অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তেলাপোকা মারার ওষুধের ‘বিষক্রিয়ায়’ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় ৫ জুন মামলা হয়। মামলায় ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং কোম্পানিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরহাদুল আমিনকে গ্রেফতার করে লালবাগ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় দুই আসামির ভ্রাম্যমাণ অবস্থান শনাক্ত করে আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে দুজনই তাদের নিজস্ব গাড়িতে টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এ কারণে তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছিল না।
অর্থের লোভে কোম্পানির মালিক-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয় উপলব্ধি না করে এবং পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার উপদেশ না দিয়েই কর্মচারীদের দিয়ে কীটনাশক স্প্রে করে; যার ফলশ্রুতিতে দুটি শিশু মারা যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের অন্যরা।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট সমৃদ্ধ ওই কীটনাশক বড় গার্মেন্টস, বীজ গুদাম, অনাবাসিক স্থান ছাড়া ঘর-গৃহস্থে ব্যবহার করা যায় না। ঘরবাড়িতে এগুলো ব্যবহার করলে ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই বিষাক্ত উপাদান কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, এর অনুমোদন ছিল কিনা, এর অনুপাত সঠিক ছিল কিনা, মানবদেহের জন্য এগুলো কতটা ক্ষতিকর তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
ভিডিও কলে মারা যাওয়া দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফুটফুটে দুই শিশুর এভাবে মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সুষ্ঠু বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পুলিশ জানায়, গত ২ জুন বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুদিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি ওই বাসায় ওঠে।
বাসায় ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রবিবার ভোরে ৯ বছর বয়সি শাহিল মোবারত জায়ান এবং একই দিন রাত ১০টার দিকে ১৫ বছর বয়সি শায়েন মোবারত জাহিন মারা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম চারজনের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাত্রিকালীন নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি, মেস ও হোটেলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে হরতাল চলাকালে রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। এর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এর ফলে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদিকে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রোববারের হরতালে নাশকতার বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশসহ সব ইউনিটকে। একই সঙ্গে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। শনিবার মহাসমাবেশে পুলিশ হত্যা, পুলিশ আহত, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ি, মেস, হোটেলে রেড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। রাস্তায় চেকপোস্ট আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। কমপক্ষে চারজন পুলিশকে অস্ত্রসহ টহল দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বার ও আবাসিক হোটেলগুলোর রেজিস্টার চেক করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। পুলিশ ও র্যাবের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছে রোবাস্ট পেট্রোল ডিউটি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় থাকা সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে না পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও। পুলিশের সব সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবারের মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাইবার মনিটরিং থেকে শুরু করে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। রবিবারের হরতালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবারের ঘটনার পর হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। রবিবারের হরতালে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র্যাব। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যারা মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। র্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত, শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন। অন্তত ১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি, কাকরাইল চার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কর্মসূচিতে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একুশের পদাবলি অনুষ্ঠান হয়েছে।
স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
প্রধান বক্তা ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক মাজহারুল করিম অভি, পথিক টিভির সিইও লিটন হোসেন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সুর তাল সঙ্গীত নিকেতন এর পরিচালক দেবাশীষ দেবু, বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন, উপস্থাপক আবদুন মতিন শিপন।
হাবিবুর রহমান পারভেজ ও নুসরাত জাহান জেরিন সঞ্চালনায় আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, হাবিবুর রহমান পারভেজ, নুসরাত জাহান বুশরা, লিটন হোসেন জিহাদ, পাবলো চৌধুরী, নুসরাত জাহান জেরিন,উৎস সরকার, সিয়াম আরামিন, নাবিল আবদুল্লাহ, সাহেবর জিয়াসমিন তাপসী, ফাহমিদা আক্তার, প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাচী, প্রাচুর্য চৌধুরী, লাভিয়া জান্নাত, অঅপসানা, ইসমাত নাভিলা, সামিহা, মারজিয়া প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৩ জুন রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কাজী হারিসুর রহমান, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, আইন সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, মহিলা সম্পাদিকা ফারহানা সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, যুব ক্রীড়া সম্পাদক এড. শাহানুর ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, ধর্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম, কৃষি সমবায় সম্পাদক এমবি কানিজ, শ্রম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, এড. শিব শঙ্কর দাস, আলহাজ¦ নাজির মিয়া, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, রফিকুল ইসলাম, কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, এড. লোকমান হোসেন, আলামিনুল হক আলামিন, হাজি বাবুল মিয়া, বাবুল মিয়া, আবুল হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল জাবের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে সব আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই বছর করে স্বশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রুহুল আমিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. সোহেল, স্বপন, ইব্রাহীম খলিল, আবুল হোসেন আবু, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসীম উদ্দিন, মো. মুরাদ ও মো. জামাল।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম ওরফে কুড়াইলা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (পলাতক) ও মো. সোহেল।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু মামলার রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সামছুদ্দিন জানান, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। একই দিন (১৬ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের নামে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলী ছালেহ আহমদ সোহেল খান জানান, আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মো. মিন্টু হেলাল (২৮) নামে এক আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। কারাগারে থাকা ১৫ আসামির মধ্যে আটজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার মামলাটির রায় হলো।