নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিষ্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

জাতীয়, 13 June 2023, 1067 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে একটি বাসায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার দুইদিন পর স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। নিহত স্বামী আব্দুস সালাম মন্ডল (৫৫) ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০)।

banner

১২ জুন সোমবার রাতে স্বামী ও ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সালাম মন্ডল সোমবার রাতে মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে মারা যান বুলবুলি বেগম। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বাড়ির মালিক সোহাগ জানান, দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের ৫ জনের মধ্যে স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। বাকি অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন জানান, সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে স্বামী স্ত্রীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এমন সংবাদ পেয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন সকাল ৮টায় ফতুল্লা কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিনা বেগমের বাড়িতে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে আগুন ধরে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০), ছেলে টুটুল (২০), মেয়ে সোনিয়া (৩০) ও নাতিন মেহজাবীন (৭)।

Leave a Reply

আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হলেন…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা Read more

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন’স ডে

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব Read more

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যে…

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

চলারপথে রিপোর্ট : তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার, কারাগারে…

চলারপথে রিপোর্ট : অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজ রাখায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের Read more

সরাইলে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন Read more

আশুগঞ্জে ২৫ কেজি গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পৃথক অভিযানে ২৫ কেজি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল Read more

আয়নাঘর পরিদর্শন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা…

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন Read more

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি Read more

আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজ ১১ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত মাদকসেবীকে সাজা

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 January 2023, 2217 Views,

॥ বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। এই ঘটনা এখন এখন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছে।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন কর্মসূচীর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা দুই বিচারকের অপসারন ও আদালতের নাজিরের বিচার দাবিতে নতুন করে তিন কার্যদিবসের কর্মসূচী ঘোষনা করে। আইনজীবীরা বলছেন স্বেচ্ছায় দুই বিচারক চলে গেলেই তারা আদালতে ফিরে যাবেন।
আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে একজন আইনজীবী বিলম্বে একটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেননি। তখন উপস্থিত আইনজীবীরা বিচারককে বলেন, মামলার বাদী আইনজীবীদের মতো আইন জানেন না। তাই দেরিতে আদালতে এসেছেন। এখন (১ ডিসেম্বর) মামলাটি না নিলে এক মাস পর মামলার আবেদন করতে হবে। এতে বাদীপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও মামলাটি নেয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি শুনেননি। সর্বশেষ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেয়ার অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাঁদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন শুরু করেন। পহেলা জানুয়ারি আদালত খোলার পর আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেয় বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। পরদিন ২ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে আইনজীবীদের বর্জন সত্ত্বে তিনি কেন এজলাসে বসেছেন তা নিয়ে বিচারকের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। ওই সময়ে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিচার বিভাগের কর্মচারিরা ক্ষুব্দ হয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ তুলে তারা গত চার জানুয়ারি বুধবার আদালতের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গত ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অপসারণ এবং জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে তিন কর্ম দিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালিগালাজ ও তার সাথে অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মোঃ আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বোববার আইনজীবীদের আদালত বর্জনের দ্বিতীয় দিন। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা।
বিজয়নগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী সেলিম চৌধুরী বলেন, আদালতে আমার একাধিক মামলা আছে। উকিল আর জজ সাবদের মধ্যে ঝামেলার কারণে কোর্ট হচ্ছেনা। গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে বিষয়টি দ্রুত সমাধান জরুরি।
কসবা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ভোগান্তিতে আছি। জজ সাব আর আইজীবীদের বিরোধের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের বিচার প্রার্থীদের। এভাবে আদালতে চলতে পারেনা।
আশুগঞ্জ থেকে আসা বিচার প্রার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, আদালতে কোন উকিল যাচ্ছে না। তাই মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছি।

এদিকে বর্জনের মধ্যেও বোববার সকালে অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী সিনিয়র সহাকারী জজ আদালত মোঃ শাহেদুল আলমের আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা পরিচালনায় অংশ নেন। বিষয়টি জানার পর আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহাকারী জজ আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী আপেল মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত নাজির মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মামলা পরিচালনায় অংশ গ্রহন করেছেন। ( মামলা নং- দেওয়ানী-০৩/২০২৩ এর একটি মামলায় বাদী পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।) এর প্রেক্ষিতে বিবাদী পক্ষকে আগামী ৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, জনগনকে জিম্মী করে এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মাধ্যমে বিচার প্রার্থীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমরা জেলা জজ শারমীন নিগার, নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ এর অপসারন ও নাজির মমিনুল ইসলামের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আদালতে ফিরে যাব না। আমাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন সোমবার আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
এদিকে বর্জনের মধ্যেও মামলা পরিচালনায় অংশ নেয়ায় অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলামকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মামলা পরিচালনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মাধ্যমিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবে সরকার

জাতীয়, 2 March 2024, 574 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সরকার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে ও শিক্ষক সংকট মেটাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

banner

আজ ২ মার্চ শনিবার সকালে ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা দর্শন, ‘অ্যাক্টিভিটি বেইসড লার্নিং’-এর উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করছি ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে।’

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে পাঁচ বছর। অন্যদিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে চার বছর। সে ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আইডিইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 December 2024, 218 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাউতলীস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জেসমিন সুলতানা, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোহাম্মদ রতন মিয়া বাহার চৌধুরি, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। স্মৃতিস্তম্ভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা, গণপূর্ত বিভাগগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমাজসেবা বিভাগ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

banner

আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নানা আয়োজনে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে তা শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জেসমিন সুলতানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী।

সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. রতন মিয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।

সভার প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা ক্বারী আল আমীন বিন রেনু। পবিত্র গীতা পাঠ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠানে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী।

কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে চক্র গড়ে তোলেন তিনি

জাতীয়, 20 July 2023, 910 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি কেনাবেচা চক্র। বিত্তবান কিডনি গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনি প্রতি ৫০ লাখ টাকা চুক্তি করলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন তারা। চক্রটি অবৈধ উপায়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

banner

গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকা থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব–১।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন– চক্রের মূলহোতা আনিছুর রহমান ও তার চার সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন। তাদের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মোস্তাক আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রের সদস্যরা। কখনও তারা বলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটির বেশি কিডনি দরকার নেই। কখনও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসার খরচ দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে যেতেন। টাকার লোভে কিডনি হারিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে অসহায় মানুষগুলো।

মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন টাঙ্গাইলের আনিছুর। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হন তিনি। পরে দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানে ভারতে অবস্থানরত কিডনি কেনাবেচা চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র গড়ে তোলেন। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জীবন বাঁচাতে কিডনি ক্রেতারা ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকার থেকে চার–পাঁচ লাখ টাকা পান ডোনার। আর দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্টসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ৫-১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ হয়।

‘চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। দ্বিতীয় গ্রুপ দেশে থাকা মূলহোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয় তদারকি করে।’

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ এবং তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হাতে প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসতেন। চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন।

সম্প্রতি সরকারি একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতারণার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এই প্রতারণার সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, না..। তাদের জড়িত থাকার এমন কোনো তথ্য পায়নি।

আওয়ামীলীগের রাজনীতি হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি : হেফাজত নেতা মাও. মামুনুল হক

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 14 August 2024, 536 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুতাবাস থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিক মামুনুল হক। দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট বুধবার বিকেলে স্থানীয় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ একথা বলেন।

banner

তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। তবে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নরেন্দ্র মোদীর ঘরে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য শেখ হাসিনা উষ্কানী দিচ্ছে।

তিনি বলেন বিগত ১৫ বছরে হাতুড়ী লীগের পরিচিতি পাওয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা সেই অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা হয় তাহলে প্রতিহত করা হবে।

এ জন্য বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও অন্তর্বর্তীকালী দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি হেফাজতের নেতাকর্মীদের ১৫ আগস্টসহ গোটা আগস্ট মাসে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে সাড়ে ৩ বছরে ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছিল।

অধিকার হারা মানুষ তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিল। তখন শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিল যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছিল সে জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করবেন। বিগত ৪৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। তিনি এখন খুনের নেশায় মাতাল। তিনি ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সাথে আখড়া বেধেছেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানান এবং সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।

হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জুনায়েদ কাসেমীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হুসেন রাজী প্রমুখ।