চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগরে ৩১ শয্যার ৩ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি উৎসব মুখর পরিবেশে উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ভবন উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো এমপি নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ১০০ শর্যায় উন্নতি করাসহ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডাক্তার মোঃ শাহ আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক জি এস মোঃ সোহেল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর মুখপাত্র ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ট্রাষ্ট্রের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশিদ বলেছেন- জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি হউক কিংবা ফেব্রুয়ারিই হউক, তখনই প্রস্তত আছে জাতীয় পার্টি। তবে একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার সকল প্রস্ততি নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন কাজী মামুন। এ সময় তিনি আরো বলেন- জাতীয় পার্টি সন্ত্রাস নৈরাজের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলীয় কার্যলয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ সব কথা বলেন। উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি রজব আলী মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা যুবসংহতি আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন রানা, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। বিশেষ এই বর্ধিত সভায় জাতীয় পার্টিও উপজেলা ও পৌরসভা সহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নবীনগর প্রতিনিধি :
জনপ্রতি ২ শতাংশ জমি ও প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে সুবিধাভোগীরা সে ঘর বিক্রি করে দিচ্ছেন মাত্র ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। নবীনগরে ভূমিহীনদের জন্য দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এভাবে বেচাকেনা চলছে। বরাদ্দের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৫টি ঘরের মধ্যে ছয়টি বিক্রি হয়ে গেছে। অন্তত ৩০টিতে ঝুঁলছে তালা। কিনে নেওয়া ব্যক্তিরা ঘরে বসবাস করছেন। গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের ২ নম্বর গলির ৩ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান মৃত আফছার উদ্দিনের স্ত্রী সাধনের নেছা। তাঁর ছেলে রুবেল মিয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকায় শাহনাজ বেগমের কাছে বিক্রি করে দেন। রুবেল মিয়া বলেন, টাকার প্রয়োজনে ঘরটি বিক্রি করেছেন তাঁরা।
গলির ২ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান গাজী মদনের স্ত্রী জুলেখা বেগম। ৩৫ হাজার টাকায় ইমন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ঘরটি কিনেছেন। ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মৃত ফজলুল মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম। তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনে ঘরে বসবাস করছেন মৃত হামিদ মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম। ১৭ নম্বর ঘর বরাদ্দ পাওয়া ধরাভাঙা গ্রামের হাবিব মিয়া ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন থোল্লাকান্দি গ্রামের নার্গিস বেগমের কাছে। বড়িকান্দি গ্রামের ইকবাল হোসেন ১ নম্বর গলির ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি ৩৫ হাজার টাকায় একই গ্রামের কালন মিয়ার ছেলে মো. মোক্তার হোসেনের কাছে বিক্রি করেছেন।
২ নম্বর গলির বাম পাশের ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন জমেলা বেগম। এ ঘর ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন হক মিয়া ও তাঁর পরিবার। এদিন প্রকল্পের প্রায় ৩০টি ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য বাসিন্দারা জানান, বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা ঘরে থাকেন না, আসেনও না। আর বসবাসকারী ব্যক্তিরা টাকা দিয়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁদের কোনো বাড়িঘর নেই। আবেদন করেও ঘর বরাদ্দ পাননি। এ জন্য স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘর কিনে বসবাস করছেন।
২ নম্বর গলির ১৭ নম্বর ঘর কিনে মালিক হওয়া অসহায় নারগিস বেগম বলেন, তাঁর ঘরবাড়ি নেই। কষ্ট করে ২২ হাজার টাকা জোগাড় করে তিনি হাবিব মিয়ার কাছ থেকে ঘর কেনেন। তাঁর নামে দলিল করে দেবে বলে জানিয়েছে। ২ নম্বর গলির ২ নম্বর ঘর কেনা মালিক রহিমা বেগম বলেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন করেও ঘর না পেয়ে কিনেছেন।
এ ছাড়া মোক্তার হোসেন, নাজমা বেগম, হক মিয়া ও শাহনাজ বেগমও ঘর কেনার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ঘর বিক্রি করা সুবিধাভোগী কাউকে না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. লাল মিয়ার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিলেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আক্তার হোসেন বলেন, ঘরগুলো বিক্রি হয়েছে। অনেকে আবার থাকেন না। অনেকের বাড়িঘর আছে। অথচ ভূমি ও ঘরহীন অনেকে বরাদ্দ পাননি। ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও আমলে নেননি।
এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রোকসানা বেগম পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এটি ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাজ। এ বিষয়ে তাঁরাই ভালো জানেন। তিনি তালিকা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন। বড়িকান্দি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে নিয়মিত হাঁটুন সুস্থ থাকুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ১৩ বছর পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল সামাজিক সংগঠন প্রাতঃভ্রমণ এসোসিয়েশন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত অত্র সংগঠন আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নবীনগর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুস সুবহান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাওছারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেজাউল করিম, দুপ্রক সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, সংগঠনের সহ-সভাপতি মানিক বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, কার্যকরী সদস্য আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া রেণু, ডাক্তার মো. দস্তগীর, সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, দৈনিক কালের কন্ঠে নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি মাজেদুল ইসলাম, শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম কালন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক আবু সালেহ।
তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবু কাওসার, গোপাল বণিক, মিঠু রক্ষিত, মো. জাকির হোসেন, বিশ্বজিৎ বণিক। পিটা উৎসবে সকল সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে চিড়া, মুড়ি, খৈয়, মিঠায় ও মিষ্টি খাওয়া দাওয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহাবুব আলম নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষে মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত শেষে মোহাম্মদ এবাদুল করমি বুলবুল এম.পি’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পর্যায় ক্রমে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, বাংলাদশে আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, বীর মুক্তেিযাদ্ধাগণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতকি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দপ্ত রের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা তানভীর ফরহাদ শামীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্র্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
বিশেষে অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মরিুজ্জামান মনির, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, নবীনগর সার্কলের অতিরিক্ত পুিলশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসনে সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহবুব আলম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের, সম্পাদক শুক্কুর খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, উপপ্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুিক্তযোদ্ধা শামসুল আলম শাহন, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সরকার, বীর মুুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর রচনা, কবিতা আবৃত্তি চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জোয়ারের পানিতে ডুবে নাহিদ মিয়া (৪) নামে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু নাহিদ ওই গ্রামের শহিনুর আলমের ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নাহিদসহ আরও কয়েকজন শিশু বাড়ির পূর্বপাশের একটি জমিতে বর্ষার জোয়ারের পানিতে গোসলে করতে যায়। গোসল শেষে অন্য শিশুরা বাড়িতে চলে আসলেও নাহিদ আসেনি। এর কিছুক্ষণ পর নাহিদের মরদেহ জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পায়।
পুলিশের কর্মকর্তা আরো বলেন, শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।