেল্পলাইন সার্ভিস চালু করেছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনের নম্বর গুলো হলো- হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়গপুর স্টেশন ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশন ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৩৭০৭৪৬।
এই দুর্ঘটনার পর ৫টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে দেশটির দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনগুলো হলো- পুরী এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি পুরী স্পেশাল, শালিমার সম্বলপুর, চেন্নাই মেইল।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর ফের ট্র্যাকে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আজ ৭ জুন বুধবার কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ফের যাত্রা শুরু করল যাত্রীতে পরিপূর্ণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নির্দিষ্ট সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৬ মিনিট দেরিতে এদিন শালিমার স্টেশন থেকে রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।
ভারতের তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথমবার ট্র্যাকে ফেরা করমণ্ডল সফরে আতঙ্কই যেন ছিল যাত্রীদের সঙ্গী। যাত্রীদের মধ্যেও চলে শুক্রবারের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা। তা সত্ত্বেও যেতে হবেই, বলছেন যাত্রীদের অনেকে। তা প্রিয়জনকে বিদায় জানিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার পর প্রথম যাত্রায় ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উদ্বেগের মধ্যেই ট্রেনটি ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর পর এসি বিকল হয়ে যায় ট্রেনের তাপানুকুল কামরার। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দমবন্ধ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর দ্রুতগতিতে মেরামত কাজ শুরু করে রেল। বি–১ এবং বি–২ কোচে এসি চালু হলেও বি–৩ কোচে ফের এসি বিভ্রাট দেখা দেয়। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায় সেটিও।
এদিকে বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিতরণের পর নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কী করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তৎকালীন রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে করমণ্ডল-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন মমতা। পাশাপাশি যারা এ দুর্ঘটনায় দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও প্রায় চার হাজার।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১২৮ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানায়, “নিহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০ জনেরও বেশি শিশু এবং ৩ হাজার ৯২০ জন নারী রয়েছে।“
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা চার দিনের বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আজই ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।
চলারপথে ডেস্ক :
কুয়েত ঢাকা রুটে যাতায়তকারী প্রবাসীদের জন্য সু খবর দিল বিমান বাাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যান্য ব্যবসার মতো বর্তমান এয়ারলাইন্সের ব্যবসায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার কুয়েত প্রবাসীদের জন্য অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও মূল্যহ্রাসের সুখবর নিয়ে এলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১০ মে হতে ৫কেজি ১৪ কুয়েতি দিনার, ১০ কেজি ব্যাগেজ ১৯ কুয়েতি দিনার, ২৩ কেজি ব্যাগেজ ৩২ কুয়েতি দিনার এবং সাথে ১ দিনার সার্ভিস চার্জ যাত্রীরা নিতে পারবে। ইকনোমিক ক্লাসে ৫০ কেজি ব্যাগেজ ও ০৭ কেজি হাতে এবং বিজনেস ক্লাসে ৬০ কেজি ব্যাগেজ ও ৭ কেজি হাতে নিতে পারে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাসের খবরে উচ্ছ্বাসিত কুয়েত প্রবাসীরা।
চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ব্যাগেজে দাম কমানো আমরা অনেক খুশি। আমারা পরিবার ও প্রিয়জনদেন জন্য জিনিস নিয়ে যেতে পারবো । নির্ধারিত ওজনে বেশি হলে এবং ওজন চার্জ বেশি বেশি হওয়ার কারণে মালপত্র পেলে যেতে হতো।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে আমাদের একটা অনুরোধ বিমানে শিডিউল ঠিক রাখে এবং আগের মতো কুয়েত চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু করে।
স্কাই টাচ এবং বদুর ট্রাভেল এজেন্সি সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসনে মোবারক ও সেলিম হাওলাদার বলেন, আমরা র্দীঘদিন এই ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সাথে জড়িত গ্রাহকের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নানা অভিযোগ ও আবদার জানায়। আমরাও চেষ্টা করি গ্রাহকে আবদার ও অভিযোগ গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষে কাজে পৌছেয়ে দিতে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাস সময় উপযোগী গ্রাহকের চাহিদা ছিল। এতে কুয়েত বাংলাদেশ বিমানের প্রবাসী যাত্রী যাতায়ত বাড়বে লাভবান হবে বিমান এবং বাড়বে দেশের রেমিট্রান্স। কুয়েত থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম রুটে বিমানে আরো ফ্লাইট বাড়ানো জরুরী বলেন মনে করেন এই কর্মকর্তারা।
কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ এবং চাহিদা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজে মুল্যহ্রাস করেছি।বহিঃবিশ্বে লাল সবুজ পতাকা বাহী বাংলাদেশের বিমানআমাদের নিজেদের বিমান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের কর্ষ্টজিত আয়ে প্রবাসীদের নিয়মিত বাংলাদেশ বিমানে যাত্রায়তের আহ্বান করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের মামা শামীম সরকার।
নিহত জুনায়েদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। তার বাবার নাম হামিদুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনরা জানান, বছর খানিক আগে জীবিকার তাগিদে জুনায়েদ পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে তিনি বলদিয়া কোম্পানির গাড়ির হেলপার ছিলেন। রবিবার দুপুরে দাম্মাম শহরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চালক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। জুনায়েদের মরদেহ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। জুনায়েদের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা করব।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।