চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন যোগাযোগ চালু হতে এখন আর মাত্র মাস দেড়েকের অপেক্ষা। পাঁচ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর অবশেষে আসছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এ পথে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
৬ জুন সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এরপর সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শন দলে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। ভারতীয়রা খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। আমাদের দেশ নানাভাবে সুবিধা পাবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর জানান, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষের পথে বাংলাদেশ অংশে মাত্র এক কিলোমিটার রেললাইন বসানোসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ এ পথ দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো যাবে।
এর আগে প্রকল্প পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগ প্রকল্পটি দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। দুই দেশের বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আপনারা জানেন যে কোনো প্রজেক্টেরই এক বছর ডিফিকাল্ট লায়াবিলিটি থাকে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত আছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের জুনের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। এরপর এক বছর ট্রায়াল রান হবে।
এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আছে। তফসিল ঘোষণা হলে বড় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন করা যায় না। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।
আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনাসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। দুই দেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর বাধার মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৮ বছর পর বৃহস্পতিবার আবারও শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও পুরোদমে শুরু হয়েছে ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডারের পর আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনাল কন্সট্রকশন লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তখন ইমিগ্রেশন ভবন এলাকায় নির্মাণসামগ্রী রাখার শুরুতেই ২০১৭ সালের ১১ মার্চ ভারতের বর্ডার নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশের বিজিবির মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০১৫ সালে আমরা যখন বেতন ভাতা বৃদ্ধি করি, আমরা একটা গবেষণায় দেখেছিলাম যে ইনফ্লেশনের (মুদ্রাস্ফীতি) সঙ্গে সঙ্গে একটা শতকরা হারে বেতন বাড়বে। প্রতি বছরের হিসাব মতে ইনফ্লেশন যত বাড়বে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াই। অনেক সুযোগও দিয়েছি, বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে, ফ্ল্যাট কেনার ভাতা, গাড়ি কেনার লোন ইত্যাদি।’
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ ১৫ মে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সেই জায়গায় আবার কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। কমিশন কর, এটা কর, সেটা কর, এতে খুব বেশি লাভ হয় না। কিছু লোক বঞ্চিত হয়ে যায়, আর কিছু লোক লাভবান হয়। এ জন্য প্রতি বছরের হিসাব মতো মুদ্রাস্ফীতি যত বাড়বে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াব। তাছাড়া অনেক সুযোগও দিয়েছি। বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট কেনার লোন, গাড়ি কেনার লোনসহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেতন যেভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম সেটা কিন্তু সবার জন্যই। তাই আমাদের মহার্ঘ্য ভাতার দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু ইনফ্লেশন বেড়ে গেছে, তাই ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন যেন বাড়তে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
বেসরকারি খাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের বিষয়। এটা সরকারের ব্যাপার না। বেসরকারি খাত করোনাভাইরাসের সময় যেন বিপদে না পড়ে তার জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা ভর্তুকিও দিয়েছি। এই ভর্তুকিটা বাজেটে বিপদে ফেলেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন ভর্তুকি দেয় না। বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ায় কে বেশি লাভ পায়? যে সবচেয়ে বেশি এয়ারকন্ডিশন চালায় তার লাভ হয়। গরীব মানুষের তো লাভ হয় না। আসলে লাভবান হচ্ছেন বিত্তশালীরা। সব জায়গায় জ্বালানি তেল, পরিবহন এত বেড়েছে। এটা টানা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যে দামে উৎপাদন হবে সেই দামে কিনতে হবে। যে যতটুকু পারবেন ততটুকু কিনবেন। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে এসব জায়গায় ভর্তুকি দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এই করোনার সময়, ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাজেট যে করতে পারছি এজন্য ধন্যবাদ জানাবেন। বাজেটের প্রস্তুতি ঠিকঠাক করে দিয়েছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
‘অগ্নিদুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৬ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান (ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স, ঢাবি), অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট), স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব (সহসভাপতি, বাপা), মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সভাপতি, ইসাব প্রমুখ।
স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এ জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান বলেন, ‘শহরকেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাজউক, সিটি করপোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিসের স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে, এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত।’ অগ্নিনির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।
নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কি না, তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রা বিনিময়ের নতুন পদ্ধতি চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ডলার থাকলে বা তারল্য সুবিধার প্রয়োজন হলে তা বিক্রি না করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিতে পারবে।
আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার নিতে পারবে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘কারেন্সি সোয়াপ’ নতুন পদ্ধতিতে সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা অদলবদল পারস্পরিক বিনিময় করতে পারবে। ‘কারেন্সি সোয়াপ’ এর মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। মুদ্রা বিনিময়ের এ সুবিধা নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি করতে হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেবে, ওই দিনের ডলারের বিনিময়মূল্য হিসেবে সমপরিমাণ টাকা পেয়ে যাবে। একইভাবে নির্ধারিত সময় পর টাকা জমা দিয়ে ডলার ফেরত নিতে পারবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনগত রাতের কোন এক সময় বাসার দুতলায় বাড়ান্দার গ্রীল কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত চোরেরা একটি ল্যাপটপ, ২টি ক্যামেরা, ১টি মূল্যবান মোবাইল ফোন সেট, ৩টি চার্জার, নগদ টাকাসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া থানার ওসি, ওসি (তদন্ত) সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। বিশ্বজিৎ পাল বাবু দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিশ্বজিৎ পাল ড্রইং রুমে গিয়ে দেখে ওয়ারড্রবের ড্রয়ার খোলা। ফ্লোরে কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে বাড়ান্দায় গিয়ে দেখেন গ্রীলের একটি অংশ কাটা। পরে তিনি বুঝতে পারেন তার ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা বলে দাবি করছেন সাংবাদিক বাবু।
বিশ্বজিৎপাল বলেন, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বাড়ান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে এটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। পুলিশ সুপার দ্রুত মালামাল উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। সবার সাথে পরামর্শ করে এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে চোর চক্র বাড়ান্দার গ্রীল কেটে চুরি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি দ্রুত উদঘাটন করে যারা এর সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।