অনলাইন ডেস্ক :
কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভারতীয় ৩ কিশোর বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এ ঘটনায় আটক ওই তিন যুবককে সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর করেছে।
আটককৃত তিন কিশোর ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার ধুবরী সদর থানার তিস্তাপাড়া এলাকার শাসসুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৬), শহর আলীর ছেলে নুর ইসলাম (১৬) এবং আশকান আলীর ছেলে ইসমাইল সেখ (১৫) বলে জানা যায়।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে ওই তিন কিশোর রাস্তা ভুল করে সোনাহাট স্থলন্দরের বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সড়ক বেয়ে একটি মেটরসাইকেলযোগে জিরো লাইন রেখা পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় স্থলবন্দরে চেকপোষ্টে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে সোনাহাট ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে রবিবার বিকেলে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসফের নিকট তাদের হস্তান্তর করে স্থানীয় বিজিবি। এতে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আসামের গোলকগঞ্জ থানার সোনাহাট বিএসএফের সহকারী কমিশনার পুনেক কুমার কৌশিক ও বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের সোনাহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার গোলাম রাব্বানী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে ভেজাল হারবাল ঔষধ তৈরির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। এ অপরাধে তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানা নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন। অভিযানে সহায়তা করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে তৃপ্তি হারবাল কারখানায় পোড়া তেল, নষ্ট শিরা ও পচা-বাসি মিষ্টিকুমড়া পাওয়া যায়। অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে কারখানাটিতে তৈরি হচ্ছিল আয়ুর্বেদিক ঔষধ।
নির্বাহী হাকিম মনিজা খাতুন বলেন, কেরানীগঞ্জে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হারবাল ওষুধ তৈরীর অপরাধে ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, কারখানা মালিক শামীম হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভেজালবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রকাশ করা হবে। ওই দিন সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে এ পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেবেন।
এর পর আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারা দেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখের কিছু বেশি।
এ পরীক্ষার ফল প্রকাশে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে সে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করার পর শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।
যেভাবে জানা যাবে ফলা
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে (যেমন HSC Dha 123456 2022 send to 16222)। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
বোর্ড জানিয়েছে, তাদের অধীন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.dhakaeducationboard.gov.bd) রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
আর www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আজ ২৮ মে জাপানের নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটি শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন।
স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত কর্তৃক নকশাকৃত ৩ মিটার উচু এ স্মৃতিস্তম্ভটি কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর সহযোগিতায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সময়ের সাথে মিলিয়ে বেলা ১১ টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি শান্তি-স্মৃতি (পিস মেমোরিয়াল) জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও সেখানে দর্শনার্থী বই-এ মন্তব্য লেখেন।
দুপুরে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। মধ্যাহ্নভোজের বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার জন্য মেয়র সুজুকিকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোঃ ইমরানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব ইজতেমায় আজ ৭২ জোড়া বর-কনের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাদ আসর ইসলামি শরিয়া মেনে এসব বিয়ে পড়ানো হয়।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে টঙ্গী শহর এবং ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর ।
কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এজন্য সকাল থেকে অভিভাবকরা হবু দম্পতির নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে সব নব দম্পতির সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান এই বিয়ে পড়ান।
বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া জাগ্রত সংঘের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৮ দলীয় ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে উপজেলার সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এ খেলা শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৮ দলীয় এ হাডুডু খেলার উদ্বোধন করেন।
এই হাডুডু খেলার ফাইনালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেরার নকড়িরচর যুব সংঘ ২-১ গোলে টুঙ্গিপাড়া যুব সংঘকে পরাজিত করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
বর্ষাপাড়া জাগ্রত সংঘের সভাপতি রুবেল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ও সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আফরোজা বিনতে মনসুর (গাজী লিপি), হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ও সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আফরোজা বিনতে মনসুর (গাজী লিপি) বলেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে ভালো রাখে। যুব সমাজ যাতে মাদক ও মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকে তাই আমরা প্রতি বছরই এখানে হা-ডু-ডু, ভলিবলসহ বিভিন্ন প্রকার খেলার আয়োজন করে থাকি। আমাদের এ ধরণের খেলাধুলা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।