চলারপথে রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। নারী পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। আর তাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩য় বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চা বোর্ডের প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাইয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৪ জুনকে “ জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৩য় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
মস্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
চায়ের বাজারে ঠিকে থাকতে হলে চা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রাডিং করতে চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চা শ্রমিক ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়েছেন।
প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫-৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে প্রদেয় ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ চা শিল্পের বিকাশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পথ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নতুন নতুন ব্যান্ডিং এর খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক জেলা আ’লীগ, কামরান টি রহমান সভাপতি বাংলাদেশীয় চা সংসদ, মো. জসিম উদ্দিন সভাপতি এফবিসিসিআই, শাহ মঈনুদ্দিন হাসান সভাপতি টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথম বারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানী/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়।
দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত ছিল। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান
(২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান
(৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রতায়ন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়)
(৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান
(৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:
(৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:
(৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
ডেস্ক :
২০২৩ সাল থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী পাবলিক বা বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা না থাকায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তার পরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবের সম্মতি দিয়ে পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন।
বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো, বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই হত্যা করেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। এটি মৃত ইস্যু।
তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন সরকারের সব অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তখন তারা বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আস্থা দেশের জনগণের ওপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশিদের ওপর, যারা ’৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ’৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।
আজ ২৯ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
বগুড়া: জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশিষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শাজাহানপুরে পুনরায় প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
সদরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক (ঘোড়া), শাজাহানপুরে সাজেদুর রহমান শাহীন (ঘোড়া) ও ফিরোজ আহমেদ রিজু (মোটরসাইকেল) ছিলেন।
বুধবার রাত ৮টায় তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কমকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: জেলার তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহিন।
তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সাতক্ষীরা: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ৮টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মেহেদী হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে হোটেল বায়েরিসচার হোফের সম্মেলনস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠকের আগে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন।
সফর শেষে শেখ হাসিনা আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন” এ স্লোগানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও আইনগত সহায়তায় সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার মুন্সীগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্ত্বর হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও বিগত সময়ে আইনগত সহায়তার সাফল্যের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাকারিয়া মোল্লা, পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, জিপি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) মো. আদিবুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শ.ম হাবিবুর রহমান, অজয় কুমার চক্রবর্তী, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার সহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে বিনা খরচে জেলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি প্রত্যেক গ্ৰামে প্রচার-প্রচারণা করে সকলকে অবহিত করতে হবে। প্রতি ৩ মাস পর পর সাধারণ জনগন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের সমন্বয়ে সভা/সেমিনার করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে সচেতন করা। এভাবে আইনি সহায়তা পৌঁছে দিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে মুন্সীগঞ্জ জেলায় সেরা সহায়তাকারী প্যানেল আইনজীবী নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজউদ্দীন। তিনি গেলো বছরও একই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।