চলারপথে রিপোর্ট :
দুই ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন। আজ ১২ জুন সোমবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের নিজ কুরুয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতের নাম জসিম (৩৫), তিনি পেশায় ট্রাক চালক। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাই থানার বাইনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, সিলেটগামী একটি ট্রাক উপজেলার নিজ কুরুয়া নামক স্থানে আসার পর টায়ার পানচার হলে চালক ও সহকারী মিলে চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে একই দিকে সিলেট গামী আরেকটি ট্রাক এসে পেছন থেকে তাদের ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক, চালকের সহকারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ওসমানীনগর স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক খন্দকার সানাউল হকের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হওয়ায় সেটিকে রাস্তার পাশে রেখে চালক ও সহকারী সেটি মেরামত করছিলেন।
চাকা খুলে সেটি পরিবর্তন করে শেষ পর্যায়ে আরেকটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি তবে আহতের নাম জসিম। তিনি বুকে মারাত্মকভাবে চাপ খেয়েছেন।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ তামাবিলের ইনচার্য আবুল কাশেমের সঙ্গে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিহত তিনজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা নেয়া হবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে । পৌরসভার ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির গৃহস্থালির উচ্ছিষ্ট আর্বজনা সংগ্রহের জন্য ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘গৃহস্থালির ময়লা ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে সুন্দর একটি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রধানন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে পরিচ্ছন্ন জেলা প্রয়োজন। আমি আশা করবো, ধিরে ধিরে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে এটি চালু হবে। জেলার সব পৌরসভা ও প্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যমেই আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিষ্কার ও চমৎকার চুয়াডাঙ্গা উপহার দিবো।’ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ বলেন, এই শুরুটা সরকারি কলেজ থেকে শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। আমরা পরিশুদ্ধ মানুষ হতে চাই। ড্রেননগুলো একটু পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানাবো।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ স¤পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ইসলাম রাকিব।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া জানান, জেলা প্রশাসক স্যার আসার পর বার বার তাগিদ দিয়েছেন। এই জেলার উন্নয়নে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছি। মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে নেয়া হবে। আমরা চমৎকার চুয়াডাঙ্গার প্রত্যাশায় আছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহলদার ইমরান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কারও রিকগনিশনের জন্য চাতক অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি হিংসায় জ্বলছে। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। বিএনপি এখন ঈর্ষাকাতর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশ-বিদেশে হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের কথিত আন্দোলন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবর এবং পরবর্তী সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী অরিত্র ইশতিয়াক আলম।
ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তার উদাহরণ অরিত্র। সে অন্ধত্বকে বাধা মনে না করে বরং অন্ধত্বকে জয় করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে সে মুখে বলে দিচ্ছে তার হয়ে শ্রুতি লেখক দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস লিখে দিচ্ছে। সে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে।
ইশতিয়াক আলম অরিত্রর পিতা ফিরোজ আলম মৃধা জানান, আমার ছেলে জন্ম থেকেই একটু চোখে কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিল। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পর তার ডান চোখে সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এতো সমস্যা থাকার পরেও তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। সে চোখে দেখতে পায় না তাই একজন শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র একজন মেধাবী ছাত্র, সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার পেয়েছে। সে তার অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করে তুলে নেয়ার সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে আসামিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল বিকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে শেখ মো. মোজাম্মেল হক (৫৫), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার আলতাফ আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩৮), গাজীপুরের কাপাসিয়ার সাহাবুদ্দীনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (৪৮) এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানাধীন হাটখোলার চড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুলতান (৩৩)। তারা সকলেই বর্তমানে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন (৩০) নীলফামারী জেলার ডিমলা থানাধীন ছামিনুর ওরফে আমিনুরের ছেলে।
বর্তমানে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। পেশায় রেন্ট এ কার চালক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসায় একটি প্রাইভটে কার নিয়ে উপস্থিত হয় আটককৃতরা। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে মারধর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়।
এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিচয় দেয়া চারজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তরা কেউ-ই তার পূর্বপরিচিত নয়। তার ধারণা, পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করতে চেয়েছিল আসামিরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক শরীফ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীর বাসা গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।
তবে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবারকে।
তারা বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে, তারা আটক করে পুলিশের খবর দেয়। এর ভেতরে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা? সবগুলো বিষয় মাথা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।