চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ‘৬৬ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রসহ সকল রাজনৈতিক অপশক্তির চক্রান্তকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে নিশ্চিত করতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ জুন ‘৬ দফা দিবস’ উৎযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এই আহবান জানান।
বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং রুবেল সিকদারের সঞ্চালনায় সভায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের আহম্মেদ, অধ্যক্ষ শাহাজান আলম সাজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেবজু মিয়া, হাজী ছাইদুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া ও মোশারফ হোসেন মুন্সি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, কোনো উপজেলাতেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে নয়জনের সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুই মণ গাঁজাসহ মো. হুমায়ুন কবির (৪৫) ও মো. হানিফ (১৯) নামে দুইজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক হুমায়ুন জেলার সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডা শান্তিবাগ এলাকার মো. জজ মিয়ার ছেলে ও হানিফ আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা (মহরম পাড়া) এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, সকালে চরচারতলা নতুন ফেরিঘাট আসিফ এন্টারপ্রাইজের পাশে রাস্তার ওপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে রাস্তার ওপর থেকে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের ট্রাকে তল্লাশি করে ৮৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একই বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি নির্মাণের চার বছর পর আরেকটি নির্মাণ করা হয়। পুরাতন ভবনটির সব ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে নির্মাণ করা ভবনটি মাত্র ১৭ বছরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পিলারে পলেস্তারা খসে পড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং বের হয়ে এসেছে রড। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় ১৯৬৮ সালে খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ১০৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১৩৯ জন আছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সংযুক্তি শিক্ষকসহ পাঁচজন আছেন।
২০০১-২০০২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি পাকা ভবন এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পশ্চিমদিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকের ভবনের নিচের পিলার, বিমের পলেস্তরা খসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পশ্চিমদের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দপ্তরের ছাদের ওপর একাধিক জায়গায় ফাটল আছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমসহ অন্য শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমদিকের জরাজীর্ণ ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি দাপ্তরিক কাজ ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ এবং শৌচাগার আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমদিকের ভবনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিকের এবং সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম গত বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেন। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনটির দুরবস্থার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল হাই, রোমান মিয়া, জোনাকি আক্তার জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে পড়ে। সিঁড়ির দেওয়ালও ভেঙে গেছে। সিঁড়ির দিকের ফাটল দেখলে ভয় লাগে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি।
স্থানীয় হানিফ মিয়া বলেন, চার বছর আগে নির্মাণ করা ভবন ভালো আছে। পরে নির্মাণ করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঠদান চালানোর জন্য বিকল্প কোনো ভবন নেই। তাই বাধ্য হয়েই জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণির কার্যক্রম এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, জেলা ও সব উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নামও আছে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি । নির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে টাকা ও শিক্ষায় আবদুস সাত্তার এবং মামলার দিক থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। চার বছরে সাত্তারের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে আবদুস সাত্তার ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী আগে কখনো সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেননি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
চার বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামায় সাত্তার জেলা শহরের একতলা পাকা ভবনের মূল্য ১০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবারের হলফনামায় তিনি একই ভবনের মূল্য উল্লেখ করেছেন পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া সরাইলে তাঁর ২৭ কানি (৩০ শতকে এক কানি) জমির অর্জনকালীন দাম ২৭ হাজার ও বিয়েতে উপহার পাওয়া ৪০ ভরি সোনার দাম ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুযায়ী, দু’জন প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মধ্যে সাত্তার স্নাতকোত্তর ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ এলএলবি পাস। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ উচ্চমাধ্যমিক ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, সাত্তারের পেশা আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে মামলা হলেও ২০২১ সালে তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে তাঁর কাছে নগদ ১ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫২ টাকা আছে। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর কাছে নগদ ছিল ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে তাঁর নগদ টাকা বেড়েছে ৭০ লাখ ২০ হাজার ৪০৮ টাকা।
গত নির্বাচনের সময় সাত্তারের দুটি ব্যাংকে জমা ছিল ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৬ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ১৮ হাজার ৯২২ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে ব্যাংকে জমার পরিমাণ কমেছে। এবারের হলফনামায় গাড়ির জায়গায় তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ উল্লেখ করলেও গতবারের হলফনামায় তিনি প্রায় ১৪ লাখ টাকার একটি ১৫০০ সিসির গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় সংসদ সদস্য হিসেবে সাত্তার বাৎসরিক সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পেতেন। এবার ব্যবসা থেকে কোনো আয় না দেখালেও গত নির্বাচনের সময় ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় পৌনে চার লাখ টাকা। আইন পেশা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা আছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। নিজের নামে সোনা আছে ৪০ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ ভরি। নিজের নামে মূলধন আছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং স্ত্রীর কাছে আছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ টাকা। তাঁর ৯০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরগাড়ি এবং সরাইলে ১০ বিঘা কৃষিজমি আছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান। তাঁর পেশা ব্যবসায়। তাঁর বার্ষিক আয় বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৮ লাখ ৪২ হাজার ২০০ এবং ব্যবসা থেকে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। তাঁর কাছে নগদ আছে ১০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তাঁর ১৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার, নিজের নামে ১১ লাখ টাকার সোনা এবং স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা ও ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাব আছে। আশুগঞ্জে তার ৫ শতাংশ জমির ওপর একটি বাড়ি আছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫১ টাকার তাঁর দায়দেনা আছে।
জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুলের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনা আছে। স্ত্রীর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর নামে পৈতৃক সম্পত্তি আছে ৩০ শতক। ব্যবসার পুঁজি হিসেবে প্রায় ১৮ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।