অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গণভবনে গাছের চারা রোপণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ ৫ জুন সোমবার গণভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা, ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
এর আগে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’ উপলক্ষে ৪ জুন রবিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ বছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য–‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।
এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০২২’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২১’ এবং যেসব উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি বনভ‚মিসহ প্রান্তিক ভূমিতে সামাজিক বনায়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চরভ‚মিতে উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশীয় স্থানোপযোগী প্রজাতির বনায়ন করে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এভাবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ ভাগে উন্নীত করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন অপসারণ ও বন খাতের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড প্লাস স্ট্রাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সবুজ-শ্যামল এ বাংলাদেশ এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। দেশকে আরও সবুজে আচ্ছাদিত করার লক্ষ্যে এ বছরও জাতীয় পর্যায়সহ সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রজাতির বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় এবং চারা সংগ্রহের জন্য বৃক্ষমেলার আয়োজন সহায়ক হবে বলে আশা করি। তা ছাড়া বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মাঝে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তার যত্ন নেয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ বাসযোগ্য আবাসভূমি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দেবপুর উপজেলায় ট্রাকে বাসের ধাক্কা লাগার পর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ভিক্টোরিয়া কলেজের ৭০ জন শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় বাসে আগুনের ধোঁয়া দেখে লাফিয়ে নেমেছে তারা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজে যাত্রা করে সুগন্ধা বাস। বুড়িচং উপজেলার দেবপুর বাজারে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি।
দুর্ঘটনার পর তিন মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন দেবপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাস থেকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামছে ছাত্রীরা। বাসের ইঞ্জিনে আগুনের ধোঁয়া। বাসের সামনের গ্লাস ভাঙা। এসময় উপস্থিত মানুষজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ড্রাইভার আটকে আছে, তাকে বের কর। তোমরা লাফাইও না। বাসে আগুন লাগবে না।’
স্থানীয়রা জানায়, বাস ব্রেক ফেল করে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসের ইঞ্জিনে আগুন ধরে।
এ বিষয়ে সুগন্ধা বাস মালিক মো. সালাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, চালক আটকে গেছে। তার পা কেটে গেছে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কেউ আহত হয়নি।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, বাসটি আমি দেখেছি। বাসের ক্ষতি হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হতাহতের খবর আমরা পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ও তার এক সহযোগিকে এক হাজার ইয়াবা বড়িসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত থেকে মঙ্গরবার ভোর পযন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। এসময় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার নাজির অটোরিক্সা গ্যারেজের সামনের সড়ক থেকে নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে একাধিক মামলার আসামী মোঃ মামুন মিয়া (৩৮) ও তার সহযোগি জগন্নাথপুরের ঝাকুনীপাড়া এলাকার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে মোঃ জসিমকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ইয়াবা বগিসহ একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। অভিযানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক তুষ্টলাল বিশ্বাস, সহকারি উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ সাইদুর রহমান, আব্দুস সালামসহ অন্যরা অংশ নেয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া জানান, মামুনের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ইয়াবাসহ গ্রেফতারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভালুকায় বাড়ির উঠানে রান্না করার সময় খেজুর গাছের গুড়ি ভেঙে পড়ে গাছের চাপায় চায়না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মল্লিকবাড়ীর ইউনিয়নের গোবুদিয়া গ্রামে। নিহত চায়না আক্তার ওই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূর বাড়ির ওঠানে তার অসুস্থ শাশুড়ির জন্য রান্না করার সময় হঠাৎ উঠানের পাশে থাকা খেজুর গাছটির গুড়ি ভেঙে গৃহবধূর উপরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। খেজুর গাছের গুড়ি পচে নষ্ট হয়ে ওই নারীর উপর পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আপনি হয়তো অনেক আলোচনা শুনে থাকবেন অথবা এ নিয়ে নানান খবরাখবরও দেখে থাকবেন গণমাধ্যমে।
কিন্তু এই দিনটা আসলে কী জন্য? এর গুরুত্ব আসলে কোথায়? নারীদের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও কী আছে? চলুন জানা যাক।
এটা কিভাবে শুরু হয়?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরুটা হয় শ্রমিক আন্দোলন থেকে, যা একসময় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত বাৎসরিক দিবস হয়ে উঠে।
আর এসব কিছুর শুরুটা হয় ১৯০৮ সালে, যখন এক সাথে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে। এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়।
এখন এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।
এই দিবসের সব কিছু আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ১৯৭৫ সালে, যখন জাতিসংঘ এটা উদযাপন করতে শুরু করে। আর প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ১৯৯৬ সালে। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ এই স্লোগান নিয়ে।
প্রতি বছর এখন এই দিবসে উঠে আসে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতোটা এগিয়েছে সেই বিষয়টা। একই সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিকভাবে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় এ দিনটি ঘিরে।
৮ মার্চ কেন? ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনও নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না, সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে এক আন্দোলন শুরু করে – টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।
যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (কারণ তখন রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ই মার্চ – তারপর থেকেই এই দিনটা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হল বেগুনি, সবুজ এবং সাদা।
‘বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা এবং সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কোনো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কি আছে? অবশ্যই আছে, আর সেটা ১৯ নভেম্বর। কিন্তু এটা অনেক পরে, ১৯৯০ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এখনও এই দিবসটি জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
এ দিনটি পালনের লক্ষ্য থাকে, ‘পুরুষ তাদের পরিবার, সমাজ ও এই বিশ্বে যে ইতিবাচকতা আনে সেটায় নজর দেয়া।’
এর আয়োজকরা বলেন একই সাথে এ দিবসের উদ্দেশ্য হল আদর্শ রোল মডেল তুলে ধরা, পুরুষদের সুস্থতার দিকে নজর দেয়া এবং লিঙ্গ সম্পর্কে উন্নতি আনা।
নারী দিবস কিভাবে পালিত হয়ে থাকে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে, রাশিয়াতেও এদিন সরকারি ছুটি এবং ৮ মার্চ ঘিরে তিন বা চারদিন ধরে ফুল বিক্রি দ্বিগুণ হয়ে যায়। চীনে স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক নারীই ৮ মার্চ অর্ধদিবস ছুটি পেয়ে থাকেন। ইতালিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বলা হয় লা ফেস্তা দেলা দোনা, লজ্জাবতী ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। এই রীতির উৎপত্তি কীভাবে তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় রোমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এর চল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মার্চ মাসকেই নারীদের ইতিহাসের মাস হিসেবে দেখা হয়। প্রতি বছর এ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটা ইশতেহার বের করা হয় বছর জুড়ে আমেরিকান নারীদের অর্জনগুলোকে সম্মান জানাতে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য কী? এ বছর নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হল “নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন”। এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
“সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে”, বলা হয়েছে এই দিবসটি ঘিরে।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে বিশ্ব জুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবেলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে।
তবে অন্যান্য কিছু প্রতিপাদ্যও আছে। নারী দিবসের ওয়েবসাইট বেছে নিয়েছে “অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ” এই প্রতিপাদ্য, আয়োজকদের লক্ষ্য “সকল বাধা ভেঙে ফেলা, প্রচলিত ভুল ধ্যান ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এমন পরিবেশ তৈরি যেখানে সমস্ত নারী সম্মান ও মর্যাদা পায়।”
আমাদের কেন এই দিনটি দরকার? গত বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের নারীরা যুদ্ধ, সহিংসতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে তাদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছে।
সবশেষ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা গাজায় নারী ও শিশুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমন কী ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ-সহ পেয়েছেন।
একই সঙ্গে ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের দ্বারা ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের অঙ্গ কর্তনের প্রমাণও পেয়েছে বিবিসি।
এই সংঘাতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেটার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এক পরিসংখ্যান আগামী মাসের মধ্যেই গাজায় অন্তত ৫৫০০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন কোনও রকম ন্যূনতম চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই।
আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বয়সসীমা পার হলেই তারা স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে তালিবানদের দ্বারা, যা মেয়েদের সমশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
সুদানে সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতেরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সেখানকার নারীদের উপর।
জাতিসংঘ বলছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায়ই নারী ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার খবর আসছে, যেখানে তাদের জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে এবং মুক্তিপণের দাবি করা হচ্ছে।
১২ লাখেরও বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দশ জনে নয় জনই নারী ও শিশু।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মারা যাওয়ার এক বছর হয়েছে, যিনি ইরানের হিজাব পরার কড়া নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপর অনেক নারী এই নিয়মের প্রতিবাদ করেন, যার মধ্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি-সহ অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘ কারাগারবাস ভোগ করছেন।
তবে গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সাবেক ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের এক চুমু কান্ডে; বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খান তিনি।
হারমোসো বলেন তার অনুমতি ছাড়াই তাকে চুমু দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে আইনিভাবে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
রুবিয়ালেস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু তিনি কোনও অন্যায় করেছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে যৌনতার সংস্কৃতির আলোচনা উস্কে দেয়।
বিবিসি ১০০ নারী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের এক প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এর ঘোষণা দেওয়া হয়। মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব এবং সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করে মোট ৫৫ সদস্যের এই জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে যারা আছেন- ১। আহ্বায়ক- মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ২। সদস্য সচিব- আখতার হোসেন, ৩। মুখপাত্র- সামান্তা শারমিন, ৪। আরিফুল ইসলাম আদীব, ৫। সাইফ মোস্তাফিজ, ৬। মনিরা শারমিন, ৭। নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, ৮। সারোয়ার তুষার, ৯। মুতাসিম বিল্লাহ, ১০। আশরাফ উদ্দিন মাহদি, ১১। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ১২। অনিক রায়, ১৩। জাবেদ রাসিন, ১৪। মো. নিজাম উদ্দিন, ১৫। সাবহানাজ রশীদ দিয়া, ১৬। প্রাঞ্জল কস্তা, ১৭। মঈনুল ইসলাম তুহিন, ১৮। আব্দুল্লাহ আল আমিন, ১৯। হুযাইফা ইবনে ওমর, ২০। শ্রবণা শফিক দীপ্তি, ২১। সায়ক চাকমা, ২২। সানজিদা রহমান তুলি, ২৩। আবু রায়হান খান, ২৪। মাহমুদা আলম মিতু, ২৫। অলিক মৃ, ২৬। সাগুফতা বুশরা মিশমা, ২৭। সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, ২৮। তাসনিম জারা, ২৯। মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, ৩০। মো. আজহার উদ্দিন অনিক। ৩১। মো. মেসবাহ কামাল, ৩২। আতাউল্লাহ, ৩৩। এস. এম. শাহরিয়ার, ৩৪। মানজুর- আল- মতিন, ৩৫। প্রীতম দাশ, ৩৬। তাজনুভা জাবীন, ৩৭। অর্পিতা শ্যামা দেব, ৩৮। মাজহারুল ইসলাম ফকির, ৩৯। সালেহ উদ্দিন সিফাত, ৪০। মুশফিক উস সালেহীন, ৪১। তাহসীন রিয়াজ, ৪২। হাসান আলী খান, ৪৩। মো. আব্দুল আহাদ, ৪৪। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ৪৫। মশিউর রহমান, ৪৬। আতিক মুজাহিদ, ৪৭। তানজিল মাহমুদ, ৪৮। আবদুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, ৪৯। মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, ৫০। এস.এম. সুজা, ৫১। মো. আরিফুর রাহমান, ৫১। কানেতা ইয়া লাম লাম, ৫২। সৈয়দা আক্তার, ৫৩। স্বর্ণা আক্তার, ৫৪। সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির, ৫৫। আকরাম হুসেইন।