চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ কামরুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক মোঃ আরজু, জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাংবাদিক নিয়াজ মোঃ খান বিটু, শিহাব উদ্দিন বিপু, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, মোশাররফ হোসেন বেলাল, মোজাম্মেল চৌধুরী, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তোরার কিচেনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
সভায় বক্তারা শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরায় ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, বরফকল ও আইসক্রীম ফ্যাক্টরীগুলোতে নিয়মিত অভিযান, শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত কসাইখানা ও গবাদি পশু জবাইয়ের আগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবি জানান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সু-স্বাস্থ্যের জন্যই নিরাপদ খাদ্য দরকার। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে হোটেল রেস্তোরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, শিশু খাদ্যের বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টি,এ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমনের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী,কার্যরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আ ফ ম কাউসার এমরান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা দুই সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা এবং পরষ্পরের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সব শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সহধর্মিনীর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামির আশু রোগ মুক্তি কামনায় সহ সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্মের পর শিশুদের ধাপে ধাপে দেওয়া সম্প্রসারিত টিকা দান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা গত এক মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোথাও নেই। ফলে কেন্দ্র এসেও সন্তানদের নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মায়েরা। একাধিকবার এসেও টিকা না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধযোগ্য বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে না।
শিশু জন্মের পর প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ছয় সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময় পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। কমপক্ষে চার সপ্তাহর ব্যবধানে এ সব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়। শিশুর ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস হলেই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকাগুলো দেওয়া যাচ্ছে না।
গত শনিবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ইপিআই টিকা কেন্দ্রে স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। মাঝে মধ্যে বিসিজি টিকা দিতে নবজাতকদের নিয়ে মায়েরা আসছেন। তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে টিকাগুলো দিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
টিকার জন্য সন্তানকে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন আসমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চার তৃতীয় ধাপের টিকা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আসার পর জানানো হয়েছিল টিকা নেই। কয়েকদিন পর আসবে। আজকে আসার পর টিকা কেন্দ্র থেকে একই কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
নাজনীন বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রথম টিকা দিয়েছিলাম ২৮দিনের মাথায়। আজকে ছিল দ্বিতীয় ডোজের তারিখ। কিন্তু টিকা না থাকায় পরে আসতে বলেছে।’
এ বিষয়ে জেলার ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একবছরে ৯১ হাজার শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতি তিন মাস পর পর টিকা পাঠানো হয়। এতদিন ঢাকাতেই টিকা ছিল না। আমরা কিছুদিনের মধ্যে টিকা পেয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, টিকার জন্য আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে, চেষ্টা করে যাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা ও দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপনের পরিচালনায় শোক সভায় উপস্হিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ রন্জন নাগ, প্রগতিশীল জোটের আহব্বায়ক কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রন্জন সরকার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায় প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, কোষাধক্ষ্য এনায়েত খান ও প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
পরে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করেন মাওঃ ইসরাক হোসাইন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস আর এম ওসমান গণির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন, জেলা শিক্ষক অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানুষিক বিকাশে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজনের মাধ্যমে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ এর আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আবদুল কবির তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ, শাহীন মৃধা, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি স্টলে পাটিসাপটা, পাক্কন পিঠা, মাশরুম পিঠা, মালপোয়া, ভর্তা পিঠা, চকলেট ভেজিটেবল, তালের পিঠা, দুধ পলি, বিবিখানা পিঠা, বেøইড পিঠা, হৃদয় হরণ, গোলাপফুল পিঠা, চিতই, নারকেল পুলি, খাজা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৪ জাতের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। প্রতিটি স্টলে গড়ে ২২ থেকে ৫৪ ধরণের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ঘুরে দেখা যায়, কলেজর নিচ তলায় চোখে পড়ে অর্কিড স্টল। সেখানে টেবিলে ৩০ ধরণের বাহারি পিঠা সাজানো হয়েছে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী দাস ও আফিফুল ইসলাম বলেন তারা ৩০ ধরণের পিঠা তৈরি করেছেন।
দ্বিতীয় তলায় বাটার কাপ স্টলের আকরাম মিয়া, সাইমা সরকার ও মারিয়া আক্তার বলেন, তারা ১১জন মিলে এই স্টল সাজিয়েছে। ২২ধরনের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
অপরাজিতা স্টলের সূবর্ণা আক্তার ছোঁয়া, বন্যা আক্তার ও জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের স্টলে ৩৩ ধরণের পিঠা রয়েছে। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
ফাল্গুনের পিঠা বিলাস স্টলের উম্মে মাইশা আফরিন, তাহসিন মিম, সাইফুল ইসলাম ও জেবুন্নেছা ইসলাম বলেন, আমরা ২২ধরণের পিঠা নিয়ে এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
ক্যামেলিয়া স্টলের জান্নাতুল হাসান বলেন, ২৬ থেকে ২৭ ধরণের বাহারি পিঠা তাদের স্টলে রয়েছে। পৌনে ১২টা পর্যন্ত তারা ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
টিউলিপের স্টলে রয়েছে ২০ ধরণের পিঠা। লুবাবা আক্তার, মোঃ এমরান ও তানভীর সরকার বলেন, ১৬জন মিলে স্টল সাজিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৩০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
গ্রুপ বেলির স্টল সাজিয়েছে ১৬জন শিক্ষার্থী। মিনহাজুল হক, মানসুরা আক্তার ও তাসফিফা তাবাসসুম বলেন, ৫৪ ধরণের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ১০ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল মামুন সরকার বলেন, পিঠা উৎসব এর আয়োজন দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেছে। মা-চাচিরা আগে এসব পিঠা বানাত। এখন আর সেই আমেজ নেই। আয়োজনে খুশি হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ২০হাজার টাকা দেন।