চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে মাঝারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । আজ ৯ জুন শুক্রবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাল-নালাগুলো বর্জ্যে ঠাসা। খালের পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কারণে পানি চলাচলের পথগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। দখল হয়ে আছে অধিকাংশ খাল-নালা। এসব কারণে পানি নামতে পারছে না। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, ওয়াসা মোড়, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাপাসগোলা ও পাঠানটুলিসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়।
জরুরি কাজে বের হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, জরুরি কাজে নগরের চকবাজার যাওয়ার জন্য বের হই। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কাতালগঞ্জ ওয়াসা মোড়ে গিয়ে দেখি সড়কে পানি জমে আছে। পড়ে বিকল্প পথ দিয়ে গাড়ি চকবাজার যায়।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘মাঝারি বৃষ্টিতে যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগর ভেসে যাবে।’ নগরের খাল-নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে মেয়রকে অনুরোধ করেন তিনি।
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, ‘নালা পরিষ্কার থাকায় পানি জমলেও দ্রুত নেমে গেছে। নালা-নর্দমা ও খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটাও রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অনেক আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা তা সময় বলে দেবে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না। কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। তবে পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশনা আছে। যারা নির্বাচন করতে চান করবেন, না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার হুমকির কারণে হতে পারে, অর্থের অভাবে হতে পারে। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে, প্রার্থীরা অন্য কারো প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আতাঁত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। দেশের বিভিন্ন আসন থেকে জাপার প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কিনা সেটা সময়ে বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
গণসংযোগে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার সময় বজ্রপাতে তামজিদ আহমেদ (২০) নামে এক ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে।
তামজিদ আহমেদ ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড়। সে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলার নিকলা গ্রামের ইমাম আলীর ছেলে। তামজিদ ঢাকায় থেকে ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলে আসছিল।
গতকাল বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই টিমের সহকারী কোচ রাশেদুল ইসলাম জানান, শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন দিনের একটি প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জ আবাহনী ক্রিকেট একাডেমির সাথে তার দল ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির খেলা চলছিল। তামজিদ ফিল্ডিং করার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দনসহ ক্রীড়াঙ্গনের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ঝরানো ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী শশী কান্ত জানিয়েছেন, মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের স্থলভাগে উঠে আসছে। এটি ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় করবে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যই এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়া কবির জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকাঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সে-সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর সংক্ষুব্ধ থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এজন্য সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি অনেক বেশি। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে সব খবরাখবর এখনই পাচ্ছি না।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সমুদ্রের পানিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হচ্ছে মিয়ানমারে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেক কমেছে।
ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে। ১৪ মে রবিবার বেলা ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর তা নেই।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরো বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।
চলারপথে রিপোট
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শেখপাড়া বাতাসি গ্রামে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে নানি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে শেখপাড়া বাতাসী গ্রামের প্রতিবেশী রুবায়েত খানের পুকুরে শেখপড়া বাতাশী গ্রামের মৃত সরোয়ার খাঁনর স্ত্রী মোছাম্মাৎ হিঙ্গুল বেগম (৭০) ও তার নাতি মোহাম্মদ জিহাদ (৬) গোসল করতে যয়। এ সময় পুকুরের পানিতে ডুবে দু’জনই মারা যায়। প্রতিবেশীরা পুকুরে দুইজনের লাশ ভাসতে দেখে স্বজনদের খবর দেয়। পরে পুকুর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শালনগর ইউপি সদস্য মো: সাজ্জাদুল হোসেন জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে নানি ও নাতির মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।