চলারপথে রিপোর্ট :
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার্জনে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করবে। তিনি এই প্রসংশনীয় উদ্যোগের জন্য জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অত্র উপজেলাধীন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্তৃক উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, জেলাপরিষদ সদস্য সনি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাই ভেঙে ফেলা হয় বেইলি সেতু। এর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতুটি ভেঙে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের বেইলি সেতুটি গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভেঙে ফেলেন ঠিকাদার। ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-কুমিল্লা সড়কে ছিল সেতুটি। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে পাশের কাঁচা মাঠ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী থেকে বারিয়াদহ বিলের সঙ্গে যুক্ত খালের ওপর একটি বেইলি সেতু ছিল। ১৯৯০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর, দেবীদ্বার, নবীনগর, হোমনা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ফরদাবাদ গ্রামের শান্তির বাজারসংলগ্ন খালটির ওপর ৩১ দশমিক ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স (জেবি) নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত ২ জানুয়ারি কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠান দুটি। কাজটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি শেষ করতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও নির্মাণ হয়নি বিকল্প সড়ক। এ কারণে রাস্তার পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। মাঠের নরম মাটিতে যানবাহন প্রায়ই আটকে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্ত ও মাটি কাদা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুই মাস ধরে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। মাটি কাটার কারণে সেতুর দক্ষিণ পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল মার্কেটের দুটি কলামের মাটি সরে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উত্তর পাশের আলমগীর হোসেনের বাড়িতে নির্মিত মার্কেটের তলার মাটি সরে গিয়ে মার্কেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানের ভাড়াটিয়া তাদের মালপত্র নিয়ে সরে গেছে।
ফরদাবাদ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হলেও কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানবাহনগুলো স্কুলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলার কারণে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী কবির হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই মালবাহী ট্রাক মাঠের কাদামাটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই সেতুটি ভাঙা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাবু মিয়া বলেন, হটাৎ করে সেতুটি ভেঙে ফেলায় ও বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের দাবি, জায়গা না থাকায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মাঠ দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই জায়গায় ইট-সুরকি ফেলে দেওয়া হবে।
পাশের ভবনগুলোতে ফাটল ও ঝুঁকির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নকাজের সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। ৭-৮ মাস ধরে নির্মাণসামগ্রী এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ঠিকাদারের। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার জন্য তাঁকে বলে দেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় গৃহবধূ রহিমা বেগম (২৮) হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী মো. আল আমিন মিয়া (৩২) কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেন এর কন্যা রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিক্সা চালক ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব-অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার উপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। পরে এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত অনুমানিক ২টার দিকে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। পরে রহিমা নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দেওয়ার জন্যে তার স্বামী আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোঁটে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বামী আল আমিনকে ধরে ওই রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে নিহত রহিমার পিতা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। পরে মামলটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলটি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদস সদস্য ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধন করা। আওয়ামী লীগ রাজপথে জন অধিকার আধায়ের সংগ্রামী একটি রাজনৈতিক দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দেশ ও দলের অধিকার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারই বাস্তব প্রমাণ আজকেই সুজলা-সুফলা এই সোনার বাংলা।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে তার কোনো বিকল্প নেই। সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান একেএম শহিদুল হক বাবুল, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুবুর রহমান উজ্জল, দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম স্বপন, সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এছাড়াও তেজখালী, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।