চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এক পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন। তাদের ৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করানো হয়।
অসুস্থরা হলেন- সঞ্জিত ঋষি (২৫), অনামিকা ঋষি (৩০), সোহাগ ঋষি (১২), সিধু ঋষি (৮) ও স্মৃতিরানী ঋষি (৫)। তারা সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কাশিনগরের বাসিন্দা।
অসুস্থ সঞ্জিত ঋষি জানান, দুপুরে শহরের কালাইশ্রীপাড়ার এক হকার থেকে ১৫০ টাকায় ৫০টি লিচু কিনেন। দুপুর ১টার দিকে বড়ভাবিসহ তার মেয়ে ও ভাতিজারা লিচু খান। এক পর্যায়ে প্রচুর পেট ব্যথা ও বমি হয় সবার। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, লিচু খেয়ে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। লিচুতে কেমিক্যাল অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ হয়ে শিশুসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। গত বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নবনির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, সংস্কৃতি ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর মো. শাহীনকে জেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এম. আবদুল বাছেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এসময় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখার মোস্তাক আহমেদ, প্রদোষ কান্তি দাস, মো.মনির হোসেন, আমির আহমেদ ভুইয়া, আশরাফ উদ্দিন নুরুল, মো. রুবেল মিয়া, কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছু, মো. মনিরুল ইসলাম (নির্বাচন), মো. শফিকুল ইসলাম, জাহানারা বেগম, আবু কাউছার, শিমুল বেগম, মো. নজরুল ইসলাম, মাও. মো. আব্দুললাহ, আরিফুর রহমান দিপু, মো. রকি মিয়া, শাহ আলম, জাফর সাদেক চৌধুরী, আরিফ খান, খাইরুল আলম, তাজুল ইসলাম, আশরাফ আহমেদ, বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর একজন। ১১ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টির দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মাইন উদ্দিন (৪০)। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের মৃত রোককু মিয়ার ছেলে। ছিটকে পড়ে আহত অপর ব্যক্তি হলেন জগত মিয়া (৫০)। তিনি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাড়িচা গ্রামের আবদুর রেজ্জাক মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাতেম আলী ভূঁইয়া বলেন, আখাউড়ার খড়মপুর মাজারে বার্ষিক ওরসে যাওয়ার জন্য অনেকে ট্রেনের ছাদে ওঠেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই দুই ব্যক্তি হঠাৎ ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এ সময় ট্রেনের চাকায় মাইন উদ্দিনের বাঁ পা কাটা পড়ে। আর জগত মিয়া রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইন উদ্দিন মারা যান। আহত জগত মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সুর সম্রার্ট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ দেওয়ান হাফিজের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা দেলোয়ার, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহাদৎ হুসেন, শিক্ষক নেতা মুশফিক জাহাঙ্গীর, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর তাহসিনা পলি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এক সময় শিক্ষকরা অনেক দুরাবস্থায় ছিলেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সেই অবস্থা আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পুরাতন ভবন সংস্কার ও শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ শিক্ষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের জন্য অনেক কঠিন কাজ হলো আরেকজনকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু শিক্ষকরা সেই কঠিন কাজটিই করছেন।
তিনি বলেন, বিদায়ী শিক্ষকরা সারাটি জীবন আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পরে তিনি বিদায়ী ১৮জন প্রধান শিক্ষক ও ৩২ জন সহকারি শিক্ষকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।