চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষি জমি থেকে অহিদ মিয়া (৫৭) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ জুন বুধবার বেলা ১০টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়বল্লা শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অহিদ মিয়া ওই এলাকার মৃত লোফা মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, অহিদ মিয়া পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ করতেন। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেও সন্ধ্যান পান না। পরে বুধবার সকালে কৃষি জমির ভেতরে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তিনি আরো জানান, তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুই দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা নাছরিন সুলতানা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সঠিক মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রেতাকে ক্রয় ভাউচার না দেয়ায় দুই দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কানাই মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কানাই মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানার ও আদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়ার লিবু মিয়ার ছেলে।
আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় পশ্চিম কুট্টাপাড়ার আবদুল হাফিজের ৯ বছর বয়সী মেয়ে ও কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জয়নব।
পরে আর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির কাছের একটি বাঁশঝাড় থেকে জয়নবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সরাইল থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা ফেরদৌসী বেগম। মামলার একদিন পর তদন্তে কানাই মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই শিশু ও কানাইয়ের বাড়ি কাছাকাছি।
গ্রেফতারের পর কানাই আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কানাই জানায়, সে ৪টি বিয়ে করেছে। ভবঘুরে ও বখাটে স্বভাবের কারণে সব স্ত্রী তাকে ত্যাগ করেছে। দাম্পত্য জীবনে তার কোনো সন্তান নেই। ১৬ ডিসেম্বর নিখোঁজের দিন সন্ধ্যার পর শিশুটিকে সে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শিশুটিকে হত্যা করে রাতেই লাশ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাই মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মেরাজুল ইসলাম জানান, কানাইয়ের জবানবন্দির প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ রায়ে বাদীপক্ষের লোকজন সন্তুষ্ট। এদিকে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী আবু তাহের ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালত একজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ৬ বছরের শিশু খোদেজা বেগমের লাশ বাড়ির পাশের বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল এলাকার বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি ওই এলাকার জিল্লু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল ৪টার পর থেকে খোদেজাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মসজিদের মাইকে নিখোঁজ সংবাদের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাইটের আলোতে একটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করে বিলের পাড়ে আনেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি শিশু খোদেজার বলে শনাক্ত করেন।
সরাইল থানার এসআই নুরুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি বিলের পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের বাবা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন এবং ১ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা আজ ৬ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জরিমানাপ্রাপ্তের নাম নূর আলম। তিনি হালুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রাম থেকে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস ব্যবহার করার দায়ে নূর আলম নামে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।